2201
Published on ডিসেম্বর 10, 2013সুস্বাস্থ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। সুস্থ জনগণ ছাড়া সুস্থ জাতি আশা করা যায় না। সুস্থ-সবল জাতিই পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। এই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার সাধারন জনগণ, বিশেষ করে, মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়েছে। শিশুরাই আগামী দিনের নেতৃত্ব দিবে আর তাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশে মায়েদের সুস্বাস্থ্য অপরিহার্য। সন্তান জন্মদানের সময় এবং এর পরবর্তী সময়ে মায়েদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য-৫ অর্জনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
নিরাপদ প্রসূতি স্বাস্থ্যঃ
সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিষ্ঠার ফলে বিশ্বে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের বিভিন্ন যুগোপযোগী ও উন্নত প্রশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে প্রসবের হার ১৮ শতাংশ থেকে ৩১.৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। জন্মহার হ্রাস, নারী শিক্ষা, বিবাহের বয়স বৃদ্ধি, জরুরী প্রসূতি সেবা কার্যক্রম ইত্যাদির মাধ্যমে দেশে মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস পেয়েছে। মাতৃমৃত্যু প্রতি লক্ষে ১৯৪ জনে নামিয়ে এনেছে এবং ২০১৫ সালের মধ্যে ১৪৩ জনে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
শিশু মৃত্যুর হার হ্রাসঃ
শিশুরাই এদেশের পরবর্তী কর্ণধার। তাদের সুস্বাস্থ্যকে অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করে সরকার শিশুমৃত্যুহার হ্রাস করার মাধ্যমে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য-৪ অর্জনে কৃতিত্বের সর্বোচ্চ দাবীদার বর্তমান সরকার। চার-দলীয় জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ বিশ্বে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু ২০০৯ থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের অসামান্য ত্যাগের ফলে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল, এমনকি উন্নত দেশের কাছেও রোল মডেল।
পোলিওর অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করার লক্ষ্যে সরকার দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসুচির মাধ্যমে শিশুমৃত্যুহার হ্রাস করেছে। এর স্বীকৃতিস্বরূপ দুইবার GAVI Alliance কর্তৃক পুরস্কৃত হয়েছে
প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা:
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে তুলেছে। বিগত সরকারের দুর্নীতি ও ধর্মীয় অপব্যাখ্যার দ্বারা এইসব ক্লিনিক ও জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিকে রুদ্ধ করতে চেয়েছিল।
দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৪১ শতাংশ থেকে ১.৩৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।
মেধাবী চিকিৎসক তৈরী এবং পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার বিভাগীয় শহর ও অন্যান্য খ্যতনামা মেডিকেল কলেজগুলোর সম্প্রসারন ও আধুনিকায়ন করেছে। এছাড়াও ১০টি নতুন বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ও ৩টি ডেন্টাল ইউনিট প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছে।
দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জেলা হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ১০টি নৌ এ্যাম্বুলেন্সসহ ২৬৭টি এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেছে।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যখাতে সরকারের এই সাফল্য সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরবর্তীতেও একটি সুস্থ-সবল জাতি উপহার দিয়ে দেশকে বিশ্বের কাতারে মডেল হিসেবে উপস্থাপন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।