2203
Published on মে 6, 2020করোনা মহামারী রোধে শরীয়তপুরের পালং-জাজিরা এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু। এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার পরিবারের মাঝে তিনি চাল, ডাল, তেল, পেয়াজ, আলু ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন।
মার্চ মাসের ১৬ তারিখ থেকেই তিনি নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি প্রদানের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরন কার্যক্রম শুরু করেন এবং খেটে খাওয়া দিন মজুর, কৃষক, পরিবহন ও ট্রাক শ্রমিক, রিক্সা-ভ্যান-অটো চালক, নরসুন্দর, বেদে, নির্মান শ্রমিক, প্রতিবন্ধী, হিজরা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, শ্রমিক, কর্মক্ষমহীন, অসহায়, দরিদ্র সহ নিম্ন মধ্যবিত্তদের মাঝেও ত্রাণ বিতরন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
নিজ নির্বাচনী এলাকা করোনা ভাইরাস মুক্ত রাখতে বেপকভাবে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নির্দেশনা মূলক লিফলেট বিতরন, শহর থেকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত মাইকিং, সচেতনতা মূলক চিত্রাংকন ও নিয়মিত জীবানুনাশক স্প্রে করে যাচ্ছেন।
নিজস্ব অর্থায়নে ইকবাল হোসেন অপু এমপি ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী সহ মাঠ পর্যায়ে যে সকল স্বেচ্ছাসেবীগণ কাজ করছেন তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী অর্থাৎ পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, বিশেষায়িত চশমা ইত্যাদি সরবরাহ করে যাচ্ছেন।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত ৩১ নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্থানীয় সিভিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সামরিক কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে সমন্বয় করে সার্বক্ষনীক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সমাজের বিত্তশালী ও সাংবাদিকগন ও সমাজকর্মীদের এই দূর্যোগ মোকাবিলায় যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ, অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যুগিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ সহ অন্যান্য সহযোগি ও সামাজিক সংগঠনকে সাথে নিয়ে এই দূর্যোগ মোকাবিলায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি হট লাইন চালু করেছেন। হট লাইনে কোন দুস্থ ব্যক্তির ফোন আসা মাত্র তার গড়ে তোলা স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী দিন কিংবা রাত হোক সেখানে খাবার সামগ্রী অথবা চাহিত সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।
এছাড়া তার বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত সুলতান হোসেন মিয়া ফাউন্ডেশন এর আওতায় ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল টিম ইউনিয়ন পর্যায়ে যেয়ে দুস্থদের মাঝে স্বাস্থ্য সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং এই ফাউন্ডেশনের আওতায় প্রায় ৩০০ মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জেমগনের মাঝে নিত্য খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি ইফতার সামগ্রী বিতরন করা হয়।
এছাড়া তিনি নিয়মিত প্রায় ৫০০ জন পথচারির মাঝে প্রস্তুতকৃত ইফতার বিতরন করে যাচ্ছেন।তিনি বলেন-''স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে না আসা পর্যন্ত এই ত্রাণ বিতরন সহ সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।"