6955
Published on ডিসেম্বর 13, 2021স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা
• গড় আয়ু ৭২.৮ বছর। নারীর ৭৪.৫ এবং পুরুষের ৭১.২।
• নবজাতক মৃত্যু হার হাজারে ১৮.৪ জন।
• ১৬২৬৩ নম্বর ব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত তথ্য প্রদান চালু হয়েছে। এই সেবার মাধ্যমে দেশের যেকোন প্রান্তে অ্যাম্বুলেন্স সেবাও পাওয়া যাচ্ছে। যেকোন ব্যক্তি এই নম্বরে ফোন করে তার প্রয়োজনীয় তথ্য আদান প্রদান করতে পারে।
• সারা দেশে ১৩,৮৮১টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু হয়েছে।
• আগামী ২০২২ সাল নাগাদ কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৪ হাজার ৮৯০টি।
• যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১৬০টি দেশে বাংলাদেশের ঔষধ রপ্তানী হচ্ছে।
মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস কার্যক্রম
• ৪২৫ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ বেসিক জরুরী প্রসূতিসেবা কার্যক্রম চালু আছে। ১৩২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ৫৯টি জেলা হাসপাতাল ও ২৭টি সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সমন্বিত জরুরী প্রসূতি সেবা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
• তৃণমূল পর্যায়ে গর্ভবতী মায়েদের প্রসবপূর্ব, প্রসবকালীন ও প্রসব-পরবর্তী সেবা নিশ্চিত করার জন্য ১২,৪৮০ জন নারীকে কমিউনিটি স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্ট (সিএসবিএ) প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
শিশু মৃত্যু হার হ্রাস এবং টিকাদান কর্মসূচি
• ১৯৯০ সালের তুলনায় ২০১৫ সালের মধ্যে অনুর্ধ্ব ৫ শিশু মৃত্যুর হার শতকরা ৭৪ ভাগ কমেছে। এমডিজি ২০১৫ লক্ষ্যমাত্রা ছিল শতকরা ৬৬ ভাগ কমানো ।
• সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)-তে এখন ১১টি টিকা অন্তর্ভুক্ত আছে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাম-রুবেলা টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করে। ৯ কোটি ৩০ লক্ষ শিশুকে এসময় টিকা দেওয়া হয়।
• জাতীয় নবজাতক কৌশলপত্রের আলোকে ৫টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ৩৫টি জেলা হাসপাতালে মারাত্মক অসুস্থ নবজাতক ও ছোট শিশুদের চিকিৎসার জন্য স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট ও ৬১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিউবর্ন স্ট্যাবলাইজিং ইউনিট রয়েছে।
কমিউনিটি ক্লিনিক
• কমিউনিটি ক্লিনিকে গড়ে প্রতিদিন ৪০ জন রোগী ক্লিনিকে যাচ্ছেন। গত ১০ বছরে ৯০ কোটির বেশী মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন। যাদের ৮০ শতাংশ নারী ও শিশু। এই ক্লিনিক থেকে ২৭ রকমের ঔষধ দেওয়া হয়।
• প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ল্যাপটপ কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ আছে। এর মাধ্যমে তারা ডিএইচআইএস ২ সফটওয়ারের মাধ্যমে অনলাইনে হালনাগাদ স্বাস্থ্য তথ্য প্রদান করে।
• কমিউনিটি ক্লিনিক নারীর ক্ষমতায়নের চমৎকার উদাহরণ। সেবাদানকারী কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের শতকরা ৫৪ ভাগই নারী। সেবাগ্রহীতাদের শতকরা ৮০ ভাগই নারী ও শিশু। কমিউনিটি গ্রুপ ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশই নারী যাদের মধ্যে কিশোরীও রয়েছে।
নতুন হাসপাতাল নির্মাণ ও স্বাস্থ্য সেবা সম্প্রসারণ
• প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঢাকায় আন্তর্জাতিক মানের একটি ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে দেশের ৩৪টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও জেলা হাসপাতালে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট চালু করেছে এবং আরও ৮টি এরকম হাসপাতাল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।
• লিভার সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসা সেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ঢাকার মহাখালীতে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডাইজেস্টিভ ডিজিজেস রিসার্চ অ্যান্ড হসপিটাল’ এর নির্মান কাজ সমাপ্ত।
• বাংলাদেশ সরকার এবং কোরিয়া সরকারের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১০০০ বেডের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মান প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন।
চিকিৎসা শিক্ষা
• ২০১০ এর পর থেকে ১৪টি সরকারি ও ৫টি সামরিক বাহিনীর অধীনে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।
• ২০১৮ সালে পাঁচটি নতুন সরকারি মেডিকেল কলেজ চালু।
• ২০১৮ সালে সব সরকারি কলেজে ১০ বছর পর ৭৫০ আসন বাড়ানো হয়েছে।
• চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেট তিনটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অনুমতি দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
অটিজম সচেতনতা ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন
• বিশ্বব্যাপী মানুষের স্বাস্থ্যমান উন্নয়নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গৃহীত কর্মসূচিতে মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজমকে যেন পৃথক গুরুত্ব দেওয়া হয় সেলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা হোসেন ওয়াজেদ জাতিসংঘে প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা গৃহীত হয়।
ঔষধ শিল্পের উন্নয়ন
• নতুন ঔষধ নীতি-২০১৭ প্রণয়ন।
• বাংলাদেশ বর্তমানে দেশের চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ স্থানীয় উৎপাদনের মাধ্যমে মিটাতে সক্ষম।
• বর্তমানে শুধুমাত্র কিছু হাইটেক প্রোডাক্ট (বøাড প্রোডাক্ট, বায়োসিমিলার প্রোডাক্ট, এন্টিক্যান্সার ড্রাগ, ভ্যাকসিন ইত্যাদি) আমদানি করা হয়।
• বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ঔষধ আমদানিকারী দেশ হতে রপ্তানিকারী দেশে পরিণত হয়েছে এবং সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ঔষধ ইতোমধ্যে সুনাম অর্জন করেছে।