15826
Published on এপ্রিল 11, 2020করোনা ভাইরাস নোভেল করোনা ভাইরাস কি?
নোভেল করোনা ভাইরাস শ্বাসতন্ত্রের রোগ সৃষ্টি করে এমন একটি নতুন ধরণের ভাইরাস যা আগে কখনও মানবদেহে পাওয়া যায়নি। ডিসেম্বর ২০১৯ এ চীনের উহান শহরে প্রথম এই ভাইরাসের কথা জানা যায়।
কোভিড-১৯ কিভাবে ছড়ায়?
করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়;
কখন সন্দেহ করবেন আপনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন?
আপনি যদি গত ১৪ দিনের মধ্যে –
• চীন বা অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে (যেখানে স্থানীয় সংক্রমণ আছে) ভ্রমণ করে থাকেন, অথবা
• কোভিড-১৯ আক্রান্ত কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে থাকেন
এবং আপনার যদি
• জ্বর (১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি)
• কাশি,
• গলা ব্যথা,
• শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়
সেক্ষেত্রে দেরি না করে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যাবেন, অথবা আইইডিসিআর হটলাইনে (01937000011, 01937110011, 01927711784, 01927711785) যোগাযোগ করবেন।
আপনি অসুস্থ হয়ে পড়লে-
• পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখার স্বার্থে একা একটি আলাদা কক্ষে থাকুন ও সর্বাবস্থায় মাস্ক ব্যবহার করুন।
• একান্ত প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
• সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে কমপক্ষে ১ মিটার (৩ ফিট) দুরত্ব বজায় রাখুন।
• ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করুন (সাবান-পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে)
কোভিড-১৯ কি মানুষে থেকে মানুষে ছড়াতে পারে?
হ্যাঁ, কোভিড-১৯ ইনফেকশন মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে;
• শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে (হাঁচি/কাশি/কফ/সর্দি/থুথু) এবং
• আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে করোনা ভাইরাস একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়
আপনি কিভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখবেন?
• ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করুন (সাবান-পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে)
• কাশি শিষ্টাচার মেনে চলুন। হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় টিস্যু দিয়ে বা বাহর ভাজে) নাক-মুখ ঢেকে রাখুন, সাথে সাথে ঢাকনা যুক্ত পাত্রে টিস্যু ফেলে দিন এবং হাত পরিষ্কার করে ফেলুন
• যতদূর সম্ভব চোখে-নাকে-মুখে হাত দিয়ে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন
• আপনার যদি জ্বর/ কাশি, শ্বাসকষ্ট খাকে তবে সুস্থ ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকুন
• এই রোগে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে, উপদুত এলাকায় ভ্রমণের সময় যে কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। সুতরাং একান্ত অত্যাবশ্যকীয় কারণ ছাড়া কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব চলছে এমন দেশে ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন।
আপনার যদি জ্বর/ কাশি শ্বাসকষ্ট থাকে ও আপনি যদি গত ১৪ দিনের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত কোন দেশে ভ্রমণ করে থাকেন অথবা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে থাকেন তবে দেরি না করে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যেয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন অথবা IEDCR হটলাইনে (01937000011, 01937110011, 01927711784, 01927711785) যোগাযোগ করুন। ডাক্তারের সাথে কথা বলার সময় আপনার ভ্রমণের বিস্তারিত ও সঠিক ইতিহাস উল্লেখ করুন।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার কত দিনের মাঝে লক্ষণসমূহ প্রকাশ পায়?
কেউ এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে তার শরীরে করােনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহ প্রকাশ পাবে।
মানবদেহের বাইরে করােনা ভাইরাস কতক্ষণ বেঁচে থাকে?
এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য উপাত্ত থেকে জানা যায় যে নোভেল করোনা ভাইরাসটি মানবদেহের বাইরে মাত্র কয়েক ঘন্টা বেঁচে থাকতে পারে। সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুয়ে বা সাধারণ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করেই করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
কোভিড-১৯ এর কোন নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা রয়েছে কি?
• আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপসর্গ উপশমের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা এবং গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য পর্যাপ্ত সহায়ক স্বাস্থ্য সেবা (সাপোর্টিভ কেয়ার) দিতে হবে।
• এখনো পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধে কার্যকরী নির্দিষ্ট কোন ঔষধ নেই।
• সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা পরীক্ষাধীন, যা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
• বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ এ সংক্রান্ত গবেষণা ত্বরান্বিত করার জন্য সহযোগিতা করছে।
অ্যান্টিবায়োটিক কি কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধে কার্যকরী?
• অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাস-এর বিবুদ্ধে নয়, ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী।
• নভেল করোনা ভাইরাস এক ধরণের ভাইরাস বিধায় এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
• তবে, যদি কেউ কোভিড-১৯ দিয়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যাকটেরিয়া থেকে সহ-সংক্রমণের (co-infection) জন্য অ্যান্টিবায়োটিক পেতে পারেন।
কোয়ারেন্টাইন কি? আইসোলেশন কি? কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন- এর মধ্যে পার্থক্য কি?
কোয়ারেন্টাইনঃ এর মাধ্যমে সেই সকল সুস্থ ব্যক্তিদের, যারা কোন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছে, অন্য সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখা হয়, তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং তারা ঐ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয় কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
আইসোলেশনঃ এর মাধ্যমে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত অসুস্থ ব্যক্তিদের, অন্য সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখা হয়।
পার্থক্যঃ 'কোয়ারেন্টাইন -এর মাধ্যমে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছে এমন সুস্থ বাক্তিদের আলাদা রাখা হয় ও তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয়; আইসোলেশন -এর মাধ্যমে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত অসুস্থ ব্যক্তিদের আলাদা রাখা হয়। “কোয়ারেন্টাইন -এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষনাধীন সুস্থ ব্যক্তিবর্গ ঐ নির্দিষ্ট সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয় কিনা তা দেখা হয়। আইসোলেশন -এর মাধ্যমে অসুস্থ ব্যক্তি হতে যেন সুস্থ ব্যক্তিরা আক্রান্ত না হয় এ জন্য অসুস্থ ব্যক্তিদের অনা সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখা হয়
কোভিড-১৯ -এর পরীক্ষা কি বাংলাদেশে হয়?
হ্যাঁ, কোভিড-১৯ -এর পরীক্ষা বাংলাদেশে হয়। সারাদেশে ১৭টি কেন্দ্রে কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা করা হয়। এগুলো হলো-
ঢাকাঃ
১। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)
২। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইপিএইচ)
৩। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)
৪। আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অফ প্যাথলজি
৫। শিশুস্বাস্থ্য গবেষণা ফাউন্ডেশন ও শিশু হাসপাতাল (সিএইচআরএফ অ্যান্ড এসএইচ)
৬। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)
৭। ইনস্টিটিউট ফর ডেভলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিসিয়েটিভস (আইদেশী)
৮। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ
৯। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ল্যাবরেটরি মেডিসিন
ঢাকার বাইরেঃ
১। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম
২। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ, ময়মনসিংহ
৩। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ, রাজশাহী
৪। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ, রংপুর
৫। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ, কক্সবাজার
৬। এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট
৭। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ, খুলনা
৮। শের-এ বাংলা মেডিক্যাল কলেজ, বরিশাল
চীন/অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমুহ (যেখানে স্থানীয় সংক্রমণ আছে) থেকে আসা বাংলাদেশি/বিদেশী নাগরিক আমার অফিসে/বাসস্থানের নিকটবর্তী থাকে। আমি কি করব?
চীন,অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমুহ (যেখানে স্থানীয় সংক্রমণ আছে) থেকে আসা বাংলাদেশি/বিদেশী নাগরিক হলেই তিনি যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত এ কথা সঠিক নয়। যারা বিগত ১৪ দিনের মধ্যে চীন/অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহ (যেখানে স্থানীয় সংক্রমণ আছে) থেকে এসেছেন তাদের জন্য নিম্নলিখিত সতর্কতা মেনে চলুন
• ফেরত আসা বাংলাদেশি/বিদেশী নাগরিক যদি সুস্থ থাকে, তবে তাকে বাংলাদেশে আগমনের দিন হতে ১৪ দিনের জন্য কোয়ান্টাইন -এ বা সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে পৃথক থাকতে এবং মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।
• একান্ত প্রয়ােজন না হলে তাকে ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলুন
• সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে কমপক্ষে ১ মিটার (৩ ফিট) দুরত্ব বজায় রাখতে বলুন এবং
• বারে বারে হাত পরিষ্কার (সাবান-পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে) করতে বলুন।
• চীন ফেরত বাংলাদেশি/চীনা নাগরিকের কারো ভিতর যদি নিমোক্ত উপসর্গ দেখা দেয়
সেক্ষেত্রে উল্লিখিত সাবধানতা গুলো মেনে চলুন এবং দেরি না করে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে, অথবা আইইডিসিআর হটলাইনে (01937000011, 01937110011, 01927711784, 01927711785) যোগাযোগ করবেন।
আমার অফিসে চীন অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহ (যেখানে স্থানীয় সংক্রমণ আছে) থেকে লোক আসৰে আমি কি করব?
বর্তমানে যারা চীনে/অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে (যেখানে স্থানীয় সংক্রমণ আছে) অবস্থান করছেন, তাদেরকে বাংলাদেশে ফিরতে নিরুৎসাহিত করুন। যদি বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন অত্যাবশ্যক হয়, সেক্ষেত্রে নিমলিখিত সতর্কতা মেনে চলুন
• ফেরত আসা বাংলাদেশি/বিদেশী নাগরিক যদি সুস্থ থাকে, তবে তাকে বাংলাদেশে আগমনের দিন হতে ১৪ দিনের জন্য কোয়ান্টাইন -এ বা সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে পৃথক থাকতে এবং মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।
• একান্ত প্রয়ােজন না হলে তাকে ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলুন
• সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে কমপক্ষে ১ মিটার (৩ ফিট) দুরত্ব বজায় রাখতে বলুন এবং
• বারে বারে হাত পরিষ্কার (সাবান-পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে) করতে বলুন।
• চীন ফেরত বাংলাদেশি/চীনা নাগরিকের কারো ভিতর যদি নিমোক্ত উপসর্গ দেখা দেয়
সেক্ষেত্রে উল্লিখিত সাবধানতা গুলো মেনে চলুন এবং দেরি না করে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে, অথবা আইইডিসিআর হটলাইনে (01937000011, 01937110011, 01927711784, 01927711785) যোগাযোগ করবেন।
কোন কোন দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে?
এখনো পর্যন্ত চীন, জাপান, ফ্রান্স, সিংগাপুর, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড, ভিয়েতনাম, নরওয়ে, ইতালী, নেদারল্যান্ড, জার্মানী, ক্রোয়েশিয়া, ফিনল্যান্ড, গ্রীস, ডেনমার্ক, কানাডা, সান মারিনো, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ইরান, আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইসরায়েল, ডমিনিকান রিপাবলিক, ভারত, লেবানন, ইকুয়েডর,আলজেরিয়া দেশগুলোতে কোভিড-১৯ এর স্থানীয় সংক্রমণের কারণে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এই দেশগুলো ছাড়াও অন্য আরো অনেক দেশ আছে যেখানে কোভিড-১৯ অক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে, কিন্তু স্থানীয় সংক্রমণ হয়নি। এই দুই ধরণের দেশের সংখ্যা দিন দিন আরো বাড়ছে।
বিদেশ ভ্রমণে গেলে আমি কি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হতে পারি?
অত্যাবশ্যক না হলে বিদেশে, বিশেষ করে, চীন/অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে (যেখানে স্থানীয় সংক্রমণ আছে), বর্তমানে ভ্রমণ পরিহার করা উত্তম। যে কোন দেশে অত্যাবশ্যকীয় ভ্রমণে নিম্নলিখিত সতর্কতা মেনে চলুন
দেশে ফিরে আসার ১৪ দিনের মধ্যে ২০১৯-এন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণসমূহ (১০০ ফারেনহাইট। ৩৮° সেন্টিগ্রেড-এর বেশি জ্বর, গলা ব্যথা, কাশি, বাসক্ট) দেখা দিলে দেরি না করে আইইডিসিআর হটলাইনে (01937000011,01937110011,01927711784, 01927711785) যোগাযোগ করুন
চীন বা অন্যান্য যে সৰ দেশে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে সে সব দেশ থেকে কোন চিঠি, পার্সেল, পণ্য বা কাঁচামাল গ্রহণ করা কি নিরাপদ?
হ্যাঁ, এটা নিরাপদ। যেহেতু এই ভাইরাস মানবদেহের বাইরে বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে না, সুতরাং উপদ্রুত দেশসমূহ থেকে আসা কোন চিঠি/ পার্সেল পণ্য/ কাঁচামাল গ্রহণ করায় কোন ঝুঁকি নেই।
ডিম ও গবাদি পশুর মাংস কি খাওয়া যাবে?
মাংস, ডিম ও মাছ সহ সকল খাবার ভালভাবে রান্না করে খাবেন।
কোভিড-১৯ নিয়ে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ আছে কি?
প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত উপায় গুলো মেনে চলুন
• ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করুন (সােবান-পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে)
• কাশি শিষ্টাচার মেনে চলুন। হাচি-কাশি দেয়ার সময় টিস্যু দিয়ে বা বাহুর ভাজে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন, সাথে সাথে ঢাকনা যুক্ত পাত্রে টিস্যু ফেলে দিন এবং হাত পরিস্কার করে ফেলুন
• যতদুর সম্ভব চোখে-নাকে-মুখে হাত দিয়ে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন
• কারও জ্বর/কাশি থাকলে তার কাছাকাছি যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
• আপনার যদি জ্বর/কাশি/শ্বাসকষ্ট থাকে তবে সুস্থ ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকুন
• এই রোগ মানুষ থেকে ছড়াতে পারে, উপদ্রুত এলাকায় ভ্রমনের সময় যে কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। সুতরাং অথ্যাবশ্যকীয় কারন ছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমনের প্রাদুর্ভাব চলছে এমন দেশ ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন
আপনার যদি জ্বর কাশি শ্বাসকষ্ট থাকে ও আপনি যদি গত ১৪ দিনের মধ্য ২০১৯ নােভেল করােনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোন দেশে ভ্রমণ করে থাকেন অথবা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে থাকেন তবে দেরি না করে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যেয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হােন অথবা আইইডিসিআর হটলাইনে (01937000011, 01937110011, 01927711784, 01927711785) যােগাযােগ করুন। ডাক্তারের সাথে কথা বলার সময় আপনার ভ্রমণের বিস্তারিত ও সঠিক ইতিহাস উল্লেখ করুন।
আমার কী কী করা উচিৎ নয়?
নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে কার্যকরী তো নয়-ই, বরং আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে
• ধূমপান
• দেশীয় ভেষজ ঔষধ খাওয়া
• অনেকগুলো মাস্ক পরা
• নিজে নিজে ঔষধ, বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক, সেবন করা
যদি আপনার জ্বর, কাশি এবং স্বাসকষ্ট থাকে, তবে যত দুত সম্ভব নিকটস্থ সরকারি হাসপাতাল। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হউন এবং অতিরিক্ত অসুস্থ হওয়ার কুঁকি কমান। চিকিৎসকের কাছে আপনার সাম্প্রতিক ভ্রমণ বৃত্তান্ত পূর্ণাঙ্গভাবে কলুন।
২২৯-ই করোনা ভাইরাস এবং কোভিড-১৯ কি এক?
না, ২২৯-ই করোনা ভাইরাস এবং কোভিড-১৯ এক নয়।
সারা পৃথিবীর মানুষ হিউম্যান করােনা ভাইরাস ২২৯-ই, এন এল-৮৩, ও সি-৪৩ এবং এইচ কে ইউ-১ দিয়ে সাধারণভাবেই আক্রান্ত হয়ে থাকে। করোনা ভাইরাস ২২৯ ই সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি উপসর্গ তৈরি করে। এই করােনা ভাইরাস ২২১-ই বর্তমানের কোভিড-১৯ এর সাথে সম্পর্কিত নয়।
পক্ষান্তরে, নােভেল করােনা ভাইরাস (কোভি-১৯) শ্বাসতন্ত্রের রোগ সৃষ্টি করে এমন একটি নতুন ধরণের ভাইরাস যা আগে কখনও মানবদেহে পাওয়া যায়নি। ডিসেম্বর ২০১৯ এ চীনের উহান শহরে প্রথম এই ভাইরাসের কথা জানা যায়। যদি কেউ কোভিড ১৯ আক্রান্ত দেশসমূহে (যে দেশে স্থানীয় সংক্রমণ হয়েছে এমন দেশে) ভ্রমণ করে থাকেন, অথবা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে থাকেন এবং ভ্রমণের সংস্পর্শের ১৪ দিনের মধ্যে যদি জ্বর (১০০ ফারেনহাইট বা তার বেশি), কাশি, গলাবাথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ তার মধ্যে দেখা দেয়, তবে তিনি কোভিড১৯ এ আক্রান্ত হলেও হতে পারেন।