মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে সরকার

6692

Published on ডিসেম্বর 29, 2021
  • Details Image
  • ২০০৯ সাল হতে পর্যায়ক্রমে মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতার হার মাসিক ৯০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে মাসিক ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে এবং উৎসব ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।
  • ২০০৯ সাল হতে ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা পর্যায়ক্রমে ১ লক্ষ থেকে বৃদ্ধি করে ২ লক্ষে উন্নীত করা হয়েছে।
  • বিভিন্ন শ্রেণির সর্বমোট ৭ হাজার ৮শ ৩৮ জন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, শহিদ পরিবার ও বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ পরিবারের মাসিক রাষ্ট্রীয় ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করে প্রদান করা হচ্ছে।
  • ঢাকার মোহাম্মদপুরস্থ গজনবী সড়কে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১ এ ৮৪টি ফ্ল্যাট ও ৭৪টি দোকান আছে। তন্মধ্যে ৩৩টি ফ্ল্যাট ও ৩৩টি দোকান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
  • বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতাভাগি সকল শ্রেণির যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে স্বল্প মূল্যে রেশন প্রদান করা হচ্ছে।
  • শিক্ষা ভাতা, বিবাহ ভাতা, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা খরচ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চলাফেরার জন্য হুইল চেয়ার, ক্র্যাচ, লাঠি, কৃত্রিম অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, জুতা, মোজা, শ্রবণ যন্ত্র, চশমা ইত্যাদি প্রদান করা হচ্ছে।
  • মৃত দেহ দাফন/সৎকার: রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতাপ্রাপ্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করলে তাঁর ইচ্ছাকৃত স্থানে গার্ড অব অনারসহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মৃত দেহ দাফন/সৎকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
  • পানির ও পয়ঃ নিস্কাশন বিল, গ্যাস বিল, হোল্ডিং ট্যাক্স সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
  • চিকিৎসা ও অন্যান্য কাজে ট্রাস্টের কর্মকর্তাদের সহিত যোগাযোগের জন্য ২০১৭ সালে হুইল চেয়ারে চলাচলকারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের মোবাইল ফোন দেওয়া হয়েছে। এ খাতে প্রতিজনকে মাসিক ১,১০০/- টাকা হতে ১৯০০/- পর্যন্ত মোবাইল বিল প্রদান হয়ে থাকে।
  • যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়। উক্ত পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে নিম্নবর্ণিত সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন:
    • যুদ্ধাহত মু্ক্তিযোদ্ধাগণ পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রথম শ্রেণিতে বিনা ভাড়ায় যাতায়াত সুবিধা পেয়ে থাকেন।
    • বাংলাদেশ বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটে এবং আন্তর্জাতিক যে কোন রুটে (ইকোনমি) বছরে একবার যাতায়াত সুবিধা পেয়ে থাকেন।
    • পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে বিআরটিসির বাসে বিনা ভাড়ায় যাতায়াতের সুবিধা পেয়ে থাকেন।
    • বি, আই, ডব্লিউ, টি, এ’র জলযানে প্রথম শ্রেণিতে বিনা ভাড়ায় যাতায়াতের সুবিধা পেয়ে থাকেন।
    • সেতু পারাপারের ক্ষেত্রে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাগণ পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে তাঁদের বহনকারী গাড়ির টোল মওকুফ সুবিধা পেয়ে থাকেন।
    • যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাগণ বিআইডব্লিউটিএ’র ফেরি পারাপারের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে তাঁদের বহনকারি প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও এ্যাম্বুলেন্স বিনা ভাড়ায় পারাপারের সুবিধা পেয়ে থাকেন।
  • যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জনকে সম্মানীভাতা অন-লাইনের মাধ্যমে তাঁদের নিজস্ব হিসাব নম্বরে প্রেরণ করা হচ্ছে।
  • সারাদেশের হাট-বাজারের ইজারালব্ধ অর্থ হতে প্রাপ্ত ৪% টাকা অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রদান করা হয়।
  • মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরতে ও নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ করতে ৬৪টি জেলায় প্রায় ৪০০টি লাইব্রেরিতে বিনামূল্যে অনুদান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই পুস্তক বিতরণ করা হয়েছে।
  • জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের আলোকে ১৮৮ জন মহিলা মুক্তিযোদ্ধার (বীরাঙ্গনার) নাম গেজেটে প্রকাশ।
  • মুজিব নগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন।
  • ৬৪টি জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে ৬০টি ভবনের নির্মাণ সম্পন্ন। ১০টি ভবনের নির্মাণকাজ চলমান।
  • ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করার লক্ষে ২৯৭১টি বাসস্থানের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত।
  • অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের জন্য ৩০,০০০ টি বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ‘বীর নিবাস’ নামের এই নান্দনিক ঘর গুলো দেশে ৮ টি বিভাগ ও ৬৪ জেলায় নির্মিত হচ্ছে।
  • ২৬৩টি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ। ৬৫টির নির্মাণ কাজ চলমান।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত