7356
Published on এপ্রিল 21, 2020করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় শরীয়তপুরের নড়িয়া ও সখিপুর উপজেলায় চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য চালু হয়েছে এক অভিনব উদ্যোগ। ‘ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসক ব্রিগেড’ নামের এই উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন ডাক্তাররা।
একটি গাড়িতে দুজন চিকিৎসক, দুজন নার্স ও দুজন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসক ব্রিগেড। নড়িয়া ও সখিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চালু করা এই ব্রিগেডে রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও নগদ টাকা। রোগী দেখার পর ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ দলের কাছে রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ না থাকলে দেওয়া হচ্ছে ওষুধ কেনার জন্য নগদ টাকা।
৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৬৫০ জন এই সেবা পেয়েছেন। নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করলে ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যেই ডাক্তার নার্স সহ একটি গাড়ি রোগীর বাড়িতে উপস্থিত হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে একটি ব্যবস্থাপত্র এবং ওষুধ দেওয়া হয়।
উদ্যোগটি সম্পর্কে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘চিকিৎসক দলের মুঠোফোন নম্বর দিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। এ এলাকার বহু মানুষ ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে থাকেন। এটি মাথায় রেখে আমরা মানুষের বাড়ি বাড়ি সেবা দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।‘ যত দিন করোনার প্রাদুর্ভাব থাকবে, তত দিন এ সেবা চলবে বলে তিনি জানান।
খাদ্যসামগ্রী ও ত্রাণ বিতরণ
২১ এপ্রিল নড়িয়া উপজেলা ও সখিপুর থানায় ইমাম,মুয়াজ্জিন ও অস্বচ্ছল আলেমদের মাঝে ১০০০ প্যাকেট (প্রতি প্যাকেটে ১০কেজি চাল,১লিটার সয়াবিন,২কেজি চিনি,২কেজি ছোলা,গুড়াদুধ ২৫০ গ্রাম,আলু ২ কেজি,মসুর ডাল ১ কেজি,পেয়াজ ১ কেজি) মানবিক সহায়তা বিতরণ করা হয়।
গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বেগম আশ্রাফুন্নেসা ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে ৪র্থ ধাপে মোট ৩০,০০০ পরিবারের বাড়ীতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানোর ব্যবস্হা করেছেন এনামুল হক শামীম।
১২ এপ্রিল নড়িয়ায় মসজিদের ইমাম ও ৯০০ অসহায় পরিবারদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেয় স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগ। এর আগে সখিপুরের ৯টি ইউনিয়নের কর্মহীন রিক্সা-ভ্যান চালক, দিনমজুর, হতদ্ররিদ্র ৫ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী (চাল-ডাল) বিতরণ করা হয়েছে।
চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি খাদ্য ও ত্রানসামগ্রী বিতরণ করছে নড়িয়া ও সখিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ। ইতিমধ্যে নড়িয়া, সখীপুর ও ভেদরগঞ্জের ২৫টি ইউনিয়নে সাড়ে ১২হাজার পরিবারের হাতে বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে।