5331
Published on মে 13, 2020বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ২৬ মার্চ থেকে ছয় দফায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। কর্মহীন, অসহায়, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের এসব মানুষের পাশে রয়েছে সরকার ও জনপ্রতিনিধিরা।
তাদের ব্যক্তিগত তহবিলের অনুদান এবং ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। একই সঙ্গে খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকজনও।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণে উপজেলা প্রশাসনকে সহায়তার অংশ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) এর মাননীয় সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু'র পরামর্শে নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে ত্রাণ কমিটি গঠন করে ওয়ার্ড পর্যায়ে দল-মত নির্বিশেষে দুইটি উপজেলার প্রকৃত হতদরিদ্র, দুস্থ, অসহায় ও কর্মহীন খেটে খাওয়া মানুষ যাতে রেশন কার্ডের অন্তর্ভুক্ত হয় সে ব্যপারে তালিকা প্রণয়নে সহায়তা ও সমন্বয় করে বাড়ী বাড়ী খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে উপজেলা প্রশাসনের সাথে কাজ করছে।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন মধ্যবিত্তদের কথা চিন্তা করে তাদের সাহায্যার্থে সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু'র পরামর্শে নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলা প্রশাসন জরুরী সেবা হটলাইন নম্বার ০১৭০৪৭৭১৭০৮ (নাগরপুর) ও ০১৮৪৩২৪২৭২৯ (দেলদুয়ার) চালু করেছেন। সমাজের অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার অর্থ কষ্টে ভুগলেও পারিবারিক ও সামাজিক সম্মানের বিষয়টি চিন্তা করে তারা সাহায্য নিতে দ্বিধা করেন। সে সকল নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সম্মানিত কর্তাব্যক্তি হটলাইন নাম্বারে ফোন করলে তাদের পরিচয় গোপন করে সকলের অগোচরে খাদ্য সহায়তা বাড়ী বাড়ী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটু'র ব্যক্তিগত তহবিলের প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা এবং ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এপর্যন্ত নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের দুস্থ, অসহায়, কর্মহীন অটো চালক, সিএনজি চালক, গণপরিবহন শ্রমিক, পুস্তক বাধাই শ্রমিক, নির্মান শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, দলিত সম্প্রদায়, বেদে সম্প্রদায়, লেবু চাষী, তাত শ্রমিক, ইমাম-মুয়াজ্জিন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষসহ নিন্ম আয়ের প্রায় ২৫ হাজার পরিবারের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
বিতরণকৃত উপহার সামগ্রীর মধ্যে ১০ কেজি চাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি ডাল, ৩ কেজি আলু, মিষ্টি কুমড়া ও একটি করে সাবান রয়েছে। এবং করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় কর্মহীন পরিবারের শিশুদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে এপর্যন্ত দুইটি উপজেলার প্রায় ১১০০ শিশুদের জন্য শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। শিশু খাদ্যের মধ্যে রয়েছে ননীযুক্ত গুড়া দুধ, চিনি, নুডুলস, সুজি ও বিস্কুট ইত্যাদি।
এছাড়া নাগরপুর উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় প্রায় ২১ হাজার পরিবারের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি অব্যাহত রয়েছে।