370
Published on আগস্ট 29, 2016প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর সরকার দেশের শিল্পায়নের প্রসার এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সারাদেশে একশ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে ব্রিটিশ উদ্যোক্তারা এখানে বড় ধরনের বিনিয়োগে এগিয়ে এসে এর সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বিকেলে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভাগের (ডিএফআইডি) প্রতিমন্ত্রী রোরি স্টুয়ার্ট এমপি সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আহবান জানান।
বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের অব্যাহত সহযোগিতার প্রসংগ উত্থাপন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের উন্নয়নকে বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদান করেছে। এ সময় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের পদক্ষেপের তথ্যও তিনি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘গ্রামের জনসাধারণকে খাদ্যের পুষ্টি গুণাগুণ সম্পর্কে সজাগ করে তোলা হচ্ছে। যার ইতিবাচক ফলও ইতোমধ্যেই আসতে শুরু করেছে।’
দারিদ্র্য বিমোচন এবং শিশুরস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তাঁর সরকারের সাফল্যের চিত্র উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ম্যালেরিয়া এবং গুটি বষন্তের মতো রোগ দেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে দূর হয়েছে।’
বৈঠকে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে ডিএফআইডি’র প্রদেয় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কখা উল্লেখ করেন।
স্টুয়ার্ট বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ককে আরো গভীর করার বিষয়ে তার দেশ (যুক্তরাজ্য) আগ্রহী।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমকপ্রদ সাফল্য এবং উন্নয়নের বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।