এবারও বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত

366

Published on ডিসেম্বর 25, 2016
  • Details Image

স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এক সভায় উপস্থিত সকল সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন প্রস্তাবনাটি সকল কো-স্পন্সর দেশের পক্ষ থেকে উপস্থাপন করেন।

প্রস্তাব উপস্থাপনকালে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মানুষের জন্য স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে হবে। শিক্ষার প্রসার এবং একদর্শী চিন্তাধারার পরিবর্তন করে মানুষের সামগ্রিক উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশে শান্তির সংস্কৃতি বিকাশে বদ্ধ পরিকর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রদত্ত শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থান, সামাজিক ন্যায়বিচার, দারিদ্র্য, ক্ষুধা, বঞ্চনা ও আগ্রাসনমুক্ত একটি বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, জাতীয়ভাবে এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে।

উল্লেখ্য, ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাবটি ১৯৯৭ সালে প্রথম উপস্থাপিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘শান্তির সংস্কৃতি দশক’ বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়। ২০০১ থেকে প্রতি বছর জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ প্রস্তাবটি উপস্থাপন এবং তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়ে আসছে।

এবারের প্রস্তাবে যুব শক্তি ও নারীর জন্য কর্ম প্রক্রিয়ার ভূমিকাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ প্রস্তাব বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বিশ্বে মমত্ববোধ বাড়বে। মানুষে মানুষে হিংসা-বিদ্বেষ এবং যুদ্ধবিগ্রহ হ্রাস পাবে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালবাসা দৃঢ় হবে। যা সব দেশ ও বিশ্বের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।

এ বছর ইউরোপীয় অনেক দেশসহ সবকটি মহাদেশের ১০০ এর অধিক দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে এই প্রস্তাবের কো-স্পন্সর। ২০টি দেশের প্রতিনিধি এই প্রস্তাবের উপর বক্তব্য দেন। সবাই প্রস্তাব বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত