6165
Published on ফেব্রুয়ারি 12, 2020৬৪ জেলার মধ্যে ৪০ জেলা এবং ৪১০টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুজিববর্ষের মধ্যে বাংলাদেশের সব ঘরে আলো জ্বালবো।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কে নির্মিত ‘শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার’; শতভাগ বিদ্যুতায়িত ৭টি জেলা; ফেনীতে ১১৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ১৮টি জেলার ২৩টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘৬৪ জেলা আমাদের, যার মধ্যে ৪০টি জেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়ে গেলো। ৪১০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত। বাকি যেগুলো আছে সেগুলো ইনশাল্লাহ মুজিববর্ষের মধ্যে আমরা বাংলাদেশের সব ঘরে আলো জ্বালবো।’
বর্তমানে দেশের ৯৬ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
নতুন প্রজন্ম যেন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে
প্রযুক্তি শিক্ষা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান যুগটাই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকবে এটা কখনো হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে এমনভাবে শিক্ষিত করতে চাই যেন প্রতিযোগিতাময় এ বিশ্বের সঙ্গে তারা তালমিলিয়ে চলতে পারে। সেজন্য প্রযুক্তি শিক্ষাটা একান্তভাবে প্রয়োজন।’
তথ্য-প্রযুক্তি খাতের সম্প্রসারণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রযুক্তি নির্ভর একটা জাতিগোষ্ঠী গড়ে তুলতে চাই। নতুন প্রজন্ম যেন আরও বেশি আগ্রহী হয় সেদিকে নজর রেখে আমার কম্পিউটার শিক্ষা, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমসহ বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছি।’
‘রপ্তানি খাতেও ডিজিটাল ডিভাইস অনেক বেশি অবদান রাখতে পারে।’
অনলাইনে ঘরে বসে অর্থ উপাজর্নের সুযোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা ঘরে বসে অনলাইনে আউটসোর্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। একেবারে গ্রামে বসে। সেই সুযোগটা আমরা সৃষ্টি করেছি, এ সুযোগ আরো সম্প্রসারণ করতে সরকার কাজ করছে।’
‘শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার’ এর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে ট্রেনিং নেবে, এর ফলে দেশে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে, তারা নিজেরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।’
চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উদ্যোক্তা হতে হবে। চাকরি না করে চাকরি দেবো এই চিন্তাটা থাকতে হবে।’
অবহেলিত রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাজশাহীর লোক ভোট দিচ্ছে অন্য জায়গায়, কিন্তু রাজশাহীর লোক সুবিধা পাচ্ছে যখন আমরা ক্ষমতায় আসি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে। যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে তা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।’
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী, বাগেরহাট, সুনামগঞ্জ, মেহেরপুর, গোপালগঞ্জ জেলার সুবিধাভোগী মানুষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় করেন।
গণভবন প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী; প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম; সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক; পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব সুলতান আহমেদ নিজ নিজ বিভাগের উন্নয়ন তুলে ধরে তথ্যচিত্র তুলে ধরেন।