শেখ হাসিনা একজন ক্যারিশম্যাটিক লিডারঃ মিসরের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত

347

Published on জুন 12, 2016
  • Details Image

রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে মিসরের রাষ্ট্রদূত একথা বলেন।

বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বৈঠক সম্পর্কে অবহিত করেন।

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের চমকপ্রদ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রসংশা করে বলেন, এই উন্নতির জন্যই বাংলাদেশ বর্তমানে এশিয়ান টাইগার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের জন্যই বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে এশিয়ান টাইগার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং মিসর বাংলাদেশের এই অর্জন থেকে শিক্ষা লাভ করতে চায়।

বাংলাদেশের ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ হারে জিডিপি অর্জনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মিসরের রাষ্ট্রদূত একে বিস্ময়কর সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের জনগণকে শান্তিপ্রিয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও তিনি অভিভূত।

মাহমুদ ইজ্জত বাংলাদেশের মানুষের সহনশীলতার ও ভূয়শী প্রশংসা করেন।

সম্প্রতি মিশরের একটি এয়ার ক্রাফট ভূমধ্য সাগরে বিধ্বস্থ হবার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশরের প্রেসিডেন্টকে শোকবার্তা পাঠানোর জন্যও তিনি প্রধানমন্ত্রকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বিগত প্রায় সাড়ে ৭ বছর সময়ে তার সরকারের সাফল্য এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুল ধরে বলেন, সরকার এই সময়ের মধ্যে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালীকরণের পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়ননীতির সাহায্যে মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন সাধন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে বলেন, বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষের জীবন-মানের উন্নয়ন ঘটিয়ে দেশকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, প্রযুক্তি নির্ভর,শান্তিপূর্ণ ২১ শতকের আধুনিক দেশ হিসেবে গড়েই তোলাই তাঁর লক্ষ্য ।

তিনি ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী সীমাহীন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, এই অশুভ শক্তির উদ্দেশ্যই হচ্ছে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করা। দেশের সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যার প্রসংগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, সরকার অচিরেই দেশের জনগণের সঙ্গে মিলে এই গুপ্তহত্যা বন্ধে সক্ষম হবে।

প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসেবা খাতে দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ ৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে প্রদানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।

একইসঙ্গে তিনি জনগণের জন্য সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের কর্মসূচি এবং খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টিও তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, তিনি বিরোধী দলে থাকাকালিনই দেশের আর্থ-সামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা করেছিলেন এবং প্রকল্প কিভাবে বাস্তবায়িত হবে তা ভেবে রেখেছিলেন।

বাংলাদেশ এবং মিশরের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক বলবৎ থাকার প্রসংগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলেই এই সম্পর্কের ভীত রচিত হয়।

তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মিশর সফরের কথাও স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালনকালিন সময়ে সরকারের প্রতি সহযোহিতার জন্য তাঁকে (মাহমুদ ইজ্জত) ধন্যবাদ জানান। তিনি ডিপ্লোমেটিক কোরের ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগমও উপস্থিত ছিলেন।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত