953
Published on মে 24, 2020যেখানেই অভাবী মানুষ আছে, সেখানেই চাল, ডাল, তেল ও লবণ নিয়ে হাজির হচ্ছেন জাহিদুল আলম রবিন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর শ্রীপুর পৌরসভায় বসবাসরত কর্মহীন ও অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন তিনি কখনও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে, কখনও ওষুধ কিংবা জীবাণুনাশক স্প্রে নিয়ে। ক'দিন ধরে ঈদ উপলক্ষে দিচ্ছেন সেমাই, চিনি, দুধ, তেল ও সাবান।
শ্রীপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বেশিরভাগ অভাবী মানুষের ঘরেই পৌঁছেছে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিনের দেওয়া কোনো না কোনো উপহার। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এসব সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। তা ছাড়া রোজা শুরুর দিন থেকেই তিনি প্রতিদিন মাওনা চৌরাস্তার দুটি পয়েন্টে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছেন। প্রতিদিন অন্তত একশ' রোজাদারকে 'দশের ইফতার' কর্মসূচির আওতায় দেওয়া হচ্ছে খিচুড়ি, ডিম ও খেজুর।
মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণ ছাড়াও বিশেষ চিকিৎসাসেবা চালু করেছেন রবিন। বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ করেছেন পৌরসভার মানুষের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য। বিশেষ কয়েকটি মোবাইল নম্বরে ফোন করে সেবা নিচ্ছেন অসুস্থ মানুষজন। বিনা পয়সায় ওষুধও পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন তরুণ এই করোনাযোদ্ধা। চালু করেছেন একাধিক অ্যাম্বুলেন্স সেবা। মাওনা চৌরাস্তার রিকশাচালক আতিকুল ইসলাম জানান, ঈদ করার মতো কোনো উপায়ই ছিল না তার। এ খবর জানতে পেরে চাল, ডাল, সেমাই, চিনিসহ অন্তত ২০ কেজি খাদ্যসামগ্রী নিয়ে তার জীর্ণকুটিরে হাজির হন রবিন। আবেগাপ্লুত আতিক বলেন, নগদ টাকাও দিয়েছেন তিনি। স্বামী পরিত্যক্তা আমেনা খাতুন বলেন, রবিন দুই দফায় তাকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছেন। রবিনের এমন মহানুভবতায় খুশি নিম্ন আয়ের হাজার হাজার মানুষ।
এ প্রসঙ্গে রবিন জানান, ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার মানুষকে তিনি ১২-১৪ কেজি করে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছেন। দুই হাজার মানুষের ঘরে ঈদসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। সম্পূর্ণ আত্মতৃপ্তির জায়গায় ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এ ব্যয় করছেন তিনি। পৌরবাসীর সমর্থন নিয়ে আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে চান তিনি।