274
Published on জুলাই 11, 2016সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে নিশা দেশাই বিসওয়াল সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সম্প্রতিক হামলার উল্লেখ করে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, জনগণের সহযোগিতায় বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে সক্ষম হবে। তিনি বিসওয়ালকে বলেন, জনগণ এখন অনেক সচেতন এবং সরকার সমাজে শিক্ষিত বিত্তবানদের সন্তানদের জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে এবং এ ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা জড়িত, তাদেরকে সনাক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বিএনপি-জামাত সরকারের সময়ে দেশের ৬৩টি জেলায় পাঁচশত স্থানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। তিনি বলেন, তবে অপরাধীরা ঠিকই আইনের আওতায় এসেছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহ্সানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মার্কিন কর্মকর্তাকে তাঁর সরকারের এ বিষয়ে জিরো টলারেন্সের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী গুলশানের রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা খুব অল্প সময়ে নিয়ন্ত্রণে এনেছে। শেখ হাসিনা তাঁর জীবনের ওপর বার বার আসা হুমকির কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি নিজেই সন্ত্রাসী ঘটনার শিকার এবং কয়েকবার এ ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনা মোকাবেলা করেছেন।
সন্ত্রাসবাদের সাথে যুবকদের সম্পৃক্ততার উল্লেখ করে বলেন, অনেক তরুণ বছরের পর বছর নিখোঁজ রয়েছে। অনেক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এ জন্য সরকারকে অভিযুক্ত করছে। অনেক তরুণ এখন বিদেশে লেখাপড়া করতে গিয়ে নিজেই লুকিয়ে আছে। অথচ মানবাধিকার সংগঠনগুলো গভীরে না গিয়ে সরকারের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। তিনি বলেন তরুণরা ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নয় কৌতুহলের বশে এ ধরনের ঘটনায় সম্পৃক্ত হচ্ছে। বিসওয়াল বলেন, মার্কিন সরকার তাদের সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে প্রস্তুত রয়েছে। বৈঠকে নিশা দেশাই মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে তার বেঠক সর্ম্পকে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করে বলেন, তারা কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বাংলাদেশে নিযুক্ত মাকির্ন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া ব্লুম বার্ণিকাট, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের পদস্থ কর্মকর্তা এবং ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।