408
Published on ডিসেম্বর 16, 2016মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এবং সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশন এই কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিজয় দিবসের এই কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সালাম গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিমানবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের কন্টিনজেন্ট, আধাসামরিক বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এই কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষযয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক, সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল আবু এসরার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাভারের নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অধিনায়ক এবং নবম পদাতিক ডিভিশনের ৮১ কমান্ড ব্রিগেড-এর কমান্ডিং অফিসার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এটিএম আনিসুজ্জামান উপ-অধিনায়ক হিসেবে কুচকাওয়াজের পরিচলনা করেন।
দেশের প্রতিষ্ঠানসমূহের এবং আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ক্রমাগত উন্নয়নের চিত্র কুচকাওয়াজে প্রদর্শন করা হয়।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজে মিগ-২৯ ‘ফ্লাইপাস্ট’ এবং ‘এ্যারোবেটিক ডিসপ্লে’সহ সেনা বাহিনীর বিমান, নৌ বাহিনীর বিমান এবং র্যা বের হেলিকপ্টার প্যারাট্রুপারদের অবতরণ প্রত্যক্ষ করেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, সাবেক সেনা প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ এবং তাদের সহধর্মিনীরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া ভারত ও রাশিয়ার মুক্তিযোদ্ধারা ৪৬ তম বিজয় দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণ করতে সস্ত্রীক ঢাকায় আসেন। তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী পরিষদের সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টামন্ডলী, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিনবাহিনীর প্রধানগণ, প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন পেশার হাজার-হাজার মানুষ প্রায় দুই ঘণ্টারব্যাপী কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন।
এ উপলক্ষে প্যারেড গ্রাউন্ডকে সুচারুভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় চার নেতা এবং সাত বীর শ্রেষ্ঠদের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে।
ছবিঃ সাইফুল ইসলাম কল্লোল