বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনাঃ ব্যাংক

3641

Published on মে 16, 2020
  • Details Image
    বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনাঃ ব্যাংক

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গৃহিত স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট কারিগরি নির্দেশনা অনুসরণ করে 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থাপনা ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা' প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ব্যাংকঃ

১. খোলার আগে মহামারী প্রতিরোধী সামগ্রী যেমন মাস্ক, জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রী ইত্যাদি সংগ্রহ করুন। আপদকালীন পরিকল্পনা তৈরী করুন। আপদকালীন ডিস্পোজাল এলাকা স্থাপন করুন, সকল ইউনিটের জবাবদিহিতা বাস্তবায়ন করুন এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ জোরদার করুন।

২. কর্মীদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করুন। প্রতিদিন কর্মীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক অবস্থা নথিভুক্ত করুন এবং যারা অসুস্থতা অনুভব করবে তাদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা নিন।

৩. ব্যাংকের প্রবেশমুখে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণকারী যন্ত্র স্থাপন করুন বা তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা রাখুন এবং শুধুমাত্র স্বাভাবিক তাপমাত্রা সম্পন্ন ব্যক্তিদেরই মলে ঢুকতে দিন।

৪. বায়ুচলাচল বৃদ্ধি করুন। সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এয়ার কন্ডিশনারের স্বাভাবিক ক্রিয়াকে নিশ্চিত করুন, বিশুদ্ধ বাতাস বৃদ্ধি করুন এবং সকল এয়ার সিস্টেমের ফিরে আসা বাতাসকে বন্ধ রাখুন।

৫. সর্বসাধারণের ব্যবহার্য সুবিধাসমূহ নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন (যেমন কিউইং মেশিন, কাউন্টার, চিফার মেশিন, রোলার পেন, ক্যাশ কাউন্টার, এটিএম, জনসাধারণের বসার জায়গা ইত্যাদি)।

৬. জনসাধারণের চলাচলের এলাকা কেমন ব্যাংকের লবি, এলিভেটর এবং তথ্যকেন্দ্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন এব ময়লা সময়মতো পরিষ্কার করুন।

৭. এটিএম-এ প্রবেশ করার লাইনে দাঁড়ানোর বা ব্যবহারের সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য লাইনে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখার (লাইনে ১ মিটার দূরত্ব অন্তর অপেক্ষা করা) ব্যবস্থা স্থাপন করুন।

৮. ব্যবসায়িক কাজে ব্যাংকে আসা মানুষে সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করুন। প্রতিদিনের ব্যাবসায়িক কাজের জন্য ই-ব্যাংকিং অথবা এটিএম ব্যবহারের পরামর্শ দিন। কাউন্টারে জীবাণুনাশকের ব্যবস্থা করুন এবং সকলকে হাত পরিষ্কারের ব্যাপারে সচেতন করুন।

৯. স্টাফদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করতে হলে এবং মাস্ক পরতে হবে। হাতের হাইজিনের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং ইচি দেয়ার সময় মুখ এবং নাক টিস্যু বা কই দিয়ে ঢাকতে হবে।

১০. ব্যাংকে আগত সকলকে মাস্ক পরতে হবে।

১১. পোস্টার, ইলেকট্রনিক স্ক্রিন এবং বুলেটিন বোর্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবেশন জোরদার করুন।

১২. যদি নিশ্চিত কোভিড-১৯ রোগী থাকে তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে জীবাণুমুক্ত করতে হবে এবং একই সাথে এয়ার কন্ডিশনিং ও ভেন্টিলেশন সিস্টেম পরিষ্কার ও জীবাণুমু করতে হবে। মূল্যায়ন হওয়ার আগে পুনরায় চালু করা উচিৎ হবে না।

১৩. মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায়, ব্যাংকগুলোকে তাদের বিজনেস আওয়ার সংক্ষিপ্ত করতে এবং আগত লোকের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত