11130
Published on মার্চ 13, 2018প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ইউনেস্কো বিশ্ব হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃত সিঙ্গাপুর বোটানিক গার্ডেনের ন্যাশনাল অর্কিড গার্ডেনে তাঁর নামের একটি অর্কিড উন্মোচন করেছেন।
সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম সফরটি স্মরণীয় করে রাখতে অর্কিডটির নাম ‘ডেনড্রোবিয়াম শেখ হাসিনা’ রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী গত রোববার সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের আমন্ত্রণে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে তাঁর প্রথম সরকারী সফরে আসেন।
সিঙ্গাপুরের জাতীয় ফুল অর্কিডের যে প্রজাতির নাম ‘ডেনড্রোবিয়াম শেখ হাসিনা’ রাখা হয়েছে, বোটানিক বাগানের কর্মকর্তারা ‘সানপ্লাজা পার্ক’ ও ‘সেলেটার চকোলেট’ প্রজাতির শংকরায়নের মাধ্যমে সেটি উদ্ভাবন করেন।
সিঙ্গাপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের পরিচালক ড. নাইজেল টেইলর সি হর্ট সকালে এখানে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডেনড্রোবিয়াম শেখ হাসিনা অর্কিডটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, তার স্ত্রী পেপী সিদ্দিক ও তাদের দু’সন্তান এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নতুন অর্কিডটির শংকরায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং বাগানের ব্যবস্থাপক ডেভিড লিম বলেন, ডেনড্রোবিয়াম শেখ হাসিনা অর্কিডটির শংকরায়ন এবং পত্র-পল্লবে বিকশিত হতে সাড়ে চার বছর সময় লেগেছে।
এই হাইব্রিড অর্কিড ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। প্রতিটি গাছেরই ১৫টি ফুলের থোকা ধরে। প্রতিটি প্রস্থে ৫ সে.মি. হয়।
প্যাঁচানো প্রতিটি ফুলের গোড়া গাঢ় পিঙ্গল রঙের এবং ফুলের মাঝখানে হালকা বাদামী ও ধবধবে সাদা প্রান্ত থাকে।
সিঙ্গাপুরের রীতি অনুসারে ১৯৫৭ সাল থেকে দেশটিতে সফরকারী বিভিন্ন দেশের প্রায় আড়াইশো রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের নামে স্থানীয় অর্কিডের নামকরণ করা হয়েছে বলেও ডেভিড লিম জানান। তাদের সফরকে স্মরণীয় করে রাখতেই এটা করা হয়।
‘ডেনড্রোবিয়াম শেখ হাসিনা’ অর্কিডটি এখন থেকে গার্ডেনের ভিআইপি গ্যালারির শোকেসে শোভা পাবে।
প্রধানমন্ত্রী পুরো অর্কিড বাগানের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করেন। বাগানটিতে ১ হাজার প্রজাতি ও ২ হাজার শংকরায়নকৃত উদ্ভিদ রয়েছে।