বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনাঃ অফিস স্পেস

6388

Published on মে 16, 2020
  • Details Image
    বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনাঃ অফিস স্পেস

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গৃহিত স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট কারিগরি নির্দেশনা অনুসরণ করে 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থাপনা ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা' প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

অফিস স্পেসঃ

১. মাস্ক, তরল হাত ধোয়ার সাবান, জীবাণুনাশক ইত্যাদির মতো মহামারী প্রতিরোধক বস্ত্র সরবরাহ ও সংরক্ষণ করুন। জরুরি পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন, সংক্রমিত জিনিসপত্র ডিসপোজাল করার ব্যবস্থা রাখুন, প্রতিটি ইউনিটের দায়িত্ব বাস্তবায়ন এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ জোরদার করুন।

২. কর্মচারীদের জন্য একটি স্বাস্থ্য নিরীক্ষণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করুন। প্রতিদিন কর্মীদের স্বাস্থ্যের অবস্থা নথিভুক্ত করুন। যারা অসুস্থতা বোধ করবেন তাদের সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ নিশ্চিত করুন।

৩.অফিস ভবনে প্রবেশ করার পূর্বে কর্মচারীদের তাপমাত্রা নিতে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণের সরঞ্জামগুলো সেট আপ করুন এবং কেবলমাত্র সাধারণ তাপমাত্রা যুক্ত ব্যক্তিদেরই প্রবেশ করতে দিন।

৪. অফিসে বায়ু চলাচল বাড়ান। সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এয়ার কন্ডিশনার স্বাভাবিক মাত্রায় চালান। বিশুদ্ধ বাতাস চলাচল বৃদ্ধি করুন। বের হওয়া বাতাস যেন আবার ঢুকত না পারে সে ব্যবস্থা করুন।

৫. ঘন ঘন সংস্পর্শে আসা জায়গা যেমন দরজার হাতলগুলো এবং লিফট ও পাবলিক টয়লেটগুলোর মতো জনসাধারণের ব্যবহার্য তল বা সারফেসগুলো নিয়মিত পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করুন।

৬. জনসাধারণের চলাচলের জায়গা এবং অফিসের খোলা জায়গা গুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং সময়মতো অবনি পরিষ্কার করুন।

৭.হাত এবং দৈহিক পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে মনোযোগ দিন। হাঁচি, কাশির সময় টিস্যু বা কনুই-এর ভাঁজে মুখ এবং নাক ঢাকুন।

৮. কর্মকর্তা ও কর্মীরা মাস্ক সাথে নিয়ে যাবে এবং অন্যদের সাথে সংস্পর্শে আসার সময় মাস্ক পরে নেবে।

৯. নজর পড়ে এমন স্থানে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ প্রদর্শন করুন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে মান্যমে কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও ধারণা সম্পর্কিত জ্ঞান প্রচার করুন।

১০. মিটিং সংখ্যা কমিয়ে আনুন এবং মিটিং এর সময়কাল ছোট করে দিন। মিটিং এর সময় ঘরের তাপমাত্রা সহনশীল হলে জানালা বা দরজা খুলুন। ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থাই উত্তম।

১১. যদি নিশ্চিত কোভিড-১৯ রোগী থাকে তবে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। সেই সাথে এয়ার কন্ডিশনিং ও ভেন্টিলেশন সিস্টেম পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মূল্যায়ন হওয়ার আগে পুনরায় চালু করা উচিত হবে না।

১২. মাঝারি এবং উচ্চঝুঁকিপুর্ণ অঞ্চলে অফিসে স্পেসে প্রবেশ করা লোকের সংখ্যা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করুন এবং কর্মীদের আলাদা আলাদা প্রতিটি আসনে বসতে বা আলাদা পদ্ধতিতে বসার ব্যবস্থা করুন। সম্ভব হলে বাড়িতে থেকে কাজ করার পদ্ধতি প্রচলন করুন। অনলাইনে কাজ করুন, এবং আলাদাভাবে কাজ করুন।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত