18503
Published on অক্টোবর 26, 2020বিশ্বব্যাপী মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। চীনের উহান প্রদেশ থেকে শুরু হওয়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২০০টির বেশি দেশ, বাংলাদেশে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬৮ জন। মারা গিয়েছেন ৬ হাজার ১৪০ জন। সারাদেশে এর প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাঃ
করোনা ভাইরাসের আক্রমনে সংকটাপন্ন মানুষকে দিক নির্দেশনা দিতে ২৩ মার্চ মন্ত্রীসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দশটি নির্দেশনা দেন।
১. ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল (৩০ মে পর্যন্ত বর্ধিত)পর্যন্ত সাধারন ছুটি থাকবে। তবে কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল এবং জরুরি যেসব সেবা আছে তার জন্য এগুলো বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। করোনাভাইরাস বিস্তৃতি রোধের জন্য সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনসাধারণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ ক্রয় ও চিকিৎসা গ্রহণ ইত্যাদি) কোনোভাবেই ঘরের বাইরে না আসার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
২. এ সময়ে যদি কোনো অফিস-আদালতে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করতে হয় তাহলে তাদের অনলাইনে সম্পাদন করতে হবে। সরকারি অফিস সময়ের মধ্যে যারা প্রয়োজন মনে করবে তারাই শুধু অফিস খোলা রাখবে।
৩. গণপরিবহন চলাচল সীমিত থাকবে। জনসাধারণকে যথাসম্ভব গণপরিবহন পরিহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যারা জরুরি প্রয়োজনে গণপরিবহন ব্যবহার করবে তাদের অবশ্যই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়া থেকে মুক্ত থাকতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেই গণপরিবহন ব্যবহার করতে হবে। গাড়িচালক ও সহকারীদের অবশ্যই গ্লাভস এবং মাস্ক পরাসহ পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
৫. ২৪ মার্চ থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে সশস্ত্র বাহিনী জেলা প্রশাসনকে সহায়তায় নিয়োজিত থাকবে। দেশের ৬৪ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাদের স্ব স্ব জেলার প্রয়োজন অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীর জেলা কমান্ডারকে রিকুইজিশন দেবে।
৬. করোনাভাইরাসের কারণে নিম্নের কোনো ব্যক্তি যদি স্বাভাবিক জীবনযাপনে অক্ষম হয় তাহলে সরকারের যে ঘরে ফেরার কর্মসূচি রয়েছে, সে কর্মসূচির মাধ্যমে তারা নিজ নিজ গ্রামে ফিরে গিয়ে আয় বৃদ্ধির সুযোগ পাবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকরা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন।
৭. ভাসানচরে এক লাখ লোকের আবাসন ও জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। এ সময় যদি দরিদ্র কোনো ব্যক্তি ভাসানচরে যেতে চান তাহলে তারা যেতে পারবেন। জেলা প্রশাসকদেরকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
৮. করোনাভাইরাসজনিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় অন্নসংস্থানের অসুবিধা নিরসনের জন্য জেলা প্রশাসকদের খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এ সহায়তা প্রদান করা হবে।
৯. প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৫০০ জন চিকিৎসকের তালিকা তৈরি ও তাদের প্রস্তুত রাখবে। যাতে করে তাদের করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রয়োজনে কাজে লাগানো যায়।
১০. সব ধরনের সামাজিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাগম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষ করে অসুস্থ জ্বর সর্দি কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মসজিদে না যাওয়ার জন্য বারবার নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও সম্প্রতি মিরপুরে একজন বৃদ্ধ অসুস্থ অবস্থায় মসজিদে যান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি পরে মৃত্যুবরণ করেন। তাই ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের প্রতি অসুস্থ অবস্থায় মসজিদে নামাজ আদায় করতে না যাওয়ার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপ
স্বাস্থ্যসেবাঃ
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) শনাক্তের পরীক্ষা সহজ ও দ্রুত করতে পরীক্ষা কেন্দ্র বৃদ্ধির কাজ করছে সরকার। বর্তমানে দেশের ৬৮টি স্থানে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত ২২,৭১,৩৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে ঢাকায় ১০ হাজার ৫০টিসহ সারা দেশে ১৪ হাজার ৫৬৫টি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের কাফন, জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করার জন্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৬ সদস্যের একটি টিম গঠন করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এখন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন মোট ৫ লাখ ৫০ হাজার ৯৮৩ জন এবং ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ লাখ ১১ হাজার ৩৭৩ জন জন। এখন বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮,৬৫৭ জন।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৩,৫১৯টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১,৭৩৫ জন ও শয্যা খালি আছে ১,৭৮৪টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩১৪টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ১৬৮ জন ও শয্যা খালি আছে ১৪৬টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৮২৫টি, ভর্তিকৃত রোগী ১১৪ জন ও শয্যা খালি আছে ৭১১টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩৯টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ১৫ জন ও শয্যা খালি আছে ২৪টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭,৩৮৬টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৫০৯ জন ও শয্যা খালি আছে ৬,৮৭৭টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২১১টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৭৭ জন ও শয্যা খালি আছে ১৩৪টি । সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১১,৭৩০টি, রোগী ভর্তি আছে ২,৩৫৮ জন এবং শয্যা খালি আছে ৯ হাজার ৩৭২টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৬৪টি, রোগী ভর্তি আছে ২৬০ জন এবং খালি আছে ৩০৪টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৩,০৯৫টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৫৬৯টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৩৫৮টি।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া www.dghs.gov.bd এর CORONA কর্নারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা http:/app.dghs.gov.bd/covid19-complain লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে। স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরের মাধ্যমে জরুরী তথ্যপ্রদান অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ২০ লাখ ৬৫ হাজার ৮২৪টি।
করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে ৩,৬২৫ জন চিকিৎসক, ১,৩১৪জন নার্স এবং ৫০০টি প্রতিষ্ঠানের মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের। এছাড়া কোভিড ১৯ বিষয়ক অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেছেন ১০ হাজার ৮১২ জন চিকিৎসক। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কোওর্ডিনেশন সেন্টারের সুত্রমতে ডাক্তার ও চিকিৎসা সেবাদানকারীদেরর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার পিপিই, গাউন, সু প্রটেক্টর, এপ্রন ইত্যাদি বিতরণ করছে।
পাশাপাশি, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের জন্য অ্যালকোহল, করোনা টেস্ট কিট, টেস্ট ইনস্ট্রুমেন্ট, জীবানুনাশক, মাস্ক, প্রটেকটিভ গিয়ারসহ মোট ১৭ ধরনের পণ্য আমদানিতে শুল্ক ও কর অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছে রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দু'টি শর্ত থাকছে তা হলো- ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ পণ্য আমদানি করতে হবে এবং আমদানি করা পণ্য মানসম্মত কি না তা অধিদপ্তর কর্তৃক নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়াও, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জনগণের সার্বিক অবস্থা জানতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গ্রাহকদের কাছ থেকে স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য পেতে সব মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর কাছে এসএমএস পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসএমএসের মাধ্যমে মোবাইল ফোনের গ্রাহকের শ্বাস কষ্ট, জ্বর বা কাশি থাকলে *৩৩৩২# নম্বরে ডায়াল করতে বলা হচ্ছে । কোনো গ্রাহক *৩৩৩২# নম্বরে কল করলে ৯০ সেকেন্ডের একটি আইভিআর ভয়েস পাবে যেখানে আবার তাকে পাঁচটি প্রশ্ন করা হচ্ছে। গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওয়া প্রশ্নের উত্তরগুলো সরাসরি চলে যাচ্ছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বা আইইডিসিআরের কাছে। পরে সেগুলো পর্যালোচনা করে কিছু গ্রাহকের কাছে আরো বিস্তারিত তথ্য জানাতে তাকে আইইডিসিআর থেকে ফোন করা হবে।
যেসকল পেশার ব্যক্তিবর্গ এই সংকট মোকাবেলায় নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে সামনে থেকে কাজ করছেন তাদের জন্য স্বাস্থ্যবীমার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোভিড ১৯ মোকাবিলায় যেসব চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছেন, তাদের সম্মানী দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে। এই বিষয়ে তালিকা তৈরী করার কাজ শুরু হয়ে গেছে। দায়িত্বপালনকালে যদি কেউ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন, তার চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা সরকার নেবে। মাঠে থেকে দায়িত্ব পালন করে চলা সব স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীর জন্য বীমার ব্যবস্থা করা হবে। পদমর্যাদা অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবীমা করা হবে। মৃত্যুর ঝুঁকি আছে বা মৃত্যুবরণ করলে তাদের জন্য এই বীমা ৫ গুণ বৃদ্ধি করে হবে।
দরিদ্রদের সুরক্ষাঃ
করোনার প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে খেটে খাওয়া, হতদরিদ্র ও ভাসমান মানুষেরা। এদের কথা মাথায় রেখে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে।
সারাদেশে নিম্ন আয়ের মানুষদের ১০ টাকা কেজি দরে ৯০ হাজার টন চাল দেওয়া হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোকাবেলায় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য বিনামূল্যে ঘর, ছয় মাসের খাদ্য এবং নগদ অর্থ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সারা দেশে অতিরিক্ত ১৩.৭৫ কোটি টাকা ও ২৩ হাজার টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। এসব চাল ও টাকা ত্রাণ হিসেবে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।
১৬ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে জিআর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে দুই লক্ষ ১১ হাজার ৩৭ মেট্রিক টন এবং বিতরণ করা হয়েছে এক লক্ষ ৬২ হাজার ১৯৩ মেট্রিক টন। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ২৩ হাজার ৫০৪ টি এবং উপকারভোগী লোকসংখ্যা ৬ কোটি ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার ৬৮২ জন । নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় ১২২ কোটি ৯৭ লক্ষ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা। এর মধ্যে জি আর নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮১ কোটি ৭৩ লক্ষ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে ৭১ কোটি ৮১ লক্ষ ৫৭ হাজার ২৭১ টাকা। এতে উপকারভোগীর পরিবার সংখ্যা ৭৯ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩০৪ টি এবং উপকারভোগী লোক সংখ্যা ৩ কোটি ৭৫ লক্ষ ১০ হাজার ৮৫৮ জন। শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ ২২ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১৮ কোটি ৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ২২০ টাকা। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৭৯ টি এবং লোক সংখ্যা ১২ লক্ষ ১৫ হাজার ৭৫৯ জন।
সারাদেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কর্মহীন, দুস্থ, অসহায় মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন। নিচে এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো-
কক্সবাজার
উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন ৫ শ পরিবারে ত্রাণ বিতরণ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। করোনা ফোর্স হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২৫০ দরিদ্র পরিবারের জন্য “ভালোবাসার উপহার” বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ করেছেন হোয়াইক্যং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। মাতারবাড়ীতে ৩৭০০ জনের মাঝে খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছেন মাতারবাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি। রামুর দুর্গম ব্যাঙডেবা গ্রামে সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের নেতৃত্বে গঠিত মনিটরিং সেল। চিকিৎসা সংকট দূর করতে কক্সবাজারে চালু করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল। কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতির সহযোগিতায় ও কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১২ টি ওয়ার্ড ও ১ টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড সহ মোট ১৩ টি ওয়ার্ডের অসচ্চল ও দুস্থ নেতা কর্মীদের পরিবারের কাছে বিতরনের জন্য প্রত্যেক ওয়ার্ডের সভাপতি/ সাধারন সম্পাদকের হাতে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের উপজাতীয় পল্লী চাক হেডম্যান পাড়া, মধ্যম চাক পাড়া, উপর চাক পাড়া সহ মোট ৩টি পল্লীতে করোনাভাইরাস এর কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া ১৫০ পরিবারের মাঝে বাইশারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাউল ও ২ কেজি করে আলু বিতরন করেন।
কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের তিন উপজেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। পাকুন্দিয়া উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ২ হাজার অসহায় মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন কিশোরগঞ্জ-২ এর সাবেক সাংসদ। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন ১০ হাজার হতদরিদ্র মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। নিকলি উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ১৫০টি পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
কুমিল্লা
কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ ও লালমাই) আসনে অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অর্থায়নে দশ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কুমিল্লা সদর এলাকায় করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় ৯ হাজার পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন সদর আসনের সাংসদ। স্থানীয় সাংসদের কাছে এসএমএস করে বাড়িতে খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন কুমিল্লা সদরের সংরাইশ, শুভপুর, কাপ্তানবাজার, ভাটপাড়া, বানাসুয়া, আড়াইওরাসহ বিভিন্ন এলাকার শতাধিক পরিবার। কুমিল্লার দেবীদ্বারে ২০ হাজার পরিবারের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেছেন স্থানীয় সাংসদ। এর আগে তিনি ৮১০ টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। কুমিল্লার-৪ আসনের শ্রমজীবী ২৫০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। কুমিল্লা-৩ আসনের ২২টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে কর্মহীনদের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। মুরাদনগরে দুই কোটি টাকার ত্রাণ বিতরণ করেছেন কুমিল্লা-৩ আসনের এমপি। হোমনা ও তিতাস দুই উপজেলা ১৯ টি ইউনিয়ন একটি পৌর সভায় নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৪৪ হাজার ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ। চৌদ্দগ্রামে অসহায় পরিবারের খাদ্য সঙ্কট নিরসনে তথ্য কেন্দ্র চালু করেছেন স্থানীয় সাংসদ। চান্দিনায় ৬ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য।
৮ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ৮ হাজার নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে। চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র গত ২৭ মার্চ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ২৪৮৭ টি পরিবারের মাঝে ২০ মেট্রিক টন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। তিতাস উপজেলার কর্মহীন ২০ হাজার পরিবারের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার খাদ্য সামগ্রী সহ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৩১ মার্চ হতে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা পৌছে দিয়েছেন তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। মুরাদনগর উপজেলার ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্র প্রায় ৮০টি পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন রকমের সবজি বিতরণ করেন। জেলার ৭টি উপজেলায় 'হ্যালো ছাত্রলীগ' উদ্যোগের মাধ্যমে গোপনে সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। ২৮ এপ্রিল দাউদকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাতের আঁধারে অসহায় মধ্যম/নিম্ন আয়ের মানুষদের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। ১৩নং ওয়ার্ডে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে উপহার হিসাবে সবজি বিতরন করেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী যুবলীগ সদস্য। দাউদকান্দিতে গৌরীপুর ইউনিয়নে ৫০০ পরিবারের ত্রাণ বিতরণ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।মহানগর আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে দক্ষিণ চর্থা থিরা পুকুরপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর মাঠ প্রাঙ্গণে উপহার হিসাবে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়। কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে দক্ষিণ চর্থা হোচ্ছামিয়া লুৎফুন্নেছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর মাঠ প্রাঙ্গণে উপহার হিসাবে কাচা সবজি বিতরণ করেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান। দাউদকান্দিতে বারপাড়া ইউনিয়নে কুমিল্লা (উঃ) জেলা শ্রমিক লীগ সহ-সভাপতির অর্থায়নে ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের ১৯ টি গ্রামের ৭০০টি পরিবারে ত্রাণ পৌঁছান দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ শহরে ১০০০ মাস্ক, গ্লাভস এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ ৫ থেকে ৬ হাজার পরিবারে ফ্রি সবজি বিতরণ, ৫০০ ছিন্নমূল অসহায় মানুষকে ত্রাণ বিতরণ এবং রমজান মাস ব্যাপি ছিন্নমূল অসহায় মানুষদের কে ইফতার খাওয়ানো কার্যক্রম চালাচ্ছে।কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ১ হাজার অসহায়, হতদরিদ্র, নিম্নআয়ের পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছেন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ২৭টি ওয়ার্ড এবং আদর্শ সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ১০০ অসহায় ও কর্মহীন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি। কুমিল্লায় চান্দেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য তাঁর ব্যক্তিগত অর্থায়নে ১০০০ অসহায় দিনমজুরের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় ১০০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাংসদ। দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্যের উদ্যোগে দৌলতপুর হাসপাতালের কয়েকজন ডাক্তারের সমন্বয়ে গঠিত একটি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা টিম ফোন কল পেলেই চলে যাচ্ছে রোগীদের বাড়িতে এবং সেবার পাশাপাশি দিচ্ছেন বিনামূল্যে। দৌলতপুরে ৪ শতাধিক কর্মহীন, দরিদ্র, দিনমজুর ও অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য। মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের দই শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে খোকসা উপজেলা এবং পৌরসভার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে তিন দফায় পাঁচ হাজার পাঁচ শত খেটে খাওয়া ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন খোকসা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক। খোকসা পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ও প্যানেল মেয়র তার নির্বাচনী ৫০০ বাড়িতে নিজস্ব অর্থায়নে প্রতি পরিবারে ৫ কেজি চাল তেল, সাবান ও লবন বিতরন করেন। দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা। ডাটাবেইসে সংরক্ষিত কুমারখালী ও খোকসা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের খানা জরিপ ও অন্যান্য সময়ের বিভিন্ন জরিপের সমন্বিত তথ্য অনুযায়ী দরিদ্র ও অসহায় মানুষ নির্বাচন করে সহযোগিতা পৌঁছে দিচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক।
কুড়িগ্রাম
নাজিরা মুন্সিপাড়া অঞ্চলের কর্মহীন ১২ শত হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন কুড়িগ্রাম পৌর আ'লীগ নেতা। কুড়িগ্রাম পৌরসভার উদ্যোগে দুই শতাধিক কর্মহীন রিক্সা শ্রমিকের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। ফুলবাড়িতে ১০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। কুড়িগ্রামে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়কের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১২০০ পথচারীকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিদিন ৪০০ পরিবারে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে কুড়িগ্রাম জেলার ৫০০০ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে গঠিত স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন ‘সাধারণ’। কুড়িগ্রামে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকের ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুস্থ ৭০০ পরিবারে চাল, ডাল, আলু ও সাবান এবং ২ শতাধিক পরিবারে নগদ ২০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে খাগড়াছড়ির গরীব, দুস্থ এবং অসহায় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বুধবার থেকে ২০ লক্ষাধিক টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ শুরু হয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌর এলাকায় কয়েক ধাপে ৩০০০ এর বেশি পরিবারের কাছে দৈনন্দিন প্রয়োজনের ভোগ্যপণ্য বিতরন করেছেন পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য, এর পাশাপাশি মহালছড়িতে হামে আক্রান্ত পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পুষ্টিকর খাদ্য উপহার বিতরণ করেন।ভাইবোনছড়ার সুধন্যা কার্বারী পাড়া, কাপতলাপাড়া, ভেজাচন্দ্র পাড়া ও ধনেন্দ্র পাড়াসহ প্রায় ১০টি গ্রামে সম্প্রতি শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের হামে আক্রান্ত শতাধিক পরিবারের কাছে প্রধানমন্ত্রী পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিয়েছে খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগ।
খুলনা
খুলনা-৪ আসনের এমপি আব্দুস সালাম মূশের্দীর নিজস্ব অর্থায়নে রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের সকল ওর্য়াডে দু:স্থ, অসহায় ও গরিব ২৫০ জনের মাঝে ত্রান বিতরন করেন। কয়রার মহারাজপুরে ২০০ কর্মহীনদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন খুলনা-৬ এর সাংসদ। করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর খুলনা-৬ এর সংসদ সদস্য এর পক্ষ থেকে অন্তত ১০ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য খুলনা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক এর পক্ষ থেকে খুলনার তেরখাদা উপজেলার সব কয়টি ইউনিয়নে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। করোনায় মৃতের পরিবারসহ লকডাউনে থাকা ৪০ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাতুষ্পুত্র। ৩৮৫২ কর্মহীনের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার বিতরণ করেছেন খুলনার সিটি মেয়র। ২ হাজার মানুষের মাঝে বিনামূল্যে সবজি বিতরণ করেছে খুলনা মহানগর যুবলীগ। খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের উপ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও কমার্স কলেজ ছাত্রলীগ নেতা অসহায়, গরীবদের মাঝে "ফ্রি সবজি" বিতরণ করেছেন।খুলনায় করোনা আক্রান্ত ৪ জন রোগী ও তাদের পরিবার এবং তাদের আশপাশের লকডাউনে থাকা ১১৫ পরিবারের কাছে ১৫ দিনের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে খুলনা মহানগর যুবলীগ। গত ৫ মে মহানগর যুবলীগের ১নং সদস্য’র উদ্যোগে মুহাম্মাদনগর মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে বটিয়াঘাটা উপজেলাধীন ১নং জলমা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ৫দিন ব্যাপী ৪ হাজার পরিবারকে উপহার প্রদানের কর্মসূচি চালু হয়েছে। খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার আওতাধীন ৩ নং ওয়ার্ডের ঋষিপাড়ায় লকডাউনে থাকা ১৫০টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। নগরীর খালিশপুর ও দৌলতপুর এলাকার ২৭৭টি মসজিদের ৮৩১ জন ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমের বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে যুবলীগ। খুলনা মহানগর যুবলীগের সিনিয়র সদস্যর উদ্যোগে মুহাম্মাদনগর মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ৫দিন ব্যাপী ৪ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। নগরীর ২৬নং ওয়ার্ডে নিম্ন আয়ের মানুষ ও ১৪নং ওয়ার্ডে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের মাঝে যুবলীগের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পাইকগাছা উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাঁর নিজস্ব তহবিল থেকে অন্যান্য ইউনিয়ন সহ নিজ ইউনিয়নের প্রায় ৩০০০ কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।
গাইবান্ধা
সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ডেপুটি স্পিকারের ব্যক্তিগত অর্থায়নে ৮ হাজার ৫০০ অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ৬ হাজার শিশু-কে ‘শিশু খাদ্য’ বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন শাখা, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা এর উদ্যোগে ৩০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ডিজিটাল উদ্যোগে দেশের তথ্য প্রযুক্তি, ব্যবসা ও অর্থনীতি এবং সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা ১৫০ পরিবারকে ১০ দিনের খাদ্যসামগ্রী হাতে তুলে দিয়েছেন যা কয়েক দফায় ২০ হাজার মানুষের কাছে পৌছানো হবে। সাঘাটা উপজেলার ১০০০ অসহায়, দুঃস্থ, হতদরিদ্র ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
গাজীপুর
সদর উপজেলার ৫০ হাজার পরিবারের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। এরপর গত ৩ মে তিনি আরো ১০ হাজার কর্মহীন অটোচালক, রিক্সাচালকের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেছেন। গাজীপুর-১ আসনের সাংসদের উদ্যোগে ১৪ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এপর্যন্ত ৬০ হাজার দুস্থ মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন গাজীপুর সিটি মেয়র। পহেলা মে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের সিটি সেন্টারের সামনে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে কয়েক শত কর্মহীন দুস্থ মানুষের হাতে ১০ দিনের খাবার তুলে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক। শ্রীপুর উপজেলায় ১০ হাজার কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। কালিয়াকৈরের প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ব্যবস্থাপনায় উপজেলার পরিষদ ও আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১২,০০০ হতদরিদ্র দিনমজুর, কর্মহীন ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। গাজীপুর-৩ আসনে ১৫ হাজার পরিবারের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন সংসদ সদস্য। কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক সদরচালা এলাকায় পাঁচ শতাধিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সদস্য। প্রতিদিন ৫০০ স্বল্প আয়ের ভ্রাম্যমাণ মানুষকে ইফতার করাচ্ছে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগ। মহানগরীর ২ হাজার পরিবারে ১০ কেজি পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী এবং ২০০ পরিবারে এক মাসের খাদ্যসামগ্রী দিয়েছেন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক।
শ্রমজীবী মানুষ যাদের কাজের তাগিদে বাধ্য হয়েই রাতে বাইরে থাকতে হচ্ছে তাদের কাছে গিয়ে রাতের বেলা সেহেরি পৌঁছে দিচ্ছে জেলা ছাত্রলীগ। কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের এক হাজার পরিবারের মাঝে চাল-ডাল, আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ করা হয়েছে। ২০০ অসহায় পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ করেন ৭নং ওয়ার্ড সাভার পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। গাজীপুর জেলা শ্রীপুর উপজেলার যুবলীগ নেতা ব্যক্তিগত উদ্যোগে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন তেলীহাটি ইউনিয়ন এবং শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা ইউনিয়নের খেটে খাওয়া দিনমজুর ২০০ পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। শ্রীপুরের ধমদমা গ্রামে নিজ খামারের মাছ, দুধ, ডিম স্থানীয় প্রতিবন্ধীদের মাঝে বিতরন করছেন যুবলীগ নেতা। সদর উপজেলার মির্জাপুর, ভাওয়ালগড় ও পিরুজালী ইউনিয়নসহ শ্রীপুর উপজেলার সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। কালিয়াকৈর পৌর প্রশাসনের ও কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামীলীগের মাধ্যমে পৌর সভায় ৯ টি ওয়ার্ডে হতদরিদ্র ,দিনমজুর ও কর্মহীন জনগনের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে ৪০০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়। ফোন করলেই বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে গাজীপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগ। সাভারে নিম্নবিত্তদের মাঝে ৬০ টন খাবার সামগ্রী বিতরণ করেছেন তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। নগরীর পাঁচ শতাধিক কর্মহীন পরিবহন শ্রমিকের মাঝে খাদ্য সহায়তা এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক। পাঁচ শতাধিক দরিদ্র কর্মহীন মানুষদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ইফতার দিয়েছেন গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের তত্বাবধানে স্থানীয় এমপি’র সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনায় করোনা পরিস্থিতিতে উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ভালোবাসার উপহার হিসেবে ৩ হাজার দিনমজুর, শ্রমিক, হতদরিদ্র, অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সাভারের আশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নিজস্ব অর্থায়নে পাঁচ শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরন করেছেন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৫৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২৫০০ গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ঘোষবাগ এলাকার আলহাজ্ব তৈয়ব আলী মডেল বিদ্যালয় মাঠে ও আউকপাড়া বস্তিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রায় ১৫০০ দুঃস্থ ও প্রতিবন্ধী পরিবারের মাঝে খাদ্য উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার দেওয়ার বাজার এলাকায় অগ্রনী সংসদ চত্বরে সোমবার দুপুরে জেলা যুবলীগের উদ্যোগে ৫০০ কর্মহীন অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়।
গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ১৩ হাজার ৫০০ কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১৯ হাজার অসহায় হতদরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন এবং আরো ৬ হাজার মানুষকে সহায়তা দিচ্ছেন গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাংসদের ছেলে। কাশিয়ানীর পুইশুর ইউনিয়নে ঘরবন্দি দুই শতাধিক পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। জেলা ছাত্রলীগের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ১০০ জন মানুষকে ত্রাণ সহয়তা দেন। জেলা শহরে অসহায় দরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে সবজি বিতরণ করছে ছাত্রলীগ। গোপালগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্নআয়ের ২৫০ হিন্দু পরিবারের মাঝে বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন সদর উপজেলা সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি। মুকসুদপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৬ হাজার মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী, নতুন কাপড় ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন মুকসুদপুর থানা আওয়ামীলীগের সদস্য। গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ৩৫০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে এক লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ নিজ অর্থায়নে ১১,০০০ মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। সদর উপজেলার কাঠি ইউনিয়নে ৭০০ পরিবারে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক।
চট্টগ্রাম
মিরসরাই উপজেলার কর্মহীন, অসহায় ১২ হাজার পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দিচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও চট্টগ্রাম-১ এর সংসদ সদস্য।চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ৫০,০০০ পরিবারের মাঝে সরকারি-ব্যক্তিগত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। রাউজানের ১৪ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রায় ৩০ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যদ্রব্য ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য ২০ হাজার মাস্ক বিতরণ করেন, ৭০০ শত মসজিদের ১৪০০'শ ইমাম/মুয়াজ্জিন এবং ১১২ জন গ্রাম পুলিশের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন স্থানীয় সাংসদ রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। চট্টগ্রাম মহানগরে ৪১ টি ওয়ার্ডে তালিকাভূক্ত গরীব ও অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে সরকারি ত্রাণ-সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৯০ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। পটিয়ার প্রায় ৬৫ হাজার অসহায়, দরিদ্র, গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ। আনোয়ারা উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের আইরমঙ্গল,তুলাতলী,পূর্ব বরৈয়া ও পশ্চিম বরৈয়া গ্রামের কর্মহীন ৪৩০ পরিবারের মাঝে ভূমিমন্ত্রীর পক্ষে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে।
নিম্নবিত্ত, হতদরিদ্র ও মধ্যবিত্ত ১৭,৫০০ পরিবারে খাদ্য সহায়তা প্রদান চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সিটি মেয়র। ২৫০ দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন। ২৭ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত পর্যন্ত নগরের খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর, রিকশা/ ভ্যান চালক এবং ভিক্ষুকদের মাঝে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন। চট্টগ্রাম বন্দরের ১৫০০ শ্রমিককে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন। নিজের মালিকানাধীন ৪টি প্রতিষ্ঠানের ১৩৩২ জনকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন। সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত ৫৫০ জন গাড়ী চালকের মাঝে ব্যক্তিগত তহবিল হতে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন। বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার মালিকের সাথে সমন্বয় করে নগরের খুলশী এলাকায় পরিত্যক্ত হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে স্পেশালাইজড করোনা হাসপাতাল হিসেবে চালুকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের এই নেতা। বেসরকারি সেবা সংস্থা আল মানহিল ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বিনামূল্যে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত রোগী ও মৃতদেহ পরিবহনের নিমিত্তে সার্বক্ষণিক দুটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা এবং লাশ দাফনের জন্য প্রশিক্ষিত একটি দল নিজ উদ্যোগে প্রস্তুত করেছেন তিনি। আরো ১৫০ জন অস্বচ্ছল নেতাকর্মীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন চসিক মেয়র। কাজির দেউড়ি বাজার সংলগ্ন চত্বরে বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন (বিএলএফ) চট্টগ্রাম নগর শাখার ৩৫০জন শ্রমিক-কর্মচারীর মধ্যে সিটি মেয়র ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ইফতার ও সেহেরি সামগ্রী উপহার দেন। ৩০ এপ্রিল নগরীর ৪নং চাঁন্দগাও, ৫ নং মোহরা ও ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে কর্মীদের মাঝে উপহার সামগ্রী প্রদান করেন তিনি।
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কর্মহীন পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। যারা লোকলজ্জার ভয়ে ত্রাণের কথা বলতে পারেন না, তাদের জন্য ‘জরুরী সেবা নাম্বার’ ০১৩১৮৩২৬০১৬ চালু করেছেন তিনি। নগরীর জিইসি, আগ্রাবাদ ও জামাল খান ওয়ার্ডের দুস্থ ও খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে নিজ হাতে ত্রাণ তুলে দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী এবং চট্টগ্রামের ফিল্ড হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তারদের জন্য ২ হাজার সার্জিকাল মাস্ক দিয়েছেন তিনি। নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদকের পক্ষে এলাকার বিভিন্ন স্থানে দুস্থ মানুষদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। চন্দনাইশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদকের ব্যক্তিগত অর্থায়নে ৩০ হাজার মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় ৩১০০ কর্মহীন ও অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় ৬০০০ পরিবারের কাছে ইফতার ও সেহরি সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। নিম্ন আয় ও দিনমজুর অসহায় ১ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়ত বিতরণ করেছেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ কমিটির সদস্য। হটলাইনের মাধ্যমে প্রাপ্ত ৪১৩২ জনের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন চট্টগ্রাম-৩(সন্দ্বীপ) আসনের সাংসদ। লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ২২ শতাধিক হতদরিদ্র-দিনমজুর ও অসহায় পরিবারকে ইফতার সামগ্রীসহ ত্রাণ সহায়তা দিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উদ্যোগে জোবরা গ্রামে ৩০০ মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, ৪০০ সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ এবং একজন কৃষকের ধান কেটে দেওয়া হয়।চট্টগ্রাম মহানগরের আওতাধীন পাঁচলাইশ থানা এলাকায় ‘উপহারের গাড়ি’ দিয়ে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের অর্থায়নে প্রায় ৩০০০ মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন মহানগর ছাত্রলীগের নেতা। করোনা আক্রান্ত ২ রোগীর পরিবারের কাছে উপহারসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন হাটহাজারি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা।করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় কাজ করছেন এমন ২ হাজার ব্যক্তিদের কাছে প্রতিদিন সেহেরি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন রাউজানের সাংসদ পুত্র। মিরসরাইয়ে ৪০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে পৌর শাখা আওয়ামী লীগ। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের ২১৫ জন দিনমজুর ও কাঠুরেকে ১০ দিনের খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। সীতাকুন্ড উপজেলায় সলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর আয়োজনে ইউনিয়ন ব্যাপি এক হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। হাটহাজারী উপজেলায় ২২০ পরিবারের মাঝে চাল বিতরন করেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। হাটহাজারীতে কর্মহীন মানুষদের জন্য বিনামূল্যে সবজি বিতরনের ব্যবস্থা করেছেন এবং মির্জাপুর ইউনিয়নের ৪৫ জন প্রতিবন্ধীকে সহায়তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সাবেক সদস্য। হাটহাজারী মেখল ইউনিয়নে করোনা প্রাদুর্ভাবে ঘর বন্দী অসহায় ২২০ (৫ কেজি করে চাউল) পরিবারের মাঝে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ। বাশখালী উপজেলা ২১ হাজার পরিবার কে ২৫ কেজি করে চাল বিতরন করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক। সন্দ্বীপে ১২ হাজার মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ। বাঁশখালি উপজেলার নাপোড়া গ্রামের প্রয়াত মাস্টার নজির আহমদ পরিবারের উপহার যাচ্ছে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নের ২১ হাজার পরিবারে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ৩২ নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক রাতে জনসমাগম এড়িয়ে এলাকারগরীব, নিন্মবিত্ত, গার্মেন্টস শ্রমিক, কুলি, ভ্যান-চালক সকল পরিবারের মাঝে প্রতিটা পরিবারের জন্য এক সপ্তাহের খাবার সকল পরিবারে পৌছে দেন। পাশাপাশি এলাকার প্রায় ৪০০ পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের পরিবারের জন্যেও খাদ্য সহায়তা দেন। হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদার্শা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার পক্ষে প্রতিবেশী ১০০ পরিবার সহায়তায় প্রদান করে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হটলাইন নম্বরের মাধ্যমে খোজ পেয়ে প্রায় ৩০০ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে 'উপহার' পৌঁছে দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ নেতা। ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৪০০০ মানুষকে স্যানিটাইজার ও মাস্ক, ২০০ পরিবার কে প্রতিদিন বিনামূল্যে শাকসবজি এবং ১৫০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন আসন্ন সিটি নির্বাচনে কমিশনার মনোনয়ন প্রার্থী। হাটহাজারীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তার-নার্স-স্টাফ-রোগীদের হাতে মায়ের হাতে রান্না করা সেহরি তুলে দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা। কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে শুরু করে সি এন্ড বি, মোলভী পুকুর পাড়,পুরাতন চান্দগাঁও, বহদ্দারহাট মোড়ে খেটে খাওয়া, দিন মজুর ও গরীবের মঝে চাল, ডাল, আলু , পেয়াজ , সাবান, ডেটল ইত্যাদি বিতরন করেছে চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আশপাশের শতাধিক রিকশা চালক, দিনমজুর ও পথ শিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেছেন চবি ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক
চাঁদপুর
চাঁদপুর-৩ এর সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির উদ্যোগে করোনা সংক্রমণ রোধে চাঁদপুর পৌর এলাকায় কর্মরত ১৮০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর মাঝে বুট, রাবার গ্লাভস্, পোশাক, মাস্ক ও গগলস্ বিতরণ করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া এবং দরিদ্র ২০০০ পরিবারের মাঝে শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে খাদ্যসহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। চাঁদপুর-২ আসনে কর্মহীন ১৪০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করলেন সংসদ সদস্য । কেন্দ্রীয় যুবলীগের উদ্যোগে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ৫নং দূর্গাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ত্রাণ কমিটির মাধ্যমে ইউনিয়নের ২২০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) চাঁদপুর মতলব, উত্তর-দক্ষিণ থানার পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিকবৃন্দ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার, নার্সসহ মেডিকেল কর্মী ও উপজেলা চেয়ারম্যান, মেম্বারদের মাঝে করোনা সুরক্ষা সামগ্রীসহ ১ হাজার ব্যাগ খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক। যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদকের ব্যক্তিগত অর্থায়নে চাঁদপুরের মতলব পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে ৫ শতাধিক পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ৯০০ কর্মহীনদের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য ইঞ্জিঃ মোহাম্মদ হোসাইন। মতলব উত্তর-দক্ষিণ উপজেলায় সকল ইউনিয়ন এবং পৌরসভার ১০ হাজার অসহায়, কর্মহীন মানুষের মাঝে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের উদ্যোগের রমজানের উপহার বিতরণের করা হচ্ছে।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তিতে নয় হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছেন স্থানীয় সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। কচুয়া উপজেলায় ভ্যান চালক, রিক্সাওয়ালা,ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সহ ঘরমুখি কর্মহীন হত দরিদ্রদের মাঝে ১ হাজার ত্রান সমগ্রী বিতরন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী। সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের মেঘনা নদী তীরে গুচ্ছগ্রামের অসহায় ও দুস্থ এক হাজার ৮৩০টি পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন ইউপি চেয়ারম্যান। কচুয়া উপজেলায় ১২০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক। চাঁদপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে ৬০০০ পরিবারের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে হটলাইন চালু করে হাইমচরে সাড়ে ৭ হাজার পরিবারে খাবার পৌঁছে দিয়েছে ৫০ জন তরুণ।
জয়পুরহাট
করোনার সঙ্কটে গ্রামের দরিদ্র মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদের হুইপ ও জয়পুরহাট-২ আসনের সাংসদের উদ্যোগে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তিনটি মেডিক্যাল দল গঠন করে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে জেলার ৩২টি ইউনিয়নে। জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে অসহায় ও দরিদ্র তিন শত জনের মাঝে সবজি বিতরন (কাঁচামরিচ, মিষ্টি লাউ শাক, করলা, বেগুন) করা হয়েছে। পাঁচবিবি উপজেলায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত ও লকডাউনে থাকা পরিবারের প্রতি সার্বিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পাঁচবিবি উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার ওইসব পরিবারের মধ্যে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ ও তেলসামগ্রীর ত্রাণ প্রদান করেন তারা। এ ছাড়া ওই সব পরিবারের জমির পাকাধানও কেটে মাড়াই করে দেন তারা।
জামালপুর
সরিষাবাড়ির ৪০ হাজার কর্মহীন মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। কর্মহীন ৪০০ পরিবারের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী বিতরণ করেন মাননীয় তথ্য প্রতিমন্ত্রী। উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে ৫০০ গরীব, দুখী, অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি যেয়ে নিজ হাতে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। এপর্যন্ত ২৫,৭০০ পরিবারের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। জামালপুর-শেরপুর ব্রীজ এলাকায় দেড় শতাধিক অটো চালকের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে সিএনজি-অটো রিকসা শ্রমিক ইউনিয়ন। শহরের পাঠালিয়া, গুয়াবাগিয়া, খুপিবাড়ি, চালাপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় করোনায় কর্মহীন অর্ধশতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। অসহায় ৫০০ পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার বিতরণ করেছে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ। সরিষাবাড়ি পিংনা ইউনিয়নের নিম্ম আয়ের কর্মহীন মানুষ এবং ভ্যান চালকদের মাঝে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। খেজুরতলা এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া তিন হাজার মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তার ত্রাণ বিতরণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। সরিষাবাড়ি উপজেলায় পোগলদীঘা ইউনিয়নে এডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে ৯০০ পরিবারের মাঝে প্রতি পরিবারে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১/২ কেজি ডাল, ১/২ কেজি লবন, ১/২ কেজি তেল, ১/২ কেজি পেঁয়াজ, ১ টি ক্ষারযুক্ত সাবান বিতরণ করা হয়। সরিষাবাড়িতে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে প্রায় শতাধিক দিনমজুর ভ্যান চালক, চা বিক্রেতাসহ নিম্ন আয়ের মানুষের পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে ছাত্রলীগ।
ঝালকাঠি
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঝালকাঠিতে ২ হাজার পরিবারকে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ঝালকাঠি-১ আসনের সাংসদ রাজাপুর-কাঁঠালিয়াতে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবীদের মাঝে ২০০০ পরিবারকে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী উপহার প্রদান করেন। ঝালকাঠিতে ৩০০ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।
ঝিনাইদহ
