২০০৯-২০১৮ পর্যন্ত মোট ১০,৮১,৭৬৬ জন হজযাত্রী পবিত্র হজব্রত পালন করেছেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ১,১১,৮৮৫টি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং দুঃস্থদের সর্বমোট ১৯৮,২৪,১৬,০০০/- টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
যেসব এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই সে সব এলাকায় মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতি উপজেলায় ২টি করে মোট ১০১০টি ‘দারুল আরকাম এবতেদায়ী মাদ্রাসা’ (১ম হতে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত) প্রতিষ্ঠা এবং ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মান ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে।
২০০৯ সাল থেকে সরকারিভাবে যাকাত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ২,৯৫,২০৩ জনকে প্রায় ১৭ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
২০০৯ সাল হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বৌদ্ধ বিহার/প্যাগোডা/শ্মশান মেরামত ও সংস্কারের জন্য বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ১,২৯,০০,০০০/- টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
২০০৯ সাল হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে প্রাপ্ত মোট ৪,১০,০০,০০০/- টাকা দেশের বিভিন্ন অস্বচ্ছল বৌদ্ধ বিহারে বিশেষ অনুদান হিসেবে বণ্টন করা হয়েছে।
সংস্কৃতি:
দেশের ১৯টি জেলায় শিল্পকলা একাডেমি নির্মাণ, সম্প্রসারণ, সংস্কার হয়েছে।
বিভাগীয় ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি নির্মাণ।
শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে দেশের ৪৯০৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হারমোনিয়াম ও ডুগি-তবলা সরবরাহ করা হয়েছে।
উপজেলা পর্যায়ে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ ও প্রচার, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ ১০টি উপজেলায় উন্মুক্ত মঞ্চ ও প্রশিক্ষণ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
৩৯টি জেলায় গণগ্রন্থাগার ভবন নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সমাপ্ত। নবনির্মিত গণগ্রন্থাগারে প্রয়োজনীয় পরিমাণ বই, বুকশেলফ ও কম্পিউটার সরবরাহ করা হয়েছে।
‘সাউথ এশিয়ান ট্যুরিজম ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় নওগাঁর পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহার এলাকা, বগুড়ার মহাস্থানগড় এলাকা, দিনাজপুরের কান্তজির মন্দির এবং বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ করা হয়েছে।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ভাষা, সঙ্গীত, বাদ্যযন্ত্র, বর্ণমালা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ১৯,৪৭৩ জন সংস্কৃতিসেবীর অনুকূলে ৩০.১৪ কোটি টাকা ভাতা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।
জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃত স্বরূপ নয় বছরে ১৩১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ১টি প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদক প্রদান।
রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শান্তি নিকেতনে নির্মিত হয়েছে বাংলার ঐতিহ্যের স্মারক ও ধারক ‘বাংলাদেশ ভবন’।
২০১৬-১৭ অর্থবছর হতে ১০টি জেলায় ১০টি করে মোট ১৮০টি বিদ্যালয়ে ‘সংস্কৃতি চর্চা’ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৮৬০টি বিদ্যালয়ে হারমোনিয়াম ও তবলা সরবরাহ করা হয়েছে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সংস্কৃতি চর্চার প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য প্রশিক্ষকগণকে সম্মানী প্রদান করা হয়।
৮টি জেলায় অডিটোরিয়াম ও মুক্তমঞ্চ সহ শিল্পকলা একাডেমির ভবন নির্মাণ।
গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন।
বাংলাদেশ কপিরাইট ভবন নির্মাণ।
খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, মণিপুরী ললিতকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ সেন্টার, প্রশাসনিক ভবন ও গেস্ট হাউজ নির্মাণ।
ঢাকাস্থ নজরুল ইন্সটিটিউটের নতুন ভবন নির্মাণ এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লায় বিদ্যমান ভবনের রিনোভেশন।