428
Published on এপ্রিল 9, 2017শনিবার সন্ধ্যায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা।
তাদের মধ্যে তিস্তা ছাড়াও অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন, আন্তঃসীমান্ত পানি ব্যবস্থাপনা এবং দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয় বলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান।
ছয় বছর আগে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে তা আটকে যায়। এরপর বিভিন্ন সময় ভারত সরকার এই চুক্তি সইয়ের বিষয়ে আশ্বাস দিলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা সই হলেও তিস্তার বিষয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি।
তবে তিস্তার জট খোলার আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য তিস্তা চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
“আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং অব্যাহত প্রচেষ্টা সম্পর্কে আমি আপনাকে (শেখ হাসিনা) এবং বাংলাদেশের জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই।
“আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আমার ও আপনার সরকারই তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যার সমাধানে পৌঁছতে পারবে।”
পরে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতার আলোচনা হলেও তাতে কোনো অগ্রগতি এসেছে কি না তা স্পষ্ট করেননি মুখ্য সচিব নাসের চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে সহযোগিতা আরও জোরদার করার কথাও বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।