7987
Published on মে 17, 2020বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গৃহিত স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট কারিগরি নির্দেশনা অনুসরণ করে 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থাপনা ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা' প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
হোটেলঃ
১. খোলার আগে মহামারী প্রতিরোধী সামগ্রী যেমন মাস্ক, জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রী ইত্যাদি সংগ্রহ করুন। আপদকালীন পরিকল্পনা তৈরী করুন। আপদকালীন ডিসপোজাল এলাকা স্থাপন করুন। সকল ইউনিটের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণকে জোরদার করুন।
২. কর্মীদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করুন। প্রতিদিন কর্মীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক অবস্থা নথিভুক্ত করুন এবং যারা অসুস্থতা অনুভব করবে তাদের সঠিক সময়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
৩. হোটেলে যারা ঢুকবে তাদের তাপমাত্রা মাপার জন্য হোটেল লবিতে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণকারী যন্ত্র স্থাপন করুন এবং শুধুমাত্র স্বাভাবিক তাপমাত্রা সম্পন্ন ব্যক্তিদেরই ঢুকতে দিন।
৪. অফিসে বায়ু চলাচল বাড়ান। সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এয়ার কন্ডিশনার স্বাভাবিক মাত্রায় চালান। বিশুদ্ধ বাতাস চলাচল বদ্ধি করুন। বের হওয়া বাতাস যেন আবার ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা করুন।
৫. বারংবার সংস্পর্শে আসা দরজার হাতল এবং অন্যান্য সর্বসাধারণের ব্যবহার্য সুবিধাসমূহ যেমন এলিভেটর ও পাবলিক টয়লেট নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন। অতিথিদের রুমে যন্ত্রপাতি ও বাসন-কোসন প্রত্যেকবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। খাবার থালাবাসন (পান করার পাত্র) পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্তকরনের উপর জোর দিন।
৬. লবি ও লিফটের প্রবেশপথ ফ্রন্ট ডেস্ক এবং অতিথিদের বারান্দা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং সময়মতো ময়লা পরিষ্কার করুন।
৭. গণশৌচাগারগুলোতে হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে লিকুইড সাবান বা সাধারণ সাবান) প্রদান করুন এবং পানি সরবরাহের সাধারণ কার্যকরিতা (যেমন কল সচল কিনা) নিশ্চিত করতে হবে।
৮. অতিথি এবং পরিদর্শনকারীদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ফ্রন্ট ডেস্কের লাইনে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখার (লাইনে ১ মিটার দূরত্ব অন্তর অপেক্ষা করা) ব্যবস্থা স্থাপন করুন।
৯. স্টাফদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করুন। মাস্ক পড়তে বাধ্য করুন। হাতের হাইজিনের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। লবিতে, এলিভেটরের প্রবেশপথে, ফ্রন্ট ডেস্কে এবং এ ধরণের জায়গায় দ্রুত শুকিয়ে যায় এরকম হাত জীবাণুনাশক বা হাত জীবাণুনাশক ইন্ডাক্টিভ ডিভাইস স্থাপন করার ব্যবস্থা করুন।
১০. সকলকে হাঁচি দেয়ার সময় মুখ এবং নাক টিস্যু বা কনুই দিয়ে ঢাকতে হবে।
১১. অতিথিদের মাস্ক পরিধান করতে হবে।
১২. একসাথে জমায়েত হওয়ার মতো কর্মকান্ড যেমন একসাথে খাওয়া, প্রশিক্ষণ, মিটিং এবং আতিথেয়তা কমিয়ে দিন।
১৩. পোস্টার, ইলেকট্রনিক স্ক্রিন এবং বুলেটিন বোর্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্য জ্ঞান পরিবেশন জোরদার করুন।
১৪. যদি নিশ্চিত কোভিড-১৯ রোগী থাকে তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে জীবাণুমুক্তকরণ করুন। সেই সাথে এয়ার কন্ডিশনিং ও ভেন্টিলেশন সিস্টেম পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে এবং মূল্যায়ন হওয়ার আগে পুনরায় চালু করা উচিত না।