388
Published on নভেম্বর 15, 2016একই সঙ্গে পানি খাতে টেকসই উন্নয়নে ফান্ড গঠন ও জলবায়ু উদ্বাস্তুদের চ্যালেঞ্জসমূহ যথাযথভাবে চিহ্নিত করার দু’টি প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) মরক্কোর মারাকাশ শহরের বাব ইগলিতে অনুষ্ঠিত ২২তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২২) রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা সভায় এসব প্রস্তাব দেন শেখ হাসিনা।
মরক্কো সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক হুমকি মোকাবেলার যুদ্ধে আজকের এই শুভক্ষণে আসুন আমরা আমাদের অংশীদারিত্ব একীভূত করি, ঐক্যবদ্ধ হই।’
‘নিরাপদ বিশ্ব ও আগামী প্রজন্মের জন্য আরও সুন্দর পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আমাদের অবশ্যই সমানভাবে বোঝা বহনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে,’ বলেন তিনি।
গত বছরে প্যারিস চুক্তির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত বছর প্যারিসে সফলভাবে জলবায়ুর পরিবর্তনে ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় অর্থবহ সহযোগিতার জন্য আমরা একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করেছি।’
‘এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের এখনই সময়। এই ইস্যুতে অঙ্গীকার পূরণ করতে না পারলে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকা মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকবে।’
‘প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষর ও অনুসমর্থনে প্রথম দিকে দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি’ উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পানি নিরাপত্তা ও জলবায়ু অভিবাসীদের বিষয়ে দু’টি প্রস্তাব দেন।
তিনি বলেন, এ ইস্যু মোকাবেলায় একটি গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে পানি খাতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে একটি বৈশ্বিক ফান্ড গঠন করা যেতে পারে।
‘আমাদের অবশ্যই সবার জন্য কার্যকরভাবে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে হবে।’
এছাড়া জলবায়ু উদ্বাস্তুদের চ্যালেঞ্জ যথাযথভাবে চিহ্নিত করারও প্রস্তাব দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু জনিত অভিবাসী চ্যালেঞ্জ যথাযথভাবে চিহ্নিত করা না গেলে আমরা কখনই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবো না।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ কোন প্রথম দেশ, যেটি নিজস্ব সম্পদ থেকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের উপকূলীয় অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। এরপরও আমরা দুর্যোগ মোকাবেলা সফলতা অর্জন করেছি।’
‘আগাম সর্তক বার্তা, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন ও নদী খননের মাধ্যমে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়েছে।’