412
Published on মে 11, 2016বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি আরো বলেন, ভারতে এ মডেল ভূয়সী প্রশংসা পাচ্ছে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
গত জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, ১৪টি অঙ্গীকারের মধ্যে ইতোমধ্যে ৮টি পূরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিশ্রুতি পূরণে আমরা অগ্রগতি অর্জন করেছি। এক বছরের মধ্যে আমরা ৮টি অঙ্গীকার পূরণ করেছি। অন্যগুলো বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে ড. জয়শঙ্কর বলেন, জ্বালানি ও এলএনজি/এলপিজি খাতে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা চমৎকার অগ্রগতি অর্জন করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বেশ কয়েকটি ভারতীয় কোম্পানি বাংলাদেশে গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন করা যেতে পারে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সার্ক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ উদ্যোগে তার দেশকে সমর্থন দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঐতিহাসিক সফরকালে দেয়া অঙ্গীকার পূরণের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নরেন্দ্র মোদি সফরের পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যেকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ভারতের পার্লামেন্টে ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুমোদনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ভারত সরকারকে বিশেষ করে লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যদেরকে সর্বসম্মতভাবে এ বিল পাসের জন্য ধন্যবাদ জানান। অন্যদের জন্য এটি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।
এ সময় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এবং উপ-হাইকমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকা উপস্থিত ছিলেন।