486
Published on আগস্ট 17, 2016এদিনে নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামিক সংগঠন জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) মুন্সিগঞ্জ ছাড়া দেশে ৬৩টি জেলার প্রায় পাঁচ শত স্থানে একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় দু’জন নিহত এবং স্প্রিন্টারের আঘাতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়।
র্যা বের মিডিয়া উইং সূত্রে জানা যায়, ওই হামলা পরিচালনার পর জেএমবির ৬৬০ সদস্যকে আসামি করে সারা দেশে ১৬১টি মামলা দায়ের করা হয়। এগুলোর মধ্যে ইতোমধ্যে ১০৩টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। বাকি ৫৮টি মামলার বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আদালতের রায়ে ১৫ জন জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদ-, ১১৮ জনের যাবজ্জীবন, ১১৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেয়া হয়েছে এবং মামলা থেকে খালাস পেয়েছে অপর ১১৮ জন।
জেএমবির প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নেতাদের গ্রেফতারের মাধ্যমে এই সংগঠনটির কার্যক্রম প্রায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে। অবশ্য এখনো তারা নানা সংগঠনের ব্যানারে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু ধ্বংসাত্মক কিছু করার মতো শক্তি এখন আর তাদের নেই।
বস্তুত, জেএমবি প্রধান শায়েখ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি, থিংক-ট্যাক আবদুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ ও সালাহউদ্দিনকে গ্রেফতার এবং ঝালকাঠি জেলায় দু’জন বিচারক হত্যা মামলায় ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ তাদের মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়ার পর থেকেই জেএমবির সাংগঠনিক কার্যক্রম শিথিল হয়ে পড়ে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কাল কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে।
আগামীকাল তারা এ দিবসটিকে সন্ত্রাসবিরোধী ও জঙ্গিবিরোধী দিবস হিসেবে পালন করবে।