1430
Published on মে 22, 2020ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে ২৬টি জেলায় এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১১শ’ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় তার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী সার্বিক বিষয়ে অনলাইনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসিন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব জেলায় ঘরবাড়ি প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি ও নষ্ট হয়েছে। এসব ঘরবাড়ি সংস্কার ও নির্মাণে প্রতি জেলায় ৫শ’ বান্ডিল টিন এবং ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ত্রাণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও পটুয়াখালীতে পাট, আম, লিচু ও মুগ ডালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার আমের ক্ষতি হয়েছে। ২০০টি ব্রিজ ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার বেশির ভাগ বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলায় অবস্থিত। প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৮৪টি জায়গায় বাঁধের ফাটল ধরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব ফাটল ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামীকাল থেকে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করবে বলে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অনেক জায়গায় ডাক বিভাগের টেলিফোন লাইন বিচ্ছিন্ন রয়েছে; যা শিগগিরই মেরামত করা হবে।
ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, যেহেতু এবার প্রচুর সংখ্যক গবাদি পশুকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছিল তাই প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে মৎস্য চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৫শ’ চিংড়ি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার অর্থমূল্য প্রায় ৩২৫ কোটি টাকা। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের এবং খাদ্য বিভাগের তেমন ক্ষতি হয়নি। গণপূর্ত বিভাগের সামান্য ক্ষতি হয়েছে।