2030
Published on সেপ্টেম্বর 2, 2018প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, মিথ্যা আলোকচিত্রের মাধ্যমে মিয়ানমার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার সে দেশ থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত লোকদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার করলেও বাস্তবতা হচ্ছে তারা সে অনুযায়ী কাজ করছে না।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার বাংলাদেশের নিকট প্রতিবেশী। তাই আমরা কখনো সে দেশের সঙ্গে কোন প্রকার সংঘাতপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি হোক তা চাই না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের জন্য সকল প্রকার ব্যবস্থা নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিয়েছে এবং আমি এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমার পক্ষ একটি ফর্ম তৈরি করেছেÑ যা পূরণ করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী নিজ দেশে ফেরত যাবে, এমন রোহিঙ্গাদর সংখ্যা সম্বলিত একটি তালিকা দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ছবি নিয়ে মিয়ানমার সরকারের প্রতারণার তীব্র নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার জঘন্য কর্ম করেছে এবং সবচেয়ে বড় ব্যপারে হচ্ছে তারা নিজেরাই তাদের ভবমূর্তি কলঙ্কিত করেছে। এই জালিয়াতির মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিকভাবে তাদের অবস্থান নষ্ট করেছে।’
২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের অপপ্রচারের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কাছ থেকে মিয়ানমার সরকার এ প্রতারণা শিখেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ওই সময় যুদ্ধাপরাধের মামলায় সাইদীর আজীবন কারাদন্ডের প্রতিবাদে পবিত্র মক্কা শরীফে মানববন্ধন হয়েছে বলে বিএনপি-জামায়াত চক্র ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে। যদিও জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য তাদের পোস্ট করা ছবিগুলো ছিলো হাইতির ভূমিকম্পে নিহতদের মৃতদেহের।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কোথা থেকে প্রতারণা শিখেছে। তিনি বলেন, ‘আমার প্রশ্ন তারা কি বিএনপি-জামায়াতের কাছে এটা শিখেছে?’