বিশ্বের বিস্ময় শেখ হাসিনা

13276

Published on জুন 22, 2019
  • Details Image

আবদুল্লাহ আল মামুন:

১৯৭৫ সালের কালরাতের ভোরের দিকে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে জাতির প্রাণ নিভিয়ে দিতে গুলি-বারুদ-আর ধোঁয়ার সঙ্গে বাঙালি জাতিসত্তার যে হাহাকার ধ্বনিত হয়েছিল, সে খবর তখনকার পশ্চিম জার্মানিতে পৌঁছে যেতে বেশি সময় নেয়নি। ছোট বোন শেখ রেহানার সঙ্গে অবিশ্বাস্য সে খবর শুনে শোকস্তব্ধ শেখ হাসিনা তখনো আশায় ছিলেন, ঘাতকরা হয়তো তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের রেহাই দিয়েছে। অন্তত শিশু ভাইটি বেঁচে আছে। পরের কয়েক দিনের মধ্যে স্পষ্ট হয়, কেউ বেঁচে নেই। শোকের সেই জগদ্দল পাথর সরিয়ে শেখ হাসিনা এরপর দীপ্ত প্রত্যয়ে ধীরে ধীরে সোজা হয়ে দাঁড়ান। প্রবল বাধা ডিঙিয়ে ১৯৮১-র ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। এরপর মুজিবকন্যার একের পর এক ইতিহাস সৃষ্টি।

গত ১০ বছরে দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের বিস্ময় হয়ে উঠেছেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে এরই মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার মানদণ্ড পূরণ করেছে বাংলাদেশ। অর্থনীতির আকারের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৪৩, আর ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় বিশ্বের ৩৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রাইসওয়াটার কুপার হাউস (পিডাব্লিউসি) বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৮তম বড় অর্থনীতির দেশ, ২০৫০ সালে আরো পাঁচ ধাপ এগিয়ে আসবে ২৩ নম্বরে। বাংলাদেশকে ‘ইমার্জিং টাইগার’ উল্লেখ করে বিশ্বখ্যাত সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার গত এপ্রিলে বলেছে, এশিয়ায় টাইগার বলতে এত দিন সবাই হংকং, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানকে বুঝত। এর বাইরেও এশিয়ায় একটি ইমার্জিং টাইগার রয়েছে, যেটি হলো বাংলাদেশ। গত জানুয়ারি মাসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রকাশিত ‘ইনক্লুসিভ ইকোনমিক ইনডেক্স’-এ ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ।

দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। আশির দশকের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ সম্মেলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরসূরি শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করে। তিনি দলের দায়িত্ব নিয়েই জেনারেল জিয়ার সামরিক শাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরেই বাংলার মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ জাতিকে উপহার দিয়েছেন পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তি ও স্বাধীনতার সাধ। আর তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে শুরু করে জাতির বুকে চেপে বসা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে জনমত গঠন এবং মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই কাজ করতে গিয়ে বারবার বুলেট ও গ্রেনেডের মুখে পড়তে হয়েছে জাতির জনকের কন্যাকে। বারবার স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তি তাঁর ওপর বুলেট ও গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তাঁকে শেষ করে দিতে চেয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই জনগণের বিপুল ভালোবাসা ও আশীর্বাদে তিনি নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে বিশ্বের রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত ঘটনা ঘটে। যুদ্ধক্ষেত্রে যে আর্জেস গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়, সেই গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালানো হয় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ওপর। ইতিহাসের বর্বরোচিত ওই গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ নিহত হয় ২৪ জন। দলীয় নেতারা মানবঢাল রচনা করে রক্ষা করেন তাঁদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে। এর আগেও চট্টগ্রামে লালদীঘির ময়দান ও গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়।

বারবার হত্যাচেষ্টার মধ্যেই মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে থাকেন শেখ হাসিনা। স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতনের পর বিএনপি ক্ষমতায় আসে। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর বিএনপি-জামায়াত জোটের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তিনি। ছিয়ানব্বইয়ের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এলে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। এর পর থেকেই দেশের উন্নয়ন শুরু হয়। পাঁচ বছরে বাংলাদেশের প্রভূত উন্নতি হয়। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে সব ষড়যন্ত্রের কাছে পরাজিত হয় আওয়ামী লীগ। ফলে আবারও বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় আওয়ামী লীগ। ওই সময় দেশব্যাপী সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনে এক বিভীষিকাময় পরিবেশে নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ান শেখ হাসিনা। শুরু হয় তাঁর আরেক ধরনের সংগ্রাম।

ফখরুদ্দীন আহমদের সরকারের সময় জেলে নিয়ে পুরলেও শেখ হাসিনাকে দমিয়ে রাখা যায়নি। জনগণের চাপে সেনা সমর্থিত সরকার বঙ্গবন্ধুকন্যাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এরপর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে শক্ত হাতে বাংলাদেশের হাল ধরেন শেখ হাসিনা। কিন্তু শুরুতেই হোঁচট খান তিনি। সংঘটিত হয় নারকীয় বিডিআর হত্যাকাণ্ড। সে অবস্থায় অসীম ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন তিনি। এরপর বাংলাদেশকে টেনে উন্নয়নের মহাসাগরে নিয়ে যাওয়ার জন্য চলতে থাকে তাঁর প্রাণপণ চেষ্টা। দেশ থেকে দূর হয় মঙ্গা ও লোডশেডিং শব্দ দুটি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ঘরে ঘরে চিকিৎসা সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়। বাংলাদেশকে যখন দারিদ্র্য, মঙ্গা আর লোডশেডিংয়ের অভিশাপ থেকে উন্নতির পথে নিয়ে যাওয়া শুরু করেন শেখ হাসিনা তখনই পাকিস্তানি দোসরদের ষড়যন্ত্রে উগ্র ধর্মান্ধগোষ্ঠী সরকার পতনের চেষ্টা শুরু করে। সেটাও রুখে দেয় দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যাতে কোনোভাবেই ক্ষমতায় থাকতে না পারে সে জন্য নির্বাচন করে বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা। তারা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহতের চেষ্টা করে, যদিও সে চেষ্টা তাদের সফল হয়নি। ফলে টানা দ্বিতীয় এবং তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা।

অকুতোভয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ছাত্রজীবনে রাজনীতি করেছেন এবং ইডেন কলেজের ভিপি ছিলেন তিনি। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতার কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে আসীন হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এবং উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। দেশের দারিদ্র্যের শৃঙ্খল ভেঙে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন সচ্ছলতার দিকে। এই মুহূর্তে তিনি যা কিছু স্পর্শ করছেন, তা-ই তাঁর হাতের ছোঁয়ায় সোনা হয়ে যাচ্ছে। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে শেখ হাসিনা তাঁর ভিশনারি কর্মসূচি ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে মনোযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

গণহত্যার শিকার মিয়ানমারের ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে শেখ হাসিনা বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছেন এক মানবতাবাদী দেশ হিসেবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি গোটা বিশ্বকে জাগিয়ে তুলেছেন। বর্তমানে বিশ্বনেতাদের আলোচনার অন্যতম বিষয় হচ্ছে রোহিঙ্গা ইস্যু। গার্ডিয়ান পত্রিকায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যে বিশাল মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন, তা বিরল। তিনি যে একজন হৃদয়বান রাষ্ট্রনায়ক, তা তিনি আগেও প্রমাণ করেছেন, এবারও প্রমাণ করলেন।’ ২০১৬ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হোসে ম্যানুয়েল সান্তোস শেখ হাসিনাকে ‘বিশ্বমানবতার বিবেক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। আরেক নোবেলজয়ী কৈলাস সত্যার্থী শেখ হাসিনাকে ‘বিশ্বমানবতার আলোকবর্তিকা’ হিসেবে তুলনা করেছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান অভিহিত করেন ‘বিরল মানবতাবাদী নেতা’। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘বাবার মতোই বিশাল হৃদয় তাঁর।’ ইন্ডিয়া টুডে তাদের দীর্ঘ এক প্রতিবেদনে লেখে, ‘শেখ হাসিনার হ্রদয় বঙ্গোপসাগরের চেয়েও বিশাল, যেখানে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ে কার্পণ্য নেই।’

বাংলাদেশে নারীদের ক্ষমতায়নে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছেন শেখ হাসিনা। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডাব্লিউইএফ) বৈশ্বিক লিঙ্গবৈষম্য বিষয়ক ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে চারটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের সবার ওপরে স্থান পেয়েছে। এই চারটি ক্ষেত্র হলো—ছেলে ও মেয়েশিশুদের বিদ্যালয়ে ভর্তি, মাধ্যমিকে ছেলে ও মেয়েদের সমতা, সরকারপ্রধান হিসেবে দীর্ঘ সময় নারীর অবস্থান এবং জন্মের সময় ছেলে ও মেয়েশিশুর সংখ্যাগত সমতা। আর নারী-পুরুষের সমতার দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সব দেশের ওপরে স্থান দিয়েছে বাংলাদেশকে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। লেবার পার্টির সিনিয়র এমপি জিম ফিটজপ্যাট্রিকস বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য উন্নয়নের রোল মডেল।’

ত্যাগে, দয়ায়, ক্ষমায় ও সাহসের মহিমায় শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের বিস্ময়। শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগেরই নেতা নন, তিনি আজ দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে স্টেটসম্যান বা রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত কর্তব্য সম্পন্ন হতে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। পিছিয়ে পড়া বাংলার জনপদে তিনি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আন্দোলনের স্লোগান তুলে দেশের চেহারা বদলে দিয়েছেন। বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির এক নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ জরুরি কাজ সমাধা করতে ব্যবহৃত হচ্ছে।

কারো কাছে নতজানু হয়ে নয়, আত্মমযার্দায় প্রতিষ্ঠিত হয়েই এখন দেশ শাসন করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে ২৫ বছর মেয়াদি ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি বাতিল করা। তাঁর সময়েই বাস্তবায়িত হয়েছে ৬৮ বছরের কষ্ট আর ৪১ বছরের প্রতীক্ষিত সীমান্তচুক্তি। তাঁর শাসনামলে সমুদ্রসীমা জয় করেছে বাংলাদেশ, যা বাংলাদেশের ভৌগোলিক ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। শেখ হাসিনার আমলেই বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নির্মিত হচ্ছে দেশের বৃহত্তম পদ্মা সেতু। তিনি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আদায়ে ভূমিকা রেখেছেন।

বাংলার মানুষের বক্তব্য, শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবতার নেত্রী সাধারণ মানুষের মাঝে আস্থা করে নিয়েছেন। বিশ্বে এখন তিনি মাদার অব হিউম্যানিটি বা ‘মানবতার মা’। তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ বিশ্বনেতা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন। মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা, উদার, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানমনস্ক জীবনদৃষ্টি তাঁকে করে তুলেছে এক আধুনিক, অগ্রসর রাষ্ট্রনায়ক।

ফোর্বস পত্রিকা ২০১৮ সালে বিশ্বে ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় ২৬তম স্থানে রাখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। বিশ্ববাসী তাঁকে দিয়েছে নানা উপাধি। ‘নারী অধিকারের স্তম্ভ’ বলেছেন কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী মেরি ক্লড বিবেউ। ‘মানবিক বিশ্বের প্রধান নেতা’ বলেছে অক্সফোর্ড নেটওয়ার্ক অব পিস নামক একটি সংস্থা। শ্রীলঙ্কার গার্ডিয়ান পত্রিকা তুলনা করে ‘জোয়ান অব আর্ক’-এর সঙ্গে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত