2050
Published on নভেম্বর 13, 2013একটি দেশ কতটুকু উন্নত তা নির্ভর করে ঐ দেশের মানুষের জীবনমানের ওপর। সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সুবিধা সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, বিদ্যুৎ সুবিধা সহজলভ্য করা ছাড়া দেশের আধুনিকায়ন সম্ভব নয়। এলক্ষ্যে সরকার বিদ্যুৎ খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।
অর্জন:
বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে এবং একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধিকে সরকার সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এ লক্ষ্যে তাৎক্ষনিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প গ্রহন করেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০০৯ সালে ৩২৬৮ মেগাওয়াট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৩৮৪৫ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। সর্বোচ্চ ৬৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে এবং উৎপাদন ক্ষমতা ৮৫২৫ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের ৬০ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুতের আওতাভুক্ত করা হয়েছে এবং ১৯ লক্ষ ৮৯ হাজার নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। কৃষিখাতে সেচের জন্য বিদ্যুতের অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এর ফলে ধান ও অন্যান্য শস্যের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং খাদ্য ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অধিক উৎপাদনের কারনে লোডশেডিং উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা:
বর্তমান পরিস্থিতিকে আরো উন্নত করতে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩৯ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করতে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান গ্রহন করা হয়েছে। নির্মানাধীন রয়েছে ৫৪৩৭ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন আরো ২৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে এবং ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানী শুরু হয়েছে। এছাড়াও লক্ষ্যপুরনে পাবনা জেলার রূপপুরে ১০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে অনেক সহজ ও সাবলীল করে তোলে সাথে সাথে দেশের শিল্প-কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। বিদ্যুতের সাথে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের সম্পৃক্ততা উপলব্ধি করতে পেরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ খাতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়েছে যা বিগত সরকারের তুলনায় সত্যিই অনন্য।