2191
Published on মে 9, 2020করোনা সংক্রমন মোকাবেলায় চলমান লকডাউনের কারনে বিপাকে পড়া নড়াইল-২ আসনের মানুষের সহযোগিতা দিচ্ছেন এই আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এ পর্যন্ত ৫৫০০ মানুষকে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তিনি
গত ৮ই মে সিটি ব্যাংকের সহযোগিতায় তাঁর নিজ হাতে গড়া নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নড়াইল জেলার ৮০০ জন অস্বচ্ছল মোটর শ্রমিকদের মাঝে উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
এর আগে সিটি ব্যাংকের সহযোগিতায় ১৫০০ টি, অরিয়ন গ্রুপের সহযোগিতায় ১০০০ টি, মিশন সেভ বাংলাদেশের সহযোগিতায় ৫০০টি,এসিই লিমিটেড'র সহযোগিতায় ৭০০টি, এসএসসি ব্যাচের সহযোগিতায় ৫০০টি ও আইপিডিসি'র সহযোগিতায় ৫০০টি পরিবারকে উপহার সামগ্রী দিয়েছে মাশরাফীর নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন।
মোটর শ্রমিকদের সহায়তা প্রদানের বিষয়ে নড়াইল জেলা বাস,মিনিবাস, মাইক্রো,কার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও নড়াইল জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাসেদ মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক রহুব মোল্লার দেওয়া যৌথ বিবৃতি হুবহু নিম্নে দেওয়া হলো -
"নড়াইল-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা আজ বুধবার করোনা ভাইরাসের প্রভাবে গাড়ির চাকা না ঘোরায় সংসার চালাতে কষ্টে থাকা আমাদের নড়াইল জেলার ৪০০ জন বাস,মিনিবাস,মাইক্রো,কার শ্রমিক ও ৪০০ জন ট্রাক শ্রমিক সর্বমোট ৮০০ জন শ্রমিককে জনপ্রতি ৫ কেজি চাউল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি ছোলা, ১ কেজি তেল, ৫০০ গ্রাম লবন , ১টি লাইফবয় সাবান উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছেন।বাস,মিনিবাস,মাইক্রো,কার শ্রমিক ইউনিয়ন ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের কাছে আজ এসকল উপহার সামগ্রী হস্তান্তর করেন মাননীয় সংসদ সদস্যের গর্বিত পিতা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক গোলাম মোর্ত্তজা স্বপন।
গাড়ির চাকা ঘুরলে যাদের সংসার চলে,গাড়ি চালিয়ে যারা জীবিকা নির্বাহ করে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আমাদের সেই শ্রমিক ভাইয়েরা সরকারি আদেশ মেনে করোনা মোকাবেলায় সরকারকে সহযোগিতা করছে। তবে কাজ না থাকায় আমাদের শ্রমিকরা অনেকেই পরিবার-পরিজনকে নিয়ে কষ্ট জীবনযাপন করছে।
মাননীয় সাংসদ নড়াইল জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সহযোগিতা করছেন। আজ তিনি সিটি ব্যাংকের সহযোগিতায় পবিত্র মাহে রমজানে আমাদের নড়াইল জেলার অস্বচ্ছল শ্রমিক ভাইয়ের পাশে দাঁড়ালেন। যেকারণে আমরা নড়াইল জেলার বাস,মিনিবাস,মাইক্রো, কার শ্রমিক ইউনিয়ন ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নড়াইল-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ও নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনকে। দুঃসময়ে এভাবে আমাদের অস্বচ্ছতা শ্রমিকদের পাশে থাকার এই মুহূর্তটি নড়াইল জেলার সকল শ্রমিকগণ এটি চিরদিন মনে রাখবে। "
উপহার সামগ্রী পেয়ে লোহাগড়ার বাসিন্দা বাস শ্রমিক দুখু মিয়া -১২৯৫ ( শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন নম্বর) জানান, করোনার কারণে বাস না চলায় পরিবারকে নিয়ে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এই দুর্দিনে আমাদের কথা মনে রেখে আমাদের জন্য উপহার পাঠানোয় এমপি সাহেবকে অনেক ধন্যবাদ।
ট্রাক শ্রমিক প্রভাত কুমার রায় (রেজি. নং-১২৮৩) বলেন, মাশরাফী নির্বাচন করবে শুনেই মনটার মধ্যে ভালো লাগছিল যে, এবার আমাদের নড়াইলে ভালো কিছু হবে। আর আজ সেই ভালো কাজগুলো নড়াইলে হচ্ছে দেখে নিজেরই খুশি লাগছে, আমাদের স্বপ্নগুলো আজ একে একে পূরণ হচ্ছে ।
ড্রাইভার মোঃ শিমুল হাসান (রেজি.নং-২৪২৪) বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ইউনিয়ন, পৌরসভার জনপ্রতিনিধিগণ মোটর শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দিয়ে ত্রাণ বিতরণ করছেন। এবার আমাদের নড়াইলের সংসদ সদস্য মাশরাফী ভাই আমাদের ৮০০ জন মোটর শ্রমিকদের ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছেন, আমরা ওনার প্রতি কৃতজ্ঞতা। ওনার এই উপকারের কথা আমরা কোনদিন ভুলবো না।
সার্বিক বিষয় আলোকপাত করে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম অনিক জানান - "করোনা ভাইরাসে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোমাবেলায় নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা'র ব্যক্তিগত অর্থায়নে এবং কিছু কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে জরুরী খাদ্য সহায়তা ও স্যানিটাইজ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। যে সমস্ত কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এই দুর্যোগে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে নড়াইলবাসীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে সিটি ব্যাংক লিমিটেড, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, অরিয়ন গ্রুপ,এসিই লিমিটেড, মিশন সেভ বাংলাদেশ, ইউনিলিভার বাংলাদেশ, প্রাণ বেভারেজ। নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন নড়াইল জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের মধ্যে এই খাদ্যদ্রব্য ও সানিটাইজ সামগ্রী পৌছে দিয়েছে। "
উল্লেখ্য, মাশরাফীর নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন জেলার ইমাম,মুয়াজ্জিন,পুরোহিত , শিক্ষক,সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী , মৎস্যজীবী, প্রতিবন্ধী, হিজড়াসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী দিয়েছেন।