688
Published on আগস্ট 28, 2017দেশের সব জেলা প্রশাসককে জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে লিখিত নির্দেশনা পাঠাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহম্মদ শফিউল আলমকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে জোয়ার ভাটার পানিও যেন বাধাহীনভাবে ওঠানামা করতে পারে সে বিষয়টি বাস্তবায়নেরও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৮ আগস্ট) তেঁজগাওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় এ নির্দেশ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম শফিউল আলম বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে জানান, মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এবারের বন্যা ও বন্যা পরবর্তী পরিস্থতি নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। এ সময় পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের কাছে বন্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান তিনি।
পরিস্থিতি অবগত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক স্থানে খাল বিল দখল করে মাছের ঘের করা হয়েছে। অনেক জায়গায় ব্রিজের নিচে ইট বালু সিমেন্ট দিয়ে দেয়াল তৈরি করে পানি আটকে রেখে মাছ চাষ করা হচ্ছে। আবার অনেক জায়গায় খাল-নদী দখল করে নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জোয়ার ভাটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক স্থানে তৈরি হয়েছে অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা। এ সব কারণে এবারের বন্যায় জনদুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়েছে।
জানা গেছে, এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ সব যারা করেছেন তারা যতোই ক্ষমতাশালী হোক তা আমলে না নিয়ে পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে এমন সব অবকাঠামো, দেয়াল বা জঞ্জাল ভেঙে ফেলতে হবে। এ বিষয়ে সব জেলা প্রশাসককে কার্যকর উদ্যোগ নিতে তিনি লিখিতভাবে নির্দেশ দিতে বলেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে। অবিলম্বে জেলা প্রশাসকদের এই নির্দেশনা সম্বলিত চিঠি পাঠানোরও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।