2522
Published on ডিসেম্বর 12, 2017এক বছর পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের পর আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হল জরুরি প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক সহায়তার হেল্পলাইন ৯৯৯।
যে কোনো ফোন (মোবাইল বা ফিক্সড লাইন ফোন ) থেকে এই নম্বরে ফোন করলে পুলিশ, দমকল বাহিনী ও অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় মঙ্গলবার জাতীয় এই জরুরি সেবাটি উদ্বোধন করেন।
ঢাকার আব্দুল গণি রোডের মহানগর পুলিশের ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ কেন্দ্রের ফলক উন্মোচনের পর এর কল সেন্টারও ঘুরে দেখেন তিনি।
পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীনও উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে ‘ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস’ নামে এই টেলিসেবাটি চালু করে। এখন থেকে বাংলাদেশ পুলিশের ব্যবস্থাপনায় তা পরিচালিত হবে।
৯৯৯ নম্বরটি সম্পূর্ণ ‘টোল ফ্রি’। কোনো খরচ ছাড়াই নাগরিকরা এই জরুরি সেবা নিতে পারবেন।
কখন কল করবেন?
# কেউ যখন কোনো অপরাধ ঘটতে দেখবেন
# প্রাণনাশের আশঙ্কা দেখা দিলে
# কোনো হতাহতের ঘটনা চোখে পড়লে
# কেউ কোনো দুর্ঘটনায় পড়লে
# কোথাও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে
# কারও জরুরিভাবে অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন হলে
পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, তাদের দক্ষ ও প্রশিক্ষিত সদস্যরা ২৪ ঘন্টা এই সেবা দিতে প্রস্তুত থাকবেন।
কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে গতবছর পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় হেল্পডেক্স ৯৯৯ চালু করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
২০১৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সেখানে পরীক্ষামূলকভাবে সেবা দেওয়া হয়।
তার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সেবা প্রত্যাশীদের মধ্যে ৬৪.৮০ শতাংশ পুলিশি সেবা, ৩১.১০ শতাংশ ফায়ার সার্ভিস এবং ৪.১০ শতাংশ অ্যাম্বুলেন্স সেবার জন্য ফোন করেছিলেন।
গত ৮ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সভা শেষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পলক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গত প্রায় এক বছরে ৯৯৯ এ প্রায় ৩৩ লাখ কল এসেছে।