3735
Published on সেপ্টেম্বর 18, 2019বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে সংশ্লিষ্টদের সততা-নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাত্রীদের আস্থা ও বিশ্বাস ফেরাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আরও একটি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘রাজহংস’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এত কষ্ট করে, এত অর্থ দিয়ে প্লেন কিনে দিয়েছি। রক্ষণাবেক্ষণ আপনাদের আন্তরিকতার সঙ্গে দেখতে হবে। একই সঙ্গে যাত্রীসেবা- এই যাত্রী সেবার মান; যাত্রীদের আস্থা-বিশ্বাস; সততার সঙ্গে, নিষ্ঠার সঙ্গে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আশা করি, বিমানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন।
যাত্রীসেবার মান বাড়িয়ে ও ভৌগোলিক অবস্থান কাজে লাগিয়ে বিমানের যাত্রী বাড়ানোর পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তাহলে আমরা আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে অনেক বেশি যাত্রী পরিবহন করতে পারবো। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে পূর্ব-পশ্চিমের একটা সেতুবন্ধন হিসেবে আমরা কাজ করতে পারি। আমরা সেভাবে দেশটাকে গড়ে তুলতে পারি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের হজ ফ্লাইট নির্ঝঞ্ঝাট হয়েছে। একইভাবে অন্য জায়গায় যারা যাবেন আমাদের যাত্রীরা তারাও যেন ভালোভাবে যাতায়াত করতে পারে।
বিমানের রুট বাড়াতে সরকারের প্রচেষ্টার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
আমেরিকায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালু করতে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বোয়িং আমেরিকান প্লেন, আমেরিকার অ্যাম্বাসেডর এখানে আছেন, বোয়িং যদি আমেরিকায় না যায় এটা তো তাদেরই মান-সম্মানের ব্যাপার। আশাকরি সেখানেও আমরা ভবিষ্যতে যেতে পারবো, ড্রিমলাইনার নিয়েই আমরা যেতে পারবো।
বিকেলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনাল থেকে নতুন বোয়িং (৭৮৭-৮) ড্রিমলাইনার 'রাজহংস' উড়োজাহাজটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী উড়োজাহাজটিতে আরোহন করেন এবং ককপিটসহ বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সচিব মো. মহিবুল হক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) মোহাম্মদ ইনামুল বারী। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পৌঁছে ‘রাজহংস’।
অত্যাধুনিক এ উড়োজাহাজটির যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো চারটিতে।
২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন উড়োজাহাজ কেনার জন্য ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ১০টি বিমানের নাম- পালকি, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত, মেঘদূত, ময়ূরপঙ্খী, আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস।
প্রতিটি উড়োজাহাজর নামই দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১০টি প্লেনের মধ্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ।
বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির উড়োজাহাজ ড্রিমলাইনার একটানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে পারে। অন্য উড়োজাহাজের চেয়ে এর জ্বালানি খরচও ২০ শতাংশ কম।
ড্রিমলাইনার ‘রাজহংসে’র ২৭১টি আসনের মধ্যে ২৪টি বিজনেস ক্লাস এবং ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাসের আসন। বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড ও সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড সুবিধা রয়েছে।
অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ও ওয়াইফাই সুবিধা নিতে পারবেন যাত্রীরা।