2947
Published on মে 16, 2020বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গৃহিত স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট কারিগরি নির্দেশনা অনুসরণ করে 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থাপনা ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা' প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বাড়ি ও এপার্টমেন্ট ভবন
১. বাড়িতে থার্মোমিটার, মাস্ক, জীবাণুনাশক সরবরাহ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংরক্ষণ করুন।
২. পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সক্রিয়ভাবে নিরীক্ষণ করুন। প্রতি সকালে এবং সন্ধ্যায় তাপমাত্রা পরিমাপ করা ভালো।
৩. পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের জন্য জানালা ২০-৩০ মিনিটের জন্য দিনে ২-৩ বার খুলে দিয়ে বাড়ির অভ্যন্তরের বায়ু চলাচল উন্নত করুন।
৪. জীবাণুনাশক দিয়ে বাড়ির পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন।
৫. পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একটি তোয়ালে সকলে মিলে ব্যবহার করবেন না। ঘন ঘন কাপড় এবং লেপ-তোষক রোদে দিন। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন। যত্রত্র থুথু ফেলবেন না। হাঁচি দেওয়ার সময় মুখ এবং নাক টিস্যু বা কনুইয়ের ভাঁজে দিন।
৬, সঠিক পুষ্টি জোরদার করুন। একটি বিজ্ঞান-ভিত্তিকভাবে পুষ্টিকর খাবার খান। পরিমিত ব্যায়াম করুন। পর্যাপ্ত ঘুমান এবং ইমিউনিটি (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করুন।
৭. বাইরে থেকে ফিরে এবং হাঁচি- কাশির দেয়ার পর হাত সাবান-পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন অথবা দ্রুত শুকিয়ে যায় এমন জীবাণুনাশক দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।
৮. বন্য প্রাণি খাওয়া বা সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকুন। হাঁস-মুরগি ও ডিম খাওয়ার আগে সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করুন
৯ বেড়াতে যাওয়া, দাওয়াত ও আডডা দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
১০, যদি অসুস্থ থাকেন তবে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ভিড়ের জায়গায় যাবেন না এবং বাইরে বেরোনোর সময় অবশ্যই মাস্ক পরবেন।
১১. জনাকীর্ণ এলাকায় যাতায়াত বা অন্যানা লোকের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের সময় মাস্ক পরিধান করুন।
১২. আপনি যদি মাঝারি এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে থাকেন তবে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের সাথে থাকার সময় পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্তকরণের দিকে মনোযোগ দিন। ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করুন এবং মাস্ক পরিধান করুন।
১৩. এপার্টমেন্ট ভবনে বসবাসকারিগণ বাড়তি সতর্কতা হিসাবে এপার্টমেন্টের নিরাপত্তা রক্ষী এবং কেয়ারটেকারদের এসব বিষয়ে নজর দিতে বলুনঃ বারংবার সংস্পর্শে আসা দরজার হাতল এবং অন্যান্য বহুল ব্যবহার্য সুবিধাসমূহ যেমন লিফট ও কমন টয়লেট নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। বাইরের অতিথি ও অন্যান্য মেইনটেনেন্স কর্মীকে আসার ব্যাপারে অনুৎসাহিত করতে হবে। বাইরে থেকে অতিথি বা যেই আসুক তাদের নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর ও আসার তারিখ লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে। অতিথিদের বসার স্থানের আসবাব ও বাসন-কোসন প্রত্যেকবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করতে হবে। লবি ও লিফটের প্রবেশপথ ফ্রন্ট ডেস্ক এবং অন্যান্য খোলা জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং সময়মতো ময়লা পরিষ্কার করতে হবে।