বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধিঃ খন্দকার সালেক সুফি

5123

Published on মার্চ 15, 2018
  • Details Image


সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সরকারের সহায়তায় (ডিএফএটি) মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার সেক্টরের ১৫ জন কর্মকর্তা ওই বিষয়ে আরো জ্ঞান অর্জন ও দক্ষতা বাড়াতে দেশটির মনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে চার সপ্তাহের একটি কোর্স সম্পন্ন করেছে। পরে ওই গ্রæপটি কয়লা খনির ওপর সেমিনার, কয়লা বন্দর ব্যবস্থাপনা, কয়লা সরবরাহ চেইন ম্যানেজমেন্ট, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রযুক্তি এবং এ সংশ্লিষ্ট প্রভাব, এলএনজি প্রক্রিয়াকরণ, এলএনজি সরবরাহ চেইন ম্যানেজমেন্ট, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন, বিতরণ বিষয়ক নেটওয়ার্ক অপারেশন ম্যানেজমেন্ট, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সংযোগ, শক্তি ও বিদ্যুৎ বাণিজ্য ইত্যাদি কর্মশালায় অংশ নেয়। গ্রæপটি নিউজিলের নিউ ক্যাসল এবং কুইন্সল্যান্ডের গø্যাডস্টোন, গø্যাডস্টোনের এলএনজি প্ল্যান্ট, ল্যাট্রোভ ভ্যালির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ভিক্টোরিয়া, গø্যাডস্টোন এবং রকহ্যাম্পটন পরিদর্শন করে। প্রতি সেশন এবং সাইট দেখার সময় অংশগ্রহণকারীদের সক্রিয়ভাবে তা পর্যবেক্ষণ করে। চার সপ্তাহে অংশগ্রহণকারীরা অস্ট্রেলিয়ার তিনটি স্টেট ভিক্টোরিয়া, এনএসডবিøউ এবং কুইন্সল্যান্ডের ৯টি শহরে অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো পর্যবেক্ষণ করে। অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যেকেই অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান নিজেদের সহকর্মীদের সাথে ভাগাভাগি করতে সক্ষম হবেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রকল্প পরিকল্পনা, ওই খাতে দক্ষতা বৃদ্ধি, ঝুঁকি সনাক্তকরণ, মূল্যায়ন এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, কয়লা এবং এলএনজি সরবরাহ চেইন ম্যানেজমেন্ট, জ্বালানি ও জ্বালানি মূল্য, গ্যাস ও বিদ্যুৎ্ সঞ্চালন ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিল্পকে প্রযুক্তিগত দিকে আধুনিক করে তুলতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রোগ্রামের যুক্তি

২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে একটি ভিশনের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার। আর ওই ভিশনের নিচের লাইনটি অর্থনৈতিক উন্নয়নে জ্বালানি খাতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। আর এ লক্ষ্য পূরণে প্রাথমিকভাবে জ্বালানির টেকসই সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং দেশীয় ও আমদানিকৃত জ্বালানির সুষম মিশ্রনের কথা বলা হয়েছে। নিজস্ব জ্বালানি সীমিত থাকায় বিশ্ববাজার থেকে কয়লা ও এলএনজি আমদানি করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। আর, এটি বাস্তবায়নে মেগা প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া একটি জ্বালানি কয়লা এবং এলএনজি সমৃদ্ধ দেশ এবং প্রযুক্তিগত শিল্পেও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে তারা অনেক অভিজ্ঞ। অস্ট্রেলিয়ার তিন বাংলাদেশী ডক্টর কামরুল আলম, ডক্টর ফিরোজ আলম এবং ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার সালেককে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও শক্তি বিভাগের প্রকল্পকে এগিয়ে নিতে মূল অবদান রাখছেন। এবং বাংলাদেশ সরকারও এতে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কিছু অস্ট্রেলীয় প্রতিষ্ঠান যেমন: সান্তোস, অস্ট্রেলিয়ার এনার্জি রেগুলেটর এতে ইতিবাচকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। অস্ট্রেলিয়ার সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী ডিএফএটি এতে ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড প্রোাগ্রামের অনুমোদন দেয়। সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচির আওতায় বিদ্যুৎমন্ত্রী, বিদ্যুতের সিনিয়র অফিসার প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। প্রথম পর্যায়ে ৬টি অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করে এবং ২০১৭ সালের মাঝামাঝি ঢাকায় এ বিষয়ে একটি অনুষ্ঠানের একটি আয়োজন করা হয়। প্রকল্পটি এর উদ্দেশ্য অর্জন করেছে এবং এর ফলে প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীরা এখন মেগা পাওয়ার এবং শক্তি খাতে অবকাঠামো প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। এবং ওই প্রোগ্রাম থেকে এর কর্মকর্তারা ইতিবাচকভাবে উপকৃত হয়েছেন। বর্তমানে কর্মসূচিটি দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে এবং এর কার্যক্রম আরো দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভিক্টোরিয়া প্রোগ্রাম

প্রোগ্রামটি মেলবোর্ন ভিক্টোরিয়াতে চালু করা হয়। মনাশ বিশ্ববিদ্যালয় সাউথ এশিয়ার আঞ্চলিক যোগাযোগ, কয়লা খননে আধুনিক প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও পরিবেশগত বিষয়, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিভিন্ন প্রযুক্তি এবং সহযোগিতামূলক প্রভাব এবং প্রভাব ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কিছু কর্মশালার আয়োজন করে। এছাড়া, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বিদ্যুৎ বাণিজ্য নিয়ে কর্মশালাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। সিএসআইআরও অস্ট্রেলিয়ার আয়োজনে ল্যাট্রোব ভ্যালি সাইটে কয়লাাভিত্তিক প্ল্যান্টেও ফ্লু গ্যাস থেকে কার্বন গ্রহণের প্রযুক্তি সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের ব্যাখ্যা করা হয়। এছাড়া ল্যাট্রোভভ্যালিতে বাদামী কয়লার খোলা পিট খনির খনির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের ধারণা দেয়া হয়।

নিউ ক্যাসল এনএসডব্লিউ এর প্রোগ্রাম

অংশগ্রহণকারীরা নিউক্যাসলের কয়লা বন্দরে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার পরিদর্শন করে। তাদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বয়ংক্রিয় কয়লা রপ্তানি টার্মিনাল ওরাররথে ভ্রমণেরও সুযোগ দেয়া হয়। বন্দরটি শুধু কয়লা ক্রয় এবং বিক্রি করতেই শুধু নয়। বরং প্রয়োজনে কয়লার মিশ্রণ করা এবং জেটি ব্যবহার করা যায় এমন জাহাজগুলো কয়লা লোড করা হয়। এখানে কয়লার গুণগত মান নিশ্চিত করতে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়। কয়লা পরিবহন ও রপ্তানি কার্যক্রমে পরিবেশের ওপর এর প্রভাব পড়ছে সে বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ওই টিমটি খনি থেকে কয়লা উত্তোলন এবং কিভাবে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে বন্দর পর্যন্ত কয়লার বহন প্রক্রিয়াগুলো পর্যবেক্ষণ করে। আর সব প্রক্রিয়াই সূ²ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। রেল ওয়াগ্যানের প্রতিটি কক্ষের নীচে খোলা ডাম্পিং পয়েন্ট থাকে। এরপর কয়লা উত্তোলন করে মনোনীত মজুদগার থেকে তা বহন করে যেখানে ক্রেতাদের চুক্তি মোতাবেক বিভিন্ন কয়লার মিশ্রণ করা হয়।

পোর্ট টার্মিনাল একসাথে তিনটি বড় কয়লা বহন জাহাজ পরিচালনা করতে পারে। এটি ক্যাপেসিজ, প্যানাম্যাক্স এবং সুপ্রাম্যাক্স জাহাজও হতে পারে। প্রতিটি প্যানাম্যাক্স জাহাজের জন্য কয়লা লোড করতে সাধারণত ১২ ঘন্টা সময় লাগে এবং ক্যাপেসিজ জাহাজ লোড হতে লাগে ১৮ ঘন্টা। বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীরা সফরের সময় দুটি প্যানাম্যাক্স ভেসেল লোডিং দেখেছিল।

টিমটি নিউ ক্যাসলের সিএসআইআরও নামে একটি এনার্জি গবেষণা সেন্টারেও গিয়েছিলো। সেখানে সোলার টেকনোলজি সম্পর্কে তাদের ধারণা দেয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের গাইডের মাধ্যমে কিভাবে সূর্যশক্তি সৌর প্যানেলের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয় তা দেখানো হয়। সিএরআইআরও শিঘ্রই তাদের উদ্ভাবনী কাজ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহার করবে।

গ্ল্যাডস্টোন অভিজ্ঞতাঃ

টিমটি রকহ্যাম্পটোনের স্ট্যানওেেল এনআরজির সাব ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, সুপার ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিদর্শন করে। পরবর্তীতে দলটি কারটিস দ্বীপের চারপাশে একটি নদীতে ভ্রমণে যায়। সেখানে তিনটি বড় এলএনজি টার্মিনাল-জিএলএনজি, এপিএলএনজি এবং কিউজিসি এলএনজি প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট এবং এলএনজি এক্সপোর্ট টার্মিনাল আছে। দলটি এনআরজি পাওয়ার প্ল্যান্ট, এলএনজি প্ল্যান্ট, রিফাইনারী এবং গø্যাডস্টোনের পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করে। এবং বায়ু ও পানির ওপর এর প্রভাব সম্পর্কেও অবগত হয়। এটি স্থান ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থান- গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ থেকে বেশি দূরে নয়।

কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর জন এ্যাবট, একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত দিক, কয়লা শক্তি, পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব, ব্যবস্থাপনা পরিচালনার ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত দিক ব্যাখ্যা করেন। এছাড়া, ভবিষ্যতের জন্য জ্বালানি হিসেবে কয়লা কেন থাকবে এবং নবায়নযোগ্য শক্তি (সৌর ও বায়ু) নির্ভরযোগ্য ভিত্তিতে লোড দিতে পারবে না বলেও জানান তিনি। পরবর্তীতে টিমটিকে গাইডের মাধ্যমে এনআরজি বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের অপারেশন দেখানো হয়। দলটি প্ল্যান্টের ছাই এবং পানি ব্যবস্থাপনা দেখতে প্রভাবিত হয়। আর এর থেকে বাতাস এবং নিকটবর্তী স্ট্রিমের পানি নির্গমনের কোনও ক্ষতিকর প্রভাব দেখা যায় নি। কোন রকম ক্ষতিকর প্রভাব ছাড়া শহরের কেন্দ্রস্থলে চার দশকের বেশি সময় ধরে অবস্থিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রযুক্তি ব্যবহার দেখে দলের সবাই অনুপ্রাণিত হয়।

শেল অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞদের দল দলটি সিকিউইউ ক্যাম্পাসে কিউজিসি এলএনজি প্ল্যান্টের নকশা, নির্মাণ এবং এর কার্যাবলি নিয়ে একটি উপস্থাপনা করে। সুরাট অববাহিকা থেকে কয়লা উত্তোলনের পর কয়লার স্তর থেকে মিথেন আলাদা করা হয়। এরপর পাইপলাইনের যাওয়ার মতো উচ্চ চাপযুক্ত গ্যাসে রূপান্তর করে তা ৪শ’ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনে কার্টিস দ্বীপে পাঠানো হয়। কনোকো ফিলিপস ক্যাসকেডিং প্রযুক্তির মাধ্যমে অতি শীতল (মাইনাস ১৬১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) এলএনজি করার জন্য ওই গ্যাস থেকে ঈঙ২ ধহফ ঐ২০ সরিয়ে ফেলা হয়। এলএনজি জাহাজে পাম্পিং করার আগে একে ১/৬০০ গুণ ঠাÐা মিথেনকে অস্থায়ী একটি ক্রায়োজেনিক জাহাজে সংরক্ষণ করা হয়। শেল অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞরা ওই দলের বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর দেন। গাইডের মাধ্যমে নৌ ভ্রমণে দলটি আরজি থান্না ও ডবিøউআইসিইটি কয়লা বন্দর এবং তিনটি এলএনজি টার্মিনালে চারপাশ পরিদর্শন করে। এছাড়া, তারা কয়লা জাহাজ এবং এলএনজি জাহাজ লোডিং প্রত্যক্ষ করে। চ্যানেলের ১৬.৫ মিটার সব সিজনের মজুদ কয়লার জন্য এবং এলএনজি জাহাজের জন্য উপযুক্ত।

ব্রিসবেনে কার্যক্রম:

প্রোগ্রামের শেষ পর্যায়ে দলটি ব্রিসবেনের দুটি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে। কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ান অধ্যাপক ড. তপন সাহা বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা বিশেষ করে পাওয়ার ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম সম্পর্কে কর্মশালায় আলোচনা করেন। ড. সাহা নবায়নযোগ্য (সৌর ও বায়ু) শক্তির প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং গবেষণার বিষয়ে একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ খাতের প্রকল্প এবং চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের তার মতামত এবং অস্ট্রেলিয়ার সর্বোত্তম ব্যবহার সম্পর্কে জানান।

রড ডিউক সান্তোস জিএলএনজি অপারেশনের সিইও, ব্রিসবেনে স্কাইডা কন্ট্রোল সেন্টারের এলএনজি প্রক্রিয়াকরণ ও ট্রেডিং বিষয়ে একটি অত্যন্ত উপযোগী সেমিনার করেন। রড, একটি রাসায়নিক প্রকৌশলী হিসেবে কয়লার স্তর থেকে মিথেন উত্তোলনের প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা করেন। এছাড়া, গ্যাস সংগ্রহের কেন্দ্র, ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন, এলএনজি প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট, কনোকো ফিলিপস ক্যাসকেডিং প্রযুক্তি, এলএনজি সংরক্ষণ এবং চালান ও এলএনজি মূল্যনির্ধারণের নির্মাণ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনা করেন। পরে রড দলটিকে স্কাডা নিয়ন্ত্রণ সেন্টারের দূরবর্তী নিয়ন্ত্রণ, প্ল্যান্ট, গ্যাস ট্রান্সমিশন পদ্ধবি এবং এলএনজি প্ল্যান্টের নানান দিক দেখান।

পরিশেষে বলা যায়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশী অংশগ্রহণকারীরা তিন থেকে চার সপ্তাহের সফওে কয়লা বন্দর, কয়লা বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের নকশা, নির্মাণ ব্যবস্থাপনা ও অপারেশন সম্পর্কে বিভিন্ন দিকে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশী দলের কাছে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে এলএনজি’র মান এবং এর সরবরাহ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি উন্মুক্ত হয়েছে। সর্বপরি, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবেশগত প্রভাব ব্যবস্থাপনার ওপরেও দলের সবার বাস্তক অভিজ্ঞতা হয়েছে। আশা করা যায় যে, ভবিষ্যতে পেশাদারিত্বেও মাধ্যমে তারা শক্তি ও বিদ্যুৎ মেগা প্রকল্পের পরিকল্পনা, উন্নয়ন এবং অপারেশন দীর্ঘমেয়াদী সময়সীমার জন্য বাস্তব প্রশিক্ষণের প্রতিফলন ঘটাবে। শক্তি ও বিদ্যুৎ প্রকল্প উন্নয়ন, অপারেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের প্রশিক্ষিত উল্লেখযোগ্য হারে পেশাদার সদস্য প্রয়োজন। অস্ট্রেলিয়ার মনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিএফএটি, আরএমআইটি সিকিউইউ এবং অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য সংগঠনগুলো বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে চমৎকার কাজ করেছে।

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত