2646
Published on মে 10, 2020চট্টগ্রামের পটিয়ার প্রায় ৬৫ হাজার অসহায়, দরিদ্র, গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। তালিকা তৈরি করে পটিয়ার উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা পটিয়ার খাদ্যসংকটে থাকা প্রতিটি ঘরে এই হুইপের ব্যক্তিগত তহবিলের এই সহায়তা পৌছে দিচ্ছেন।
সংকটে থাকা বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের প্রয়োজনের কথা জানাতে ফেসবুক ও মোবাইলে তাৎক্ষণিক সাড়া দিয়ে ঘরে ঘরে জরুরী খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন বিশেষ সহযোগী দল। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগে পটিয়ার সর্বস্তরের মানুষ স্বাগত জানিয়েছেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে টানা সাধারণ ছুটি শুরু চলায় পটিয়ার নিম্নমধ্যবিত্ত, হতদরিদ্র দিনমজুর, মৎস্য ও কৃষিনির্ভর বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েন। জীবিকার কোন বিকল্প নেই। বন্ধ হয়ে গেছে তাদের দৈনিক উপার্জন। এতে ১৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় দিন এনে দিন খাওয়া অনেক মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে।করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এসব মানুষকে ঘরে রাখার প্রচেষ্টায় পটিয়ার সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ সামশুল হক চৌধুরী নিজস্ব উদ্যোগে দুস্থ পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করেন। শুরু হয় পঞ্চাশ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া।সংকটে পড়া পরিবারগুলোতে চাল, ডাল ,আলু, তেল, আটা, পেঁয়াজ, সাবান ও মাস্কসহ বিভিন্ন ধরনের জরুরী সামগ্রী সরবরাহ করেছেন তাঁর স্বেচ্ছাসেবীরা।
এতে শুধু অভাবী মানুষগুলোই খুশি তাই নয়, রাজনৈতিক দলের নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও সন্তোষ জানান। এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন হুইপ সামশুল হক। আরো প্রায় ২০ হাজার পরিবারকে ইফতারী ও বিতরন অব্যাহত আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জনসমাগম পরিহার করে ঘরে ঘরে এই ত্রাণ পৌছানোতে পটিয়ার জনগন সন্তোষ প্রকাশ করেছে্। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে শুধু পটিয়ায় নয় চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলা এবং শহরে এমন উদ্যোগ বিত্তবানদের নেয়া উচিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরকারী ত্রাণের পাশাপাশি পটিয়া আওয়ামীলীগের সকল স্তরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীরা হুইপের এই ত্রান বিতরনে নিরাপত্তা মেনে সত:স্ফুত অংশগ্রহন করেন।
ত্রাণ কার্যক্রম ছাড়াও প্রতিদিন প্রসাশন ও আওয়ামীলীগের উদ্যোগে করোনা প্রতিরোধে জনসচেনতা মুলক কার্যক্রম অব্যাহত আছে।