করোনা ভাইরাস সংক্রামণ মোকাবেলায় হতদরিদ্র, ঘরবন্দী কর্মহীন পাঁচ হাজার পরিবারের মাঝে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রথম ধাপে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন ঝিনাইদহ-৩ এর সংসদ সদস্য। হরিণাকুণ্ডু উপজেলার নিম্ন আয়ের হতদরিদ্র ২৫০০০ মানুষের মুখে খাবার তুলে দেন পৌর মেয়র। সদর উপজেলার কালিচরনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ১০০০ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন যুবলীগ নেতা।
টাঙ্গাইল
ধনবাড়ী ও মধুপুর উপজেলায় প্রায় ৩০০০ পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিয়েছেন মাননীয় কৃষিমন্ত্রী। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে ২৫ হাজার পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন টাঙ্গাইল-৭ আসনের সাংসদ। মধ্যবিত্তদের জন্য অভাবনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌর মেয়র। মধ্যবিত্ত গৃহকর্তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাদেরকে নিজ উদ্যোগে সহায়তা দিচ্ছেন তিনি। মির্জাপুর এলাকায় প্রায় ২৫ হাজার পরিবার স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা পেয়েছে। টাঙ্গাইল-৬ এর সাংসদের ব্যক্তিগত তহবিলের প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এপর্যন্ত নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের দুস্থ, অসহায়, কর্মহীন অটো চালক, সিএনজি চালক, গণপরিবহন শ্রমিক, পুস্তক বাধাই শ্রমিক, নির্মান শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, দলিত সম্প্রদায়, বেদে সম্প্রদায়, লেবু চাষী, তাঁত শ্রমিক, ইমাম-মুয়াজ্জিন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষসহ নিম্ন আয়ের প্রায় ২৫ হাজার পরিবারের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও হংকং আওয়ামী লীগের সভাপতি পবিত্র ঈদ উপলক্ষ্যে ২ হাজার অসহায় পরিবারকে ১০ লাখ টাকা অর্থ প্রদান করেছেন।
ঠাকুরগাঁও
১৩ নং গড়েয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা, ঠাকুরগাঁও এর উদ্যোগে করোনা ভাইরাসের কারনে ৫০০ জন অসহায়,কর্মহীন ও খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে ৫ কেজি চাল,৫০০ গ্রাম ডাল, ৫০০ মিলি সয়াবিন তেল ও ১ টি করে সাবান বিতরন করা হয়। ঠাকুরগাঁওয়ে কর্মহীন ১০০০ দিনমজুরদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে রুহিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার অন্তর্গত তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৭১৫ জন গরীব, কর্মহীন ও হত-দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য-সামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। উপজেলার বড় পলাশবাড়ী এবং আমজানখোর ইউনিয়নে ১৭৬৪টি পরিবারে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নে ২৩০টি পরিবারে সহায়তা দিয়েছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। ঠাকুরগাঁও পৌরসভা সহ সদর উপজেলার বালিয়া এবং দেবীপুর ইউনিয়নে প্রায় ৫০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য-সামগ্রী এবং নগদ ৩৫০০০ টাকা বিতরণ করেছেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক।
ঢাকা
ফার্মগেটে কর্মহীন পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কেরানীগঞ্জ উপজেলায় তিন দফায় ১ লক্ষ ৬ হাজার মানুষের কাছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী এবং কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান। প্রায় ৫০০০০ পরিবারের প্রতিদিনের খাবারের ব্যবস্থা করছেন তিনি। মধ্যবিত্তদের খাদ্য সহায়তা দিতে ছাত্রলীগের সহযোগিতায় তালিকা তৈরি করছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। ঢাকা-১৫ আসনের সাংসদ শিল্প প্রতিমন্ত্রী মিরপুরে কয়েকদফায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। ঢাকা-১২ আসনের তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, শেরে বাংলানগর, হাতিরঝিল এলাকায় ৫ হাজার মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঢাকা-২ আসনে করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন প্রায় ৩৫০০ মানুষকে ত্রাণ দিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, উপসানালয়, ইমাম, গরিব অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি, ২৩ এপ্রিল ১৫০০ মানুষের এবং ৭ মে ২০০০ মানুষের খাবার সরবরাহ করেন এই কমিটির সদস্যবৃন্দ। সবুজবাগ থানার মাদারটেক এলাকার তিতাস রোডে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম এর মাধ্যমে করোনাসংকটে ক্ষতির সম্মুখীন এলাকার দুস্থ ও গরীব মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য। মোহাম্মদপুর এলাকায় স্থানীয় সাংসদের পক্ষে ৭৫০০ মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
৫০০ বৃহন্নলা পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটির নব নির্বাচিত মেয়র। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নিজ উদ্যোগে ৫০ হাজার মানুষের কাছে গোপনে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। । ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন করোনায় কর্মহীন মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিতে হটলাইন চালু করেছে। রাজধানীতে যুবলীগ ২৪ ঘন্টার জন্য জরুরী অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করেছে সম্পূর্ণ ফ্রিতে। ০১৭১৫৩৮৫৪৯৮, ০১৭১১১০১৫২৬, ০১৭১১১৫৮৯৭১, ০১৭১২০৪১০০৮ এবং ০১৭৫৩৪৮২৮০৬ এই নাম্বারগুলোতে কল করলেই সেবা মিলবে যুবলীগের ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গরীব ও দুস্থ জনগোষ্ঠীর মাঝে খাবার বিতরণ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কাউন্সিলর। লালবাগে দিনমজুর ও অসহায় দরিদ্র ৫০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কয়েক দফায় প্রায় ২ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ডিএনসিসি এলাকায় ডিএনসিসি, ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধির উদ্যোগে মোট ১ লাখ ৫৬ হাজার ১৬৬টি পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। শ্যামলী ক্লাব মাঠে ১০০০ অসহায়ের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে ঢাকা উত্তর মহানগর যুবলীগ। ৩০০০ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করেছেন যুবলীগ কর্মী ও স্থানীয় ব্যবসায়ী।
রায়ের বাজার বশিরের বস্তিসহ আরও পার্শ্ববর্তী এলাকার বস্তিতে নিম্ন আয়ের ২০০ পরিবারের মাঝে ত্রানসামগ্রী বিতরণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য। ওয়ারীর বিভিন্ন এলাকায় কর্মহীন মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল, তেল, আলু ও ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি। কাকরাইল, বেইলি রোড, ইস্কাটন ও পশ্চিম মালিবাগ এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। শান্তিবাগ ও গুলবাগ এলাকায় বিতরণ করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ব্যক্তিগত উদ্যোগে পল্টন ও শান্তিনগর এলাকার নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন পল্টন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। কাফরুলের ইমান নগর, ১৪ ডি, টিনশেড ও গোয়ালবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের উদ্যোগে শেওড়া পাড়ার বৌ বাজারে ৬ হাজার মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের পক্ষে গত ২০ মার্চ থেকে ৮ মে পর্যন্ত প্রায় ৩৪০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০০ জন কর্মহীন স্কুল ভ্যান চালক অসহায়দের মাঝে রমজানের খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় ৮ হাজার মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। দক্ষিণ মনিপুরে অসহায় কেটে খাওয়া মানুষদের তালিকা তৈরি করে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক। মিরপুরের পল্লবীতে মহানগর যুবলীগ উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদকের আয়োজনে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হাতে ত্রাণ সহায়তা ও সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দিয়েছেন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্মহীন প্রায় ৪০০০ পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেছেন। শেওড়াপাড়ায় শতাধিক পরিবাবকে বাড়িতে তৈরি ইফতার বিতরণ করলো বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিজ উদ্যোগে এ পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৮৩০ জন অসহায় মানুষ ও কর্মীকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। ঢাকা মহানগর (উত্তর) তাঁতী লীগের সভাপতি ২৫০০ দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। লালবাগের ললিত মোহন দাস লেনসহ ডিএসসিসির ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার শতাধিক পরিবারের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক। কাফরুল থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এবং সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ১৬ নং ওয়ার্ড ঢাকা উত্তর এ ২০০০ মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন। করোনাভাইরাসের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। করোনা ক্ষতিগ্রস্ত হিজড়া সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঈদবস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে যুবলীগ। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নবগঠিত ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহ-সভাপতি বিগত ৫ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত ১০৪৭০ পরিবার মাঝে স্বচ্ছতা রেখে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।
শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডেমরা, কোনাপাড়া এলাকায় রাতের আধারে প্রায় ২০০ অসহায় পরিবারের ঘরে ঘরে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটির ৫ নং ওয়ার্ডে অবাঙালি বিহারি ক্যাম্পে ১ হাজার হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর। উত্তর সিটির ২৪ নং ওর্য়াডের কাউন্সিলর এলাকার অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন করেন। দক্ষিণ সিটির ২৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের উদ্যোগে ২০০ পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। ৩৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ‘কুইক ডাক্তার’ এর ব্যবস্থা করেছেন যেখানে কল করে যেকোন সময় জরুরী চিকিৎসা সেবা নেওয়া যাবে, পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে দুপুরে ফ্রি সবজি বিতরণ, সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে ইফতার এবং রাতে লকডাউনে থাকা মহল্লায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। কেরানিগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের দেড় হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। ১৪৬ প্যাকেট ত্রান সামগ্রী বিতরন করেন ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাধারন সম্পাদক এ পর্যন্ত ৫০০০ অসহায় পরিবার কে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মহানগর উত্তরের ৬৫ টি ওয়ার্ডে গত ২৩ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১৬ হাজার মানুষের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিজ উদ্যোগে এ পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৮৩০ জন অসহায় মানুষ ও কর্মীকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। মোহাম্মদপুরে ১৭ হাজার মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। পুরান ঢাকার অসহায়, হতদরিদ্র ছিন্নমূল চারশ পথচারীকে মধ্যরাতে সেহরির খাবার দিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। মিরপুরের পল্লবীতে ৩০০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটির ৫নং ওয়ার্ড কমিশনার। অসহায়, ছিন্নমূল, দরিদ্র, খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিজস্ব অর্থায়নে একশো গরিব ও অসহায় পরিবারের মাঝে রোযা উপলক্ষে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছেন। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের উদ্যোগে ৯৯ নং ওয়ার্ডের ফার্মগেট এবং ২৭ নং ওয়ার্ডের আগারগাঁও এলাকায় ১০০০ অসহায় মানুষের মাঝে তাদের পরিবারের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় ত্রান সামগ্রী বিতরণ করে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ।
মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সহযোগিতায় ৭০০-৮০০ অসহায় ও দুস্থদের ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ছাত্রলীগের সভাপতি। ১০ হাজারের মানুষের কাছে খাবার বিতরণ করেন ঢাকা উত্তরের এক নম্বর ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর। কলাবাগান, ঝিকাতলা, বাংলা মটর, মগবাজার, বনশ্রী,কমলাপুর,শাহজাহানপুর, সিপাহী বাগ, ভূইয়া পাড়া, বাসাবো, মুগদাপাড়া, মানিকনগর, গোড়ান সহ কিছু এলাকাতে ৬০০ পরিবারে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছেন মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। মোহাম্মদপুরের ৩৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গত ২৭ দিন ধরে প্রতিদিন ৩০০ জন করে মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন। ঢাকার সবুজবাগে ১৫০ পরিবারে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয় সবুজবাগ থানা ছাত্রলীগ নেতা।
কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের আয়োজনে কোট কাচারি এলাকায় হতদরিদ্র কর্মহীন অসহায় ৫০০ পরিবারের মাঝে রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ফ্রি সবজি দোকান খুলেছেন। বনানী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ৫০০ জন কর্মহীনের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য রূপনগর আবাসিক এলাকার ২৬, ২৭ এবং ২৮ রোডে ৩২৪ টি পরিবারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। ৫১নং ওয়ার্ড ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মিরহাজিবাগ যাত্রাবাড়ি এলাকায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর উদ্যোগে ২ বার ৫০০ জন কে দেওয়া হয়েছে ত্রাণ সামগ্রী। শান্তিনগর, শাহজাহানপুর, বংশাল, আরামবাগ, খিলগাঁও বাগিচা, কলতাবাজার যাত্রাবাড়ি, পুরান ঢাকার প্রায় চার বারে ৪০০ পরিবারের খাদ্য সহয়তা দিয়েছেন যুবলীগ নেতা।
দিনাজপুর
দিনাজপুরে কর্মহীন ২০ হাজার পরিবার ও অভুক্ত প্রাণীদের খাবারের ব্যবস্থা করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী। দিনাজপুরে দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের ২০০টি পরিবারের বাড়ি বাড়ি যেয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন জাতীয় সংসদের হুইপ। দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ কমিটির উদ্যোগে শহরের গোর-এ- শহীদ ময়দানে ৫০০ জন দুস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বীরগঞ্জে দেড় শতাধিক ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মাঝে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ করেছেন দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য। ঘরবন্দী কর্মহীন ১৩ উপজেলার দরিদ্র পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয় জেলা প্রশাসন। দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রায় ১৮০০ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। জেলার নবাবগঞ্জসহ চার উপজেলায় এপর্যন্ত ৪০ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছেন স্থানীয় সাংসদ। নবাবগঞ্জ উপজেলার ৯টি উইনিয়নের অসচ্ছল আওয়ামী লীগসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের ৬২০ জন নেতাকর্মীর মাঝে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় নিজস্ব তহবিল থেকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ীকমিটির সদস্য। ডোমারে ১ হাজার কর্মহীন পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক। ৩৫০০ পরিবারে ১০টি করে ডিম বিতরণ করেছেন হিলি উপজেলা চেয়ারম্যান।হাকিমপুর উপজেলাধীন বোয়ালদাড় ইউনিয়নে ২৫০ টি পরিবার কে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন সেরাঙ্গন আওয়ামী যুবলীগ সিঙ্গাপুরের সহ-সভাপতি। নবাবগঞ্জ উপজেলার রামপুর বাজার মোড় এলাকায় বিনামূল্যের সবজির দোকান স্থাপন করেছে উপজেলা যুবলীগ। দিনাজপুর সদর উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের ৯০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। দিনাজপুর-৬ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্যর নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ৩০০ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন পুটিমারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নে সাড়ে ৪’শ কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য। বিরামপুর, হাকিমপুর নবাবগঞ্জ ও ঘোড়াঘাট এই চার উপজেলায় কর্মহীন শ্রমজীবি অসহায় ৮০,০০০ হাজার মানুষের মাঝে বিভিন্ন খাবার সামগ্রী বিতরণ করেছেন দিনাজপুর-৬ এর সাংসদ পাবর্তীপুর ও ফুলবাড়ী উপজেলায় কর্মহীন ৫৫০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য ও ১০ নং রাণীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজস্ব অর্থায়নে সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রেখে এলাকার কর্মহীন ৪০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
নওগাঁ
সাপাহারে লকডাউনে থাকা কর্মহীন, দরিদ্র ও দিনমজুরদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয় সাংসদ। নওগাঁ-২ আসনের ৫ হাজার পরিবারের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। সদর উপজেলায় ১০ হাজার দরিদ্র পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। সদর উপজেলার ১০ হাজার পরিবারের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন এবং আরো ২০ হাজার পরিবারের কাছে পৌছানোর উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ। রানীনগরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের ১৪ জনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেছেন স্থানীয় সাংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার কর্মহীন হয়ে পড়া দিনমজুর, হতদরিদ্র, অসহায় মানুষদের মাঝে ৫০ লক্ষাধিক টাকার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। নওগাঁয় স্থানীয় সাংসদের উদ্যোগে নিজস্ব তহবিল থেকে হটলাইন মানবিক খাদ্যসহায়তা কেন্দ্র থেকে স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের দিয়ে ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছেন। ধামইরহাটে ২৭০০ পরিবারকে সবজি সহায়তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ।
নরসিংদী
শহরের দরিদ্র ও শ্রমজীবী ২০ হাজার মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন পৌর মেয়র। নরসিংদীতে অসহায়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌছে দিচ্ছেন এবং প্রতিদিন গড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষকে ইফতার (ভুনা খিচুড়ি, ডিম, সবজি) বিতরণের কর্মসূচি চালু করেছেন শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র।নরসিংদীর রায়পুরায় মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে লকডাউন এলাকা রায়পুরা পান্থশালায় এবং অলিপুরা ও চান্দের কান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ১০০০ কর্মহীন, হতদরিদ্র, নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকদের মাঝে বুধবার সকালে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সংসদের অন্যতম সদস্য। নরসিংদী জেলা আওয়ামী যুবলীগের সকল নেতাকর্মীর নিজস্ব অর্থায়নে নরসিংদীর প্রায় ১২০০ পরিবারের মাঝে উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেয়া হয়েছে। নরসিংদী সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ২ শতাধিক পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে সবজি বিতরণ করেন। নরসিংদী পৌরশহরে রাস্তায় ভ্যানগাড়ি নিয়ে শহরের বিভিন্ন মহল্লায় ফ্রি সবজি বিতরন করছে নরসিংদী সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। রায়পুরা উপজেলার একটি পৌরসভা ও ২৪টি ইউনিয়নের তিন হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সমাগ্রী বিতরণ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। পলাশ উপজেলার ২৫ হাজার মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করছেন নরসিংদী-২ এর সাবেক সাংসদ। সিএনজি, অটো, রিক্সা ও ভ্যানচালকসহ ৭০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন নরসিংদী-২ আসনের সাংসদ। নরসিংদীতে রমজান উপলক্ষে অসহায় গরীব, দুঃখী ও নিম্ন মধ্যবিত্ত ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে সবজি বিতরণ করেছে নরসিংদীর জেলা আওয়ামী যুবলীগ।
নড়াইল
নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মোটরসাইকেলে ঘুরে ঘুরে তাঁর এলাকার দুস্থ ও নিম্নবিত্তদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন ত্রাণ সহায়তা। বেসরকারী সংস্থার সহযোগিতায় ও নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আসনের ৫৫০০ মানুষের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক। নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য দুই ধাপে ৬ হাজার পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্যসামগ্রী। এর পাশাপাশি তিনি একটি হটলাইন চালু করেছেন যেখানে ফোন করে ত্রাণ সহায়তা চাইতে পারেন তাঁর এলাকার মানুষ। লোহাগড়া উপজেলার ৩৪টি এতিমখানায় খাদ্যসামগী বিতরণ করেছেন নড়াইল-২ আসনের সাংসদ। নড়াইল-১ আসনের ৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৫টি ওয়ার্ডে অসহায় ১১৫০টি পরিবারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
নাটোর
সিংড়ায় ৫ হাজার কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। লালোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে লালোর আদর্শগ্রামের আড়াই শতাধিক পরিবারের মাঝে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেন তিনি। সিংড়ায় শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ডেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন এবং ৫০০ শিশুর হাতে শিশুখাদ্য তুলে দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।
কর্মহীন নিম্ন আয়ের মানুষ, দিনমজুর, ভ্যানচালক এমন প্রায় ১৮ হাজার মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছেন নাটোর-৪ এর সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। নাটোর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে নিজস্ব অর্থায়নে ৫ শতাধিক শিশুর জন্য দুধ, জুস, কেক, ওয়েফার, বিস্কুট, নুডুলস, টোষ্ট বিস্কুট, ঝালমুড়ি, চানাচুরসহ শিশু খাদ্য বিতরণ করেছেন নাটোর সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। নাটোর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর-খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের স্থানীয় সংসদ সদস্যের উদ্যোগে ৯টি ওয়ার্ডে এক হাজার ৫শ’ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। সদর ও নলডাঙা এই দুই উপজেলার কর্মহীন ২০,০০০ পরিবারকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রায় এক কোটি টাকার ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছেন স্থানীয় সাংসদ। জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নিজস্ব অর্থায়নে লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার কর্মহীন হতদ্ররিদ্র ২০০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। নাটোরের নলডাঙ্গায় ৪৫০ কর্মহীন ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী এবং ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছেন স্থানীয় সাংসদ।
নাটোর জেলার লালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ব্যক্তিগত অর্থায়নে নাপিত, মুচি, চা বিক্রেতা, ধোপা, ভ্যান চালক, রাজ মিস্ত্রী, গরীব,অসহায় দুঃস্থ ২০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় চৈতালি হাটে মেয়র কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্যোগে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৭০টি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। সিংড়ায় পৌর মেয়র ভাইরাসের কবল থেকে মানুষকে রক্ষার্থে ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দিচ্ছেন। গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের ৯টি গ্রামে ১ হাজার খানেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, মৎস্যজীবী ও খ্রিস্টান পল্লীর মানুষের মাঝে জরুরী খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী।
লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ব্যাক্তিগত অর্থায়নে লালপুর সদর ইউনিয়নের কর্মহীন হতদ্ররিদ্র ১০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। একই স্থানে লালপুর সদর ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে ২০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়। সিংড়ায় করোনায় অসহায়, কর্মহীন ও ঘরবন্দি ৬০০ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন সিংড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গুরুদাসপুরে ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইউনিয়নের ৩০০ অসহায় দুস্থদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে। ২০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন নাটোর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক।
নারায়নগঞ্জ
নারায়নগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য তার এলাকার কর্মহীন মানুষের জন্য প্রায় ১ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন। ফতুল্লার ৯ হাজার পরিবারের মাঝে খাবার পৌঁছে দেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও তাঁর সহধর্মিনী সদর উপজেলা ও বন্দর থানা এলাকায় ৩৩,২০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জে ১২ হাজার ২ শত দরিদ্র, অসহায় কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। কাচঁপুরে ২০০ অসহায় গরীব পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগ। রূপগঞ্জে দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উদ্যোগে দুই হাজার দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাবার বিতরণ করেছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর। রূপগঞ্জে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্র ৩ হাজার পরিবারের মাঝে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর অর্থায়নে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকেরউদ্যোগে ১০/০৫/২০২০ইং নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানা এর শম্ভুপুরা ইউনিয়নে ৬০০শত পরিবারে চাউল,আটা,ছোলা ও সয়াবিন তেল উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নের ৩৩ টি গ্রামের ১৮ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
নীলফামারী
নীলফামারী-২ আসনের সাংসদ তাঁর নির্বাচনী এলাকায় কুষ্ঠরোগী, হরিজন, প্রতিবন্ধী, ইমাম, পুরোহিত, পাদ্রী এবং অসহায় সাধারন মানুষের ১১,৮৩৬টি পরিবারে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন। সৈয়দপুর উপজেলায় ঘরবন্দী সমাজের ৩ হাজার অসহায় দিনমজুর, রিক্সাচালক, ভ্যানচালক, কর্মহীন শ্রমিকদের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে নীলফামারী সদর,কুন্দুপুকুর ইউনিয়ন এর হারোয়া গ্রামে ৩০০ অসচ্ছল পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ডিমলায় লকডাউনে থাকা ৫৭ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নীলফামারী জেলা শাখার উদ্যোগে ১২ মে সহস্রাধিক দুস্থ মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
নেত্রকোনা
নেত্রকোনায় ১২০ জন বৃহন্নলাদের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী পৌছে দিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী। কেন্দুয়া পৌর শহরের দিগদাইর গ্রামের দেড় শতাধিক শ্রমজীবি ও নিম্নআয়ের মানুষ এবং ৫০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক। নেত্রকোণা-১ (কলমাকান্দা- দুর্গাপুর) আসনের নবম জাতীয় সংসদের আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য'র উদ্যোগে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০০ মানুষকে ত্রান সহায়তা দেয়া হয়েছে। পৌরশহরের মুজিবনগর আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় দুই শতাধিক মানুষের মাঝে সবজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ করেছে ছাত্রলীগ। পুর্বধলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৭০০০ মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন কার্যনির্বাহী সদস্য।
নোয়াখালী
কোম্পানীগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ২২’শ পরিবারের মাঝে খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার দরিদ্র ৪ হাজার পরিবারের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষ থেকে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলায় ২ হাজার মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন কবিহরহাট পৌরসভার মেয়র।
নোয়াখালীর পৌর মেয়র এবং শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক’র ব্যক্তিগত উদ্যোগে পৌরসভার আওতাধীন ০৯টি ওয়ার্ডের অসহায়, দুঃস্থ ২০ হাজার সাধারন মানুষ, ১২৬টি মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খতিব, ২৫০টি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে নগদ অর্থ এবং খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলার শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মী, খেলোয়াড় এবং হরিজন সম্প্রদায়ের মাঝে আর্থিক সহায়তা ও খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী -৪ আসনের সংসদ সদস্য ৫০ হাজার গরিব-দুঃখীদের মাঝে ৫২ লক্ষ টাকার ত্রাণ বিতরন করেছেন এবং ২য় ধাপে আরো ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়ে করোনা ত্রাণ তহবিল গঠন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের মাধ্যম ২৮ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন ও জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নোয়াখালী ডাক্তার ও পুলিশ কর্মকতাদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার পিপিই, সার্জিক্যাল মাস্ক, সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস ,হ্যান্ড সেনিটাইজার বিতরন করেন। পাশাপাশি নোয়াখালী সিভিল সার্জন এর মাধ্যমে করোনা রুগীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে একটি গাড়ী ব্যবস্থা করেন ।
বেগমগঞ্জ উপজেলায় ১০,০০০ অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য। নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সাংসদ ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলার দশ হাজার হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারকে করোনাভাইরাস সংকটকালীন এই সময়ে খাদ্য সহায়তা বিতরন করেন। করোনা মহামারির কারনে লকডাউনে থাকা অসহায় হতদরিদ্র ৭শ পরিবারের মাঝে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরফকিরা ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্যের পক্ষ থেকে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। চাটখিল উপজেলার ছয়শতাধিক ইমাম ও মুয়াজ্জিনের মাঝে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান।
পঞ্চগড়
কর্মহীন অসহায় দরিদ্রদের মাঝে শাকসবজি বিতরণ করেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলা ছাত্রলীগ। তেঁতুলিয়ায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি সংসদ সদস্যের নিজেস্ব উদ্যোগে ৩ হাজার কর্মহীন ও দরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
পটুয়াখালী
বাউফলে ৫ হাজার হতদরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। একই উপজেলায় ৮৫০টি কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন স্থানীয় পৌর মেয়র। করোনা পরিস্থিতিতে পটুয়াখালীতে কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে শাকসবজির হাট বসিয়েছেন পটুয়াখালী সরকারি মিজাহারউদ্দিন বিশ্বাস কলেজ শাখা ছাত্রলীগ। তাদের পরিচালিত 'মানবতার সবজি বাজার' থেকে প্রতি শুক্র ও রোববার দুপুর ১টা পর্যন্ত সবজি নিতে পারবেন প্রতিবন্ধী, অসহায় ও দুস্থরা। বাউফলের ৬শ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছেন উপজেলা পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। করোনা ভাইরাস সঙ্কটে কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় ১০০টি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
পাবনা
ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার ১৪ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন সদ্য প্রয়াত সাবেক ভুমিমন্ত্রী, আমৃত্য পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, পাবনা -৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) এর সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ এর পরিবার। সুজানগর উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নের ২০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন স্থানীয় যুবলীগের সাধারন সম্পাদক। কর্মহীন মানুষের বাড়ি গিয়ে সবজি বিতরণ করছে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক। করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত পাবনার চরতারাপুর, দাপুনিয়া ও মালিগাছা ইউনিয়নের অসহায় খেটে খাওয়া মোট ৩১৪৮ পরিবারের মাঝে মাহে রমজানের খাদ্য দ্রব্য বিতরন করেন পাবনা জেলা যুবলীগ।
