2109
Published on এপ্রিল 18, 2020মানিকগঞ্জের শিবালয়ের মহাদেবপুর ইউনিয়নের ভ্যান চালক আব্দুল জলিল সপ্তাহ দুয়েক হলো রাস্তায় বের হতে পারছেন না। একমাত্র উপার্জনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চোখে অন্ধকার দেখছিলেন। ৫ জনের পরিবার কি তাহলে এই বিপদের সময় না খেয়ে থাকবে?
গ্রামের চৌকিদার খবর নিয়ে আসলেন না খেয়ে থাকতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী খাবার পাঠিয়েছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর জরুরী খাদ্য সহায়তা পেয়ে আব্দুল জলিলের অনিশ্চতার মেঘ কাটলো।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে সবকিছু বন্ধ। সংক্রমণ রুখতে কয়েক দফা সরকারী ছুটি ঘোষণা হয়েছে। সরকারও চাচ্ছে মানুষ এই সময়ে ঘরে থাকুক। কিন্তু সবার তো আর ঘরে থাকলে পেট চলবে না। অনেক মানুষ এই সময়ে কর্মহীন হয়ে বেকায়দায় পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী বার বার ঘোষণা দিয়েছেন এই দু:সময়ে একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না। তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। সরকার থেকে যথেষ্ট পরিমাণে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে যায় প্রতিটি জায়গাতে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জরুরী খাদ্য সহায়তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউর রহমান খান জানু।
শিবালয়ে দু’টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ৪শ’২৫টি জেলে পরিবারে মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার (১৯ এপ্রিল) উপজেলার শিবালয় ও তেওতা ইউনিয়ন পরিষদে এ চাল বিতরণ করা হয়।
শিবালয় ইউনিয়নের আরিচা, অন্নয়পুর এলাকার ২শ’টি এবং তেওতা ইউনিয়নের জাফরগঞ্জ, আলোকদিয়া ও তেওতা এলাকায় ২শ’ ২৫টি অসহায় জেলে পরিবারের মাঝে ৪০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এ খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়।
তিনি প্রতিদিনই জরুরী খাদ্য সহায়তা নিয়ে ছুটে চলেছেন এক ইউনিয়ন থেকে আরেক ইউনিয়নে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাঁর ত্রাণ কার্যক্রম সবার কাছে প্রশংসিত হচ্ছে সব জায়গাতে।