পিরোজপুর
রমজান মাস এবং করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া পিরোজপুর-১ (নাজিরপুর, নেছারাবাদ, পিরোজপুর সদর) আসনের ৩০ হাজার পরিবারের মধ্যে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। সদরের স্থানীয় সংসদ সদস্য ১০০০ কর্মহীন মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন । ভান্ডারিয়ার উপজেলায় ৫০ হাজার পরিবারকে ত্রাণের পাশাপাশি দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে ৩৫০টি পিপিই দিয়েছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। ভান্ডারিয়া উপজেলায় ১০ হাজার দিনমজুরদের মধ্যে চাল বিতরণ করেছেন স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান। একই সাথে করোনা মোকাবেলায় দ্রুত রোগী পরিবহনের জন্য দুটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে হস্তান্তর করেছেন। হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনার জন্য ১৩ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন তিনি। পিরোজপুরে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ‘মানবতার ফ্রি ভ্রাম্যমাণ সবজি বাজার কর্মসূচি চালু করা হয়েছে যার মাধ্যমে সাতটি গ্রামের ৫শতাধিক পরিবারে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুর
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ১২০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন সংসদ সদস্য। ফরিদপুর-১ আসনের এমপির নিজস্ব তহবিল, ফরিদপুরর জেলা পরিষদের অর্থায়নে ও মধুখালী উপজেলার যুবলীগের পক্ষ থেকে এলাকার ১১৫০ অসহায় কর্মহীনদের মাঝে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হয়েছে। ফরিদপুরের জেলা সদরের ৩৩ হাজার পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন কর্মহীন ১৫০ জন বাউলের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পোঁছে দিয়েছেন। ফরিদপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ৮৫০টি অতি দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের কর্মী। সালথা উপজেলার সাড়–কদিয়ায় আটটি ইউনিয়নের এক হাজার দুইশ চায়ের দোকানদারের মাঝে চাল, ডাল ও তেলসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করেছেন সংসদ উপনেতা। আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নে করোনাভাইরাসের কারণে ৫০০ অসহায়, কর্মহীন ও দুঃস্থ পরিবারের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১ নম্বর কার্যকরী সদস্য। প্রায় ৩০০ অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে বিভিন্ন ধরণের সবজি বিতরণ করেন বোয়ালমারী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুরে করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া ৪০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
ফেনী
ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২সদর আসনের সাংসদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পুরো জেলায় ১লক্ষ ৮০ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। এছাড়া সাংসদের বাড়িতে ভাড়াটিয়া ৩৭ টি পরিবারের এক মাসের বাসা ভাড়া মওকুফ করেছেন। ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিটের ব্যবস্থা করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এপিএস।
বগুড়া
বগুড়া-৪ আসনের অসহায় কর্মহীন মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেছেন সংসদ সদস্য। বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে ৪০০০ কর্মহীন, অসহায়, দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগের অংশ হিসেবে বগুড়া পৌরসভা, কাহালু, আদমদীঘি ও দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। জেলার কর্মহীন ৪ হাজার মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সারিয়াকান্দিতে পৌরসভার উদ্যোগে করোনা ভাইরাসের কারণে কাজে যেতে না পারা পৌর এলাকার প্রায় ২০০০ কর্মহীন ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেছেন পৌর মেয়র। কর্মহীন অসহায় মানুষের বাড়ী বাড়ী গিয়ে প্রতিনিয়ত খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি । শহরে মাটিডালি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে৩০০ পরিবারের মাঝে ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। সাবেক ছাত্র নেতা ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বগুড়া পৌরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডে ২০০ দুস্থ মানুষের ঘরে ইফতার সহ এক বেলার খাবার বিতরণ করেছেন। এক বছরের সম্মানী ভাতার সাথে নিজের জমানো টাকা দিয়ে প্রায় ৫ হাজার খাদ্যসামগ্রী প্যাকেট করে তা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কর্মহীনদের মাঝে বিতরণ করেছেন শিবগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান। দুপচাঁচিয়ায় কর্মহীন ও দুঃস্থ ২ হাজার ৬০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
বরগুনা
সাত হাজার মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য। বরগুনা পৌরসভার হত দরিদ্র ২০০ পরিবারের মধ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৫ দিনের খাবার দিছেন বরগুনাজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও জেলা যুবলীগ এর সভাপতি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অর্থ ও পরিকল্পনা, কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্যের ব্যক্তিগত উদ্যোগে কর্মহীন ৫০০ পরিবারে ত্রান বিতরণ করা হয়েছে। পাথরঘাটায় ৫ হাজার ২শ অসহায় ও কর্মহীন পরিবারের পাশে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
বরিশাল
বরিশাল-২ আসনের অসহায় ও শ্রমজীবি শতাধিক মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। উজিরপুরে অসহায়, হতদরিদ্র, শ্রমজীবি শতাধিক মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন বরিশাল-২ আসনের সাংসদ। কর্মহীন ৪০ হাজার পরিবারের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে বরিশাল সিটি করপোরেশন। বরিশাল-৪ আসনে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে নগরের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ৪৬০ পরিবারসহ প্রায় ১৫ হাজার পরিবারে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়। সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৪ হাজার মানুষের মাঝে ব্যক্তিগত অর্থায়নে ত্রাণ বিতরণ করেছেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়রের উদ্যোগে নগরের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের (আংশিক) ১ হাজার ২৫০ পরিবার এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১ হাজার ২৫০ পরিবারে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষে বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৫ হাজার ৫৪৪ পরিবারে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়। উপজেলার হারতা আশ্রয়ন প্রকল্পে ৬০টি পরিবার ও পৌরসভার গুচ্ছ গ্রামের ৪১টি পরিবার এবং উজিরপুর বাজারের অসহায় দরিদ্র দোকানীদের ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য। বানারীপাড়া ও উজিরপুরে পৌরসভাসহ উজিরপুরের নয়টি ইউনিয়নে ও বানারীপাড়ায় আটটি ইউনিয়নের কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায়,দরিদ্র ও শ্রমজীবী ১২০০০ পরিবারের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার এবং নিজস্ব তহবিল থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন স্থানীয় সাংসদ। বানারীপাড়ায় করোনায় আক্রান্ত ব্যাক্তির বাড়ীসহ লকডাউনে থাকা ১২টি বাড়ীতে রমজান মাস উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান।
বাগেরহাট
বাগেরহাট-২ আসনের সাংসদ ৩ হাজার গর্ভবতী মায়েদের জন্য ১ মাসের পুষ্টিকর খাদ্যসামগ্রী দিয়েছেন। চিতলমারীতে করোনার সংক্রমন রোধে ঘরে থাকা ৭ শতাধিক কর্মহীন অসচ্ছল পরিবার ও ভ্যান চালকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন চিতলমারী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। করোনা পরিস্থিতিতে মহান মে দিবসে বাগেরহাট জেলার ২১ ট্রেড ইউনিয়নের ৬ হাজার ৩শ জন শ্রমিককে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
বান্দরবান
বান্দরবান পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের ৫ হাজার পরিবারকে বিতরণের জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাঝে ত্রাণ বণ্টন করেছেন পার্বত্যমন্ত্রী। জেলার আজিজনগর ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজ তহবিল হতে ২৩০ পরিবারকে ৮ কেজি চাল ও নগদ টাকা বিতরণ করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
কসবা উপজেলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আইন ও বিচার সংসদবিষয়ক মন্ত্রীর নিজস্ব অর্থায়নে ১০৩০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসায় ৫৮টি চেকের মাধ্যমে ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা অনুদান হিসেবে বিতরণ করেন স্থানীয় সাংসদ। বাঞ্ছারামপুরে ১ হাজার অসচ্ছল ও কর্মহীনের মাঝে বিতরণ করেছেন স্থানীয় সাংসদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬ হাজার ৪০০ কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন জেলা প্রশাসন। সরাইলে কর্মহীন ১৭০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য। বিজয়নগর উপজেলা চেয়ারম্যান ৫টি ইউনিয়নে ৩ হাজার পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর এলাকার কাউতলীতে দু’শ’ দুস্থ পরিবারের মাঝে জেলা আওয়ামী লীগের সহায়তায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রাদূর্ভাবের কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতির নিজ উদ্যোগে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫ শত কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বাঞ্ছারামপুরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের কর্মহীন হয়ে পড়া ৯,৩০০ অস্বচ্ছল ও হতদরিদ্রদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ব্যক্তিগত অর্থায়নে শতাধিক প্রতিবন্ধীর মাঝে ত্রাণ সহায়তা হিসেবে চাল-ডালের সাথে একটি করে মুরগি বিতরণ করেছেন।
ভোলা
ভোলার সদর উপজেলায় ২৮৫০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও স্থানীয় সাংসদ। সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে সশরীরে ত্রান সহায়তা পৌছে দিচ্ছেন ভোলা- ৩ আসনের সংসদ সদস্য। 'মানুষ মানুষের জন্য' কর্মসূচির আওতায় ১১ হাজার দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এবং ১৪২১টি মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনকে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য। ভোলার বোরহানউদ্দিনে পক্ষীয়া ইউনিয়নে ঘরে থাকা দরিদ্র কর্মহীন শ্রমজীবী এক হাজার পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে. তজুমদ্দিনে কর্মহীন হয়ে পড়া ১০০ নরসুন্দর পরিবারের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দিয়েছেন ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য। লালমোহন পৌরসভায় ১০ হাজার ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন স্থানীয় সাংসদ।
ময়মনসিংহ
সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে দিনমজুর, বস্তির দুস্থ, পত্রিকার হকারসহ কর্মহীন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৪০ সহস্রাধিক মানুষকে মানবিক সহায়তা (খাদ্যসামগ্রী) প্রদান করছেন সিটি মেয়র। গফরগাঁওয়ে মারণঘাতি করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে খাদ্য সংকটে থাকা বেদে, হিজরা, ভিক্ষুক, ছিন্নমূলসহ ৩০০ ভাসমান পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন পৌর মেয়র। ময়মনসিংহ, ৯ নং কাচিনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১০০ টি হত-দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার সকল মসজিদের ইমাম, খতিব ও খাদেম এবং কওমি মাদরাসার শিক্ষকদের সম্মান জানিয়ে তাদের জন্য ইফতার সামগ্রী পাঠিয়েছেন এবং ১৫০ জন হতদরিদ্রের হাতে ইফতার তুলে দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সভাপতি। গফরগাঁওয়ের করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া ২৭৮০টি পরিবারে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য। সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ৪ হাজার প্যাকেট খাদ্য উপহার দিলেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। ভালুকায় স্থানীয় সাংসদ ৯ই মে উপজেলা মেদুয়ারী ইউনিয়নে ১৫০টি পরিবারে নিজ অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
মহান মে দিবসে উপলক্ষে গৌরীপুর উপজেলার শ্রমজীবী মানুষ নরসুন্দর, রাজমিস্ত্রীর যোগালী, চা দোকানদার, রংমিস্ত্রী, হেলপার,ভ্যান ও রিক্সা চালক, কামার, হোটেল কর্মচারীদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সভাপতি।জেলা পুলিশের উদ্যোগে কর্মহীন হয়ে পড়া দেড়শ জন নরসুন্দর সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। জেলা পুলিশের সহযোগিতায় পাটগুদাম এলাকায় ক্যাম্প স্থাপন করে বিনামূল্যে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবা দেয়া শুরু করেছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ– স্বাচিপ। গফরগাঁও উপজেলায় লকডাউনে থাকা ৬০টি পরিবারের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। গফরগাঁও উপজেলার ১৪নং নিগুয়ারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে করোনা ভাইরাস জন্য গৃহবন্দি গরীব অসহায় দুস্থ ২৫০০পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। ত্রিশাল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কর্মহীন অসহায় মানুষদের মাঝে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজসহ অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন ত্রিশালের সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির নেতৃত্বে ময়মনসিংহ মহানগরের বিভিন্ন স্পটে মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মী ও বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর নেতা কর্মীদের সহযোগিতায় প্রায় ৪০০০ পরিবারে মধ্যে খাদ্য সামগ্রী এবং প্রায় ৫০০ শিশুর মাঝে পুষ্টিকর দুধ ও ডিম বিতরণ করা হয়। ঈশ্বরগঞ্জে উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উদ্যোগে কর্মহীন মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার'। গৃহহীন, রাস্তায় রাত্রি যাপন করে এমন মানুষদের হাতে প্রায় প্রতি রাতে রান্না করা খাবার তুলে দিচ্ছেন মহানগর ছাত্রলীগের নেতা। গফরগাঁওয়ে যুবলীগের উদ্যোগে কর্মহীন শ্রমজীবী ৩০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। গফরগাঁওয়ে ৭০০ পরিবারের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার পৌঁছে দিয়েছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিজ গ্রাম থেকে সবজি এনে এলাকার মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন। শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় দুই হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। গৌরীপুরে করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন ও দুস্থ ১ হাজার ১৭০টি পরিবারের মাঝে জরুরী ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেছেন জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক। ময়মনসিংহ শহরে ৫০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে 'স্টেজ ফর ইয়ুথ'।
মাগুরা
৪নং ওয়ার্ডের কমিশনার গত ২০ ও ২১ এপ্রিল নিজস্ব অর্থায়নে শহরের তাঁতীপাড়া,সাতদোহাপাড়া ও সর্দার পাড়ায় পাঁচ শতাধিক হতদরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন। মাগুরা সদর ও শ্রীপুরে ৫০০ পরিবারের কাছে খাদ্য সামগ্রী প্রেরণ করছেন আওয়ামী লীগ নেতা।
মাদারীপুর
রবিবার (১৯ এপ্রিল) কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নে নতুন করে ২৩০০ পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন এবং শিবচরে ৫০০ কর্মহীন অসহায় হতদরিদ্র, ভ্যান চালক, অটো চালক ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রীর প্যাকেট বিতরণ করেছেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ। শিবচরে এপর্যন্ত ৫৫ হাজার মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ। শিবচরে ৫০০ পরিবারের কাছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেলার ৩ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। শিবচরে ৩০০০ পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রশাসনের সহায়তায় হতদরিদ্র ৭ হাজার পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সদর উপজেলার দত্ত কেন্দুয়া ইউনিয়নের বাহাদুরপুরে হতদরিদ্র ও অসহায় ৮ শতাধিক পরিবারের মাঝে মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য। সরকারি হিসেব ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় হিসেব অনুসারে মাদারীপুরের শিবচর এলাকায় প্রায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে গেছে। শিবচরে লকডাউনে থাকা ৫০টি বাড়িতে চিফ হুইপের নির্দেশ ত্রাণ পাঠিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান। কালকিনিতে কয়েকহাজার মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
মানিকগঞ্জ
শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলায় ১০ হাজার দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ১৬৫ টি পরিবার ও বাচামারা ইউনিয়নের কল্যাণপুর চরের ৩৩৬ টি এবং দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর ইউনিয়নের ১০৯টি দিনমজুর ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ ২৫,০০০ টাকা এবং শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের ২০০ টি দুঃস্থ পরিবার এবং জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২০ উপলক্ষে মা ও শিশুদের মাঝে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য, ঘিওর উপজেলা সদর ইউনিয়ন, সিংজুড়ি ও বৈকণ্ঠপুরে ১০০০ জন এবং স্থানীয় ক্লাবের ১৫০ জন ক্রিকেটারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য। শিবালয়ে অসহায়, কর্মহীন মানুষের কাছে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষ থেকে মানিকগঞ্জের পৌর এলাকার পাঁচ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন পৌর কাউন্সিলর। এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের দুস্থ অসহায়, কর্মহীন নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মাঝি সম্প্রদায়, হরিজন সম্প্রদায় ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষসহ প্রায় ৮৫০টি পরিবারের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ও কাউন্সিলর। ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের হিজুলিয়া গ্রামে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা দেড় শতাধিক দুস্থ্য পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। মানিকগঞ্জের বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ অসহায় ৯০ টি পরিবারে কিছু শুকনো খাবার এবং সাবান পৌঁছে দেয়। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার ১৮০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী হিসেবে চাল, আটা, আলু, লবন, পিয়াঁজ বিতরণ করেছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হাটিপাড়া, পুটাইল ও নবগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের তিন শতাধিক মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন জেলা পরিষদের সদস্য।
মুন্সীগঞ্জ
সিরাজদীখানে বালুচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাঁচ শতাধিক মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে চাল, ডাল, তেল, পেয়াজ ও আলু সম্বলিত ১৪০০ প্যাকেট অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন
মেহেরপুর
মুজিবনগর উপজেলার প্রায় ১১ হাজার কর্মহীন পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর, বাগোয়ান ও দারিয়াপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৩৭০ জন কর্মহীন মানুষের মাঝে খাবার সামগ্রী বিতরণ করেছেন মেহেরপুরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। মেহেরপুর শহরের ৯টি ওয়ার্ডে কর্মহীন অসহায় ৮৬০০ পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাতের আঁধারে ব্যক্তি উদ্যোগে খাদ্যসমগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন পৌর মেয়র।
মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারে করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া ৬০০ চা শ্রমিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। মৌলভীবাজার পৌর এলাকার দুটি ওয়ার্ডে প্রধানমন্ত্রীর তহবিলের ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (২০ এপ্রিল) কুলাউড়া সদর ইউনিয়ন ও ভূকশিমইল ইউনিয়নের ৫০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ীতে ৮৫০০ অসহায় পরিবার ও শ্রমিকের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে প্রায় ১২০০ পরিবারে ফ্রিতে সবজি বিতরণ করা হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের সদস্য সাত শতাধিক দরিদ্র পরিবারের কাছে পাঠিয়েছেন খাদ্য সহায়তা। কুলাউড়ায় অসহায়দের মাঝে বিতরণ করার জন্য ১৩ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বন্টন করা হয়েছে। মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা’র দক্ষিনভাগ বাজার,রতুলী বাজার,কাঠালতলী বাজার,আজিমগঞ্জ বাজার,বড়লেখা বাজার, বড়লেখা উত্তর চৌমুহনী সহ আরো বিভিন্ন বাজারে ৭০০ ব্যবসায়ী ও রিক্সা চালকদের মাঝে উপহার স্বরুপ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছেন ১০ নং দক্ষিন ভাগ দক্ষিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দক্ষিন ভাগ এন, সি, এম, হাই স্কুল শাখা’র সাবেক সভাপতি। ১২ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৯১২৪ পরিবারে খাদ্য সহায়তা ও ৬৫ হাজার মানুষের মাঝে ইফতার দিয়েছেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান।
যশোর
যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্যের পক্ষে ১০ই মে বাঘারপাড়া উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের ৬টি ওয়ার্ডে দু’শতাধিক পরিবারে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনে কর্মহীন অসহায় কেশবপুরে ৯২০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছেন।যশোরের শার্শা উপজেলার কর্মহীন ১০ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। ৮টি উপজেলার ১০ হাজার পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তা দেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা। যশোর সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে সংসদ সদস্যের উদ্যোগে ও পৃষ্ঠপোষকতায় খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। যশোর-৩ আসনের ৮০০ পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় সংকটে থাকা মানুষ, কর্মহীন হয়ে পড়া পরিবহন শ্রমিক, হোটেল শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিকদের হাতে স্থানীয় সাংসদের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। মনিরামপুরে কর্মহীন ২০০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। বৈশাখের উৎসব ভাতার ১৫ লাখ টাকার ত্রাণ করোনায় ঘরবন্দি দরিদ্র শিক্ষার্থী ও নন-এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের পরিবারের মাঝে বিতরণ করেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। শার্শার নাভারণে ছাত্রলীগের উদ্যোগে ২৫০টি অসহায় দিনমজুর ও শ্রমজীবী পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে সবজি বিতরণ করা হয়েছে। যশোরের খাজুরা জহুরপুর ইউনিয়নে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন। অভয়নগরে ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ হটলাইনের মাধ্যমে খোজ পেয়ে শতাধিক পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরামপুর ও কেশবপুরের ৩ শতাধিক পরিবারের মাঝে গত ৯ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নে ঘরবন্দী ৭০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যের সহযোগিতা করলেন ডিহি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা। কেশবপুরে লকডাউনে থাকা ঘরবন্দি সাড়ে ২৯ হাজার কর্মহীন ও অসহায় পরিবারকে সরকারিভাবে ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্যের পক্ষে ১০ই মে বাঘারপাড়া উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের ৬টি ওয়ার্ডে দু’শতাধিক পরিবারে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। যশোর সদরের কাশিমপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর বাজারে কর্মহীন ও অসহায় ১৫০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য।
রংপুর
লকডাউনে বেকার নিম্ন আয়ের ১৪ হাজার মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন রংপুর-২ এর সাংসদ। জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় কার্যালয়ে ৪ দিনে করোনা আপদকালীন সময়ে ৪ হাজার অসহায়-গরীব-দুস্থ-কর্মহীন নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ধারাবাহিক ভাবে নিজ অর্থায়নে দুইশত পঞ্চাশ ভিক্ষুক, ভবঘুরে, দিনমজুর, রিকশা চালক, ভ্যান চালক, পরিবহন শ্রমিক, রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চা বিক্রেতা সহ নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক। শহরের করোনা আক্রান্ত রোগিদের মনোবল বাড়াতে শুভেচ্ছা উপহার পাঠাচ্ছেন সিটি মেয়র। জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শহরের ট্রাফিক পুলিশ ও দুস্থ-অসহায়,ভবঘুরে,ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছেন। কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায়-গরীব মানুষকে রাতের আঁধারে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে রংপুর জেলা ছাত্রলীগ। পীরগঞ্জে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নিজ অর্থায়নে সর্বমোট ৫৭৭ টি অসহায়-দুস্থ-নিম্ন আয়ের পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে খাদ্য সামগ্রী সহ নগদ টাকা প্রদান করেন।
রাঙ্গামাটি
জুরাছড়ি উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ১২০০ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাউল বিতরন করেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য এবং জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তবলছড়ি এলাকার মাঝেরবস্তিতে ২৫৩ জনের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। লংগদুতে শিশুদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার তুলে দিয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগ। করোনা মোকাবিলায় ৭ই মে কাউখালী উপজেলায় কর্মহীন ৪ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিয়েছেন সংসদ সদস্য।
রাজবাড়ী
রাজবাড়ী-২আসনের ৩০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। ১২ হাজার কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। রাজবাড়ীর সংসদ সদস্য দৌলতদিয়া যৌনপল্লির ১৩০০ সদস্যের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। রাজবাড়ী-২ আসনে ৮ হাজার শিশুর মাঝে বাড়ি বাড়ি গিয়ে "আদর্শ বাড়তি খাবার " নামে একটি কর্মসূচি চালু করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য যেখানে করোনা সঙ্কটে পড়া অসহায়, গরীব পরিবারের শিশুদের জন্য আদর্শ খাবার সহায়তা দেওয়া হচ্ছে ।
রাজশাহী
মহানগরের ৪৫ হাজার পরিবারে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২২৩ টন চাল, ৪১ টন ডাল ও ৫২ টন আলু ইত্যাদি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন রাজশাহী সিটি মেয়র। এছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে বরাদ্দ দেওয়া ৫১৩ টন সরকারি চাল ৩০টি ওয়ার্ডের ৬২ হাজার ৫০০ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করেছেন তিনি। পাশাপাশি রমজানের শুরু থেকে প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন মোড়ে ভ্রাম্যমাণ অসহায় নিম্নআয়ের মানুষদের মাঝে বাসায় তৈরি ইফতার বিতরণ করছেন রাজশাহী সিটি মেয়র।
খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি অন্যনায় সচেতনতা মুলক কাজেও এগিয়ে এসেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। রাসিকের সহযোগিতায় ব্র্যাকের পক্ষ থেকে ৪ হাজার পরিবারকে মোট ৬০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ৩০টি ওয়ার্ডের ৬০০ জন মায়ের প্রত্যেককে ৫০০ টাকা নগদ অর্থ এবং ৪৮০ শিশুর প্রত্যেককে এক প্যাকেট করে গুঁড়ো দুধ প্রদান করা হচ্ছে। ২০ হাজার মাস্ক ও এক হাজার লিটার স্যানিটাইজার তৈরি করে বিতরণ করা হয়েছে। মহানগরীর ২৭টি পয়েন্টে স্যানিটিইজার দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৩০০জন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ৫টি ওয়াটার ট্যাংকার দিয়ে মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও হাট বাজারে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। ৩০টি ওয়ার্ডের অলি-গলির রাস্তায় ও হাট বাজারসহ সর্বত্র জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য নিরাপদ শোষাক মাক্স, হ্যান্ড গ্লাভর্স ও স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হয়েছে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে ল্যাব স্থাপন কার্যক্রম তদারকি করা হয়েছে।
রাসিক সূত্র জানিয়েছে, মেয়রের উদ্যোগে ১৯ মার্চ রাজশাহী থেকে সারাদেশের বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়। এছাড়া মার্চের প্রথম থেকেই করোনায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সচেতনতা সৃষ্টিতে দেড় লাখ লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার, ডিস লাইন ও ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে তথ্যচিত্র ও বক্তব্য প্রচার করা হয়। এছাড়া রাসিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এবং সকল মসজিদে ইমামদের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়। করোনা মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় ও ৩০টি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে করণীয় নির্ধারণ, বিদেশ ফেরত ও দেশের ঝুঁকিপূর্ণ জেলা থেকে আগত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ, রামেক হাসপাতাল পরিচালক, পরিচালক স্বাস্থ্য ও সিভিল সার্জনের সাথে একাধিকবার আলোচনা সাপেক্ষে রামেক হসপাতালের আইসিইউ ইউনিটকে শুধুমাত্র করোনা রোগী চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। সিটি হাসপাতালকে করোনা কর্ণার হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। চিকিৎসকদের সুরক্ষায় চীন থেকে ৩০০ পিপিই ক্রয় করা হয়েছে। করোনোভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে বহনে এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে তাকে দাফনে কবরস্থান নির্ধারণ ও সহায়ক টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিভিন্ন পেশাজীবী ১৭টি সংগঠনের মধ্যে ১৬ হাজার কেজি চাল বিতরণ করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি। বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ১০ হাজার পরিবারে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন। মৌসুমী সবজি বিতরণের পর এবার চালের সাথে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেয়া ১০টি করে ডিম পেল ৫ হাজার পরিবার।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পুঠিয়া ও দুর্গাপুর উপজেলায় ৩ হাজার অসহায় দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। বাঘা ও চারঘাট উপজেলার কৃষক সবজির দাম পাচ্ছে না, এমন খবর পেয়ে কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে শাকসবজি কিনে টা দুস্থদের মাঝে বিতরণ করেছেন স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। একইভাবে স্থানীয় খামারীদের কাছ থেকে ডিম কিনে দেড় লক্ষ ডিম দুস্থদের মাঝে বিতরনের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা, মনিগ্রাম, আড়ানী ইউনিয়নে ১৩০০ পরিবারের মাঝে সরকারি চালসহ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম সবজি বিতরণ করেন আড়ানী ইউপি চেয়ারম্যান। বাঘা উপজেলার, গড়গড়ী ইউনিয়নের ৫০০ হতদরিদ্র ও কর্মবিরতি পরিবারের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিল হতে ১০ কেজি করে চাউল এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৫০০ পরিবারের জন্য সরাসরি কৃষকদের জমিতে উৎপাদিত সবজি(আলু, মিষ্টিকুমড়া ও লাউ) বিতরণ করা হয়।
জরুরী হটলাইন চালু করে বাগমারা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন আর ২টি পৌরসভার প্রত্যন্ত এলাকায় গরীব, দুস্থ, অহসায়, ছিন্নমূল, মধ্যবিত্ত প্রায় ৫ হাজার পরিবারে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আড়াইশ কর্মচারির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিচ্ছন্নতা উপকরণ দিয়েছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ– স্বাচিপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক।রাতের অন্ধকারে গোপনে প্রায় ৪ হাজার মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন সদ্য বিলুপ্ত মহানগর আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কর্মহীন মানুষের সেবার লক্ষ্যে ফ্রি সবজী বাজার চালু করেছে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ। গোদাগাড়ীতে ৪ হাজার পরিবারের কাছে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন উপজেলা যুবলীগের অর্থ সম্পাদক। নওহাটা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে কর্মহীন ও অস্বচ্ছল ৮০০ পরিবারে খাদ্য সামগ্রী এবং বিনামূল্যে সবজি বিতরণ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক।
মোহনপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ২৫০টি দু:স্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের করেন সাবেক ছাত্রনেতা। মোহনপুর উপজেলার গুপোইল গ্রামে লকডাউনে রাখা একটি বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ। নিজ উদ্যোগে নিজ এলাকা রাজশাহীর নওহাটা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কর্মহীন ও অস্বচ্ছল ৮০০ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
লক্ষ্মীপুর
রামগঞ্জে ২৫ হাজার মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাংসদ। রায়পুর ও লক্ষ্মীপুর সদরের প্রায় ১১ হাজার মানুষের মাঝে রমজান উপলক্ষে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন স্থানীয় সাংসদ ও তাঁর স্ত্রী। লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে কর্মহীন দিনমজুর নর-নারীদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন যুবলীগ নেতা রামগতি উপজেলার গৃহবন্দি গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাবার সামগ্রী বিতরণ করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ। ১৫০০ কর্মহীন পরিবারে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। লক্ষ্মীপুরে ১০ হাজার মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার বিতরণ করছে স্থানীয় জেলা পরিষদ। লক্ষীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর উপজেলার গরীব,অসহায় ও দুঃস্থ ৫,০০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন লক্ষ্মীপুর-৪ এর সাবেক সাংসদ।
লালমনিরহাট
হাতীবান্ধা উপজেলার অসহায় শ্রমজীবী ২০০ পরিবারকে নিজ উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলেন লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য। কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলায় ১০ হাজার কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী। পাটগ্রাম উপজেলায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া ১ হাজার অসহায় দুস্থ পরিবারের মাঝে বিনা মূল্যে সবজি বিতরণ করেছেন হাতীবান্ধা উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক। পাটগ্রাম উপজেলায় করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন, অসহায় ও মধ্যবিত্ত ৫০০ পরিবারের মাঝে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। লালমনিরহাটের পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা আসনের সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দুই উপজেলায় ২৯৫০টি পরিবারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পাটগ্রাম উপজেলায় কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্থ ও গরিব ৮০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
শরীয়তপুর
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বেগম আশ্রাফুন্নেসা ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শরীয়তপুর-২ আসনের নড়িয়া ও সখিপুর থানায় ৫ম ধাপে মোট ৩২,৪০০ পরিবারের বাড়ীতে এই খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানোর ব্যবস্হা করেছেন এবং ইমাম,মুয়াজ্জিন ও অস্বচ্ছল আলেমদের মাঝে ১০০০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা ও ১৫০ জনকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী। শরীয়তপুর-১ আসনের ৪০ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচছাসেবক লীগ এর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে শরীয়তপুর জেলার উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার প্রায় ২ হাজার পরিবার বর্গ কে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করেন। করোনা ভাইরাস জনিত কারনে কর্মহীন অসহায় ৫০০ জনকে নিজ উদ্যোগে প্রায় ১,৫০,০০০ টাকার ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছেন ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। শরীয়তপুর পৌরসভায় ৫৫০টি পরিবারে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক।
শেরপুর
করোনায় কর্মহীন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৭ শতাধিক মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছেন জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ। নকলায় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া দেড় শতাধিক রাজমিস্ত্রী ও ভ্যান চালকদের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। ঝিনাইগাতি উপজেলায় ১০ হাজার মানুষকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন ঝিনাইগাতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। শ্রীবরদী উপজেলার পৌর শহরসংলগ্ন ছনকান্দা গুচ্ছগ্রামে ৩০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেছেন স্থানীয় সাংসদ। নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এবং স্থানীয় সাংসদের পরামর্শে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনার প্রভাবে কর্মহীন-অসচ্ছল পরিবারের মাঝে ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ৪০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। শেরপুর খোয়ারপাড়,উত্তরা আদর্শ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ৩ টি ওয়ার্ডের ১৬০ টি অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা। শেরপুর শহরের ৮ টি ওয়ার্ডে ব্যক্তি উদ্যোগে ৮ শত মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা।
সাতক্ষীরা
দেবহাটায় গরীব, কর্মহীন, দুস্থ এমন ৭৩০ টি পরিবারের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। শ্যামনগর উপজেলার নূর নগর ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ ১২০ টি হত দরিদ্র পরিবারে ৫কেজি চাউল ও ২কেজি আলু ত্রান-সাহায্য বিতরন করে।
সিরাজগঞ্জ
কাজিপুরে অসহায় আলেম সমাজের মধ্যে মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারসামগ্রী বিতরণ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক। তাড়াশে স্থানীয় সংসদ সদস্য ৫০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য দুই হাজার শ্রমজীবী মানুষের বাড়িতে সাত দিনের খাবার পৌঁছে দেন। উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নে ১৫০ অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। কাজিপুরে ২৫০ দুস্থ পরিবারের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য। পাশাপাশি একটি ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল টিম গঠন করেছেন তিনি। এই মডিক্যাল টিম ইতিমধ্যে ৪৫০ মানুষকে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার রুপবাটি ইউনিয়নে ৭০০ পরিবারে মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন স্থানীয় সাংসদ। কাজিপুরে অসহায় আলেম সমাজের মধ্যে মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারসামগ্রী বিতরণ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক।
সিলেট
২১ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ২০ নম্বর ওয়ার্ড ২০০পরিবারের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে ৪৩০টি পরিবারের মাঝে তাঁর পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এক হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সামাজিক প্রতিষ্ঠান।সিলেটে দরিদ্র, দিনমজুরদের সহায়তায় সরকার নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ৩২১ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় দুস্থ, বেদে, গাড়িচালক, চা শ্রমিক থেকে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী এবং প্রবাসীদের পরিবারে বাজার পাঠাচ্ছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। মাইক্রোবাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন সিলেট-২ আসনের সাংসদ। নগরীর ৭নং ওয়ার্ডের জালালাবাদে অসহায় প্রায় শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। কর্মহীন অসহায় ও দিনমজুর ৫০০ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী সহায়তা দিয়েছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক সাধারন সম্পাদক। নগরীর পীর মহল্লা এলাকায় দুইশ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট চেম্বারের প্রাক্তন প্রশাসক। সিলেট মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এর উদ্যোগে এখন পর্যন্ত ১৫০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ইউনিয়নের কর্মহীন দরিদ্রদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা। নগরীর আম্বরখানা পয়েন্টে অসহায় মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে সবজি বিতরণ করেছেন মহানগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।প্রায় তিন শতাধিক রিক্সাচালক আর ভাসমান মানুষের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ করেছে সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদ। কোম্পানীগঞ্জে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারণে ঘরবন্দি কর্মহীন ছয় হাজার পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের কর্মহীন ও দিনমজুর পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়। গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের গুচ্ছগ্রাম এলাকায় দিনমজুর ও খেটে-খাওয়া মানুষের ঘরে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সিলেট নগরবাসীর চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য মোবাইল ফোনে বিনামূল্যে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট চেম্বারের প্রাক্তন প্রশাসক। বালাগঞ্জের ৭টি ইউনিয়নের ৫শ অসহায় পরিবারের মধ্যে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। পহেলা মে নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে থেকে শুরু করে বিভিন্ন পয়েন্টে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন সিলেট যুবলীগের নেতৃবৃন্দ। মহানগর যুবলীগের সভাপতি করোনা সংক্রমণে বিপাকে পড়া মানুষজনের মধ্যে ৫০০ রোজাদারকে ইফতার করিয়েছেন। যুবলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নগরীর প্রতিবন্ধীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন এবং নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ১ হাজার মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ হিসেবে কয়েক পদের সবজি বিতরণ করেছেন। গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির উদ্যোগে আলীরগাঁও ইউনিয়নে কর্মহীন ৫০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকার কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় ৩ শতাধিক অটোরিকশা চালকদের মাঝে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের সহযোগীতায় সিলাম ইউপি আ.লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছেন।
সিলেটের বালাগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুক্তরাজ্য শাখার ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদকের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ওয়ার্ডে প্রায় ১০০০ দিন মজুর,অসহায় মানুষের মধ্যে ত্রান সহায়তা দিয়েছেন এবং ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি হটলাইন চালু করেছেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমনরোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার অসহায়দের পাশে দাড়িয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। গোয়াইনঘাট উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের তালিকা করা ১২‘শ দুস্থ এবং অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করবে উপজেলা আওয়ামী লীগ। ৬৫০ পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী হিসেবে খাবার প্যাকেট, ৮০০ জনের মাঝে রান্না করা খাবার এবং দরিদ্র-অসচ্ছল পরিবারের ৩২ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রবৃত্তি হিসেবে এককালীন অর্থ প্রদান করেছে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ। গোলাপগঞ্জে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও যুক্তরাষ্ট্রস্থ গোলাপগঞ্জ হেল্পিং হ্যান্ডস এর সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতার অর্থায়নে এবং সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদকের উদ্যোগে ৩০০ অসহায় কর্মহীন মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ৬০০ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরন করেছে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ।
করোনাভাইরাস সংকটজনিত পরিস্থিতিতে চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের উদ্যোগে চালু হয়েছে ‘করোনা সাপোর্ট সিলেট’ টেলিমেডিসিন সেবা যেখানে সকাল আটটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তিনটি মুঠোফোন নম্বর চালু করা হয়েছে আর তিনটি মুঠোফোন নম্বরের মধ্যে ০১৭২১০২৮৯১১ নম্বরে সকাল আটটা থেকে বেলা একটা, ০১৭২০২৩০৭৬৭ নম্বরে বেলা একটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা এবং ০১৭২১০৭৯৭৮১ নম্বরে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চিকিৎসা সেবার জন্য যোগাযোগ করা যাবে।
সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জ- ১ আসনের কর্মহীন কয়েক হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। তাহিরপুর উপজেলায় হতদরিদ্র কয়েক হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেছেন তিনি। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির প্রচেষ্টায় করোনাভাইরাস জনিত লকডাউনের কারণে কর্মহীন নিম্নআয়ের সহস্রাধিক মানুষ ত্রাণের আওতায় এসেছেন। ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার এক হাজার ১০০ ভিক্ষুকের মধ্যে খাদ্য সহায়তা বিতরণ শুরু করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল ১০ হাজার মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঘরবন্দি সমাজের ৪ শতাধিক অসহায়, ইমাম-মোয়াজ্জিন ও ইজিবাইক শ্রমিকদের মানুষের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের বেদেপল্লীতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে জেলা যুবলীগ। জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে যুবলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের ভেড়াজালী গ্রামের হাওরে কৃষকের বোরো ধান কেটে দেন। জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির অর্থায়নে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি কর্মহীন খেটে খাওয়া অসহায় মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র ৪৭৫ পরিবারের লোকজনের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিজ উদ্যোগে আওয়ামীলীগের অসচ্ছল ৫০০ কর্মীর মাঝে উপহার সামগ্রী প্রদান করছেন।
হবিগঞ্জ
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ব্যক্তিগত উদ্যোগে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ৮টি ওয়ার্ডে ৫ হাজারেরও বেশি কর্মহীন ও অসহায় দরিদ্র মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন। বানিয়াচংয়ে ৩ করোনা রোগীর পরিবারের যাবতীয় খাদ্য সহায়তার দায়িত্ব নিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা।
গুজব মোকাবেলা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণঃ
করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর কারণে ইতোমধ্যে ২০টি ফেসবুক আইডি, পেজ বন্ধ করেছে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ছাড়া এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত আরও ১০০টি ফেসবুক আইডি, পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ২০ জনকে।
সাধারণ মানুষের জন্য কম দামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি। রাজধানীতে ৫০ টি স্থানে এবং সারাদেশে ৩০০ টি স্থানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
দ্রব্যমূল্য যাতে কোন ব্যবসায়ী বাড়াতে না পারে সেজন্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এমনকি কোন অনলাইন শপ ও অস্বাভাবিক মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও সুরক্ষা পণ্য ,যেমন- মাস্ক, ইত্যাদি বিক্রি করে তাহলে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
এই সংকটাপন্ন সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার লোভে দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধিতে তৎপর থাকে। এদের প্রতিহত করতে মাঠে কাজ করছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।