453
Published on এপ্রিল 26, 2016এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারী তহবিল থেকে ২ হাজার ৫৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, বৈদেশিক সহায়তা ৩ হাজার ৪০০ কোটি ৫০ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকশেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল-ইসলাম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা এবং সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এশিয়ান হাইওয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে। ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী জরাজীর্ণ সড়ক ও সেতুর উন্নয়ন করা হবে।
একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দিক-নির্দেশনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, নতুন বিষয়ে ছাত্রীদের পড়ালেখা করাতে হবে। যেমন-হোটেল ম্যানেজমেন্ট, হসপিটাল, ক্যাটারিং, সেফ বা সোলার এনার্জি। আমরা এখন এ বিষয়গুলো নিয়ে জোরালোভাবে কাজ করবো’।
এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা। আমরা সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করবো।’
একনেকে অনুমোদিত ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইম্প্রুভমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৭২ কোটি ৯২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
এছাড়া অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে-পানি ভবন নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২১০ কোটি ৯৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা। কিশোরগঞ্জ জেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ভবন নির্মাণ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
দিনাজপুর-চিরিরবন্দর-পার্বতীপুর সড়ক প্রশস্থকরণ প্রকল্প যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
আমিন বাজার-মাওয়া-মংলা ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৫৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। নদী তীর সংরক্ষণের মাধ্যমে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন থেকে ভোলা জেলার তজুমুদ্দিন উপজেলা সদর সংরক্ষণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ অর্থনেতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প-১ম পর্যায়, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯০৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আর ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক নীতিমালার উদারীকরণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উচ্চ সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক জোন তৈরীর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থান ভারত, নেপাল, মায়ানমার এবং ভূটানের মাঝামাঝি হওয়ায় এই দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ রক্ষায় বাংলাদেশের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য এই অঞ্চলের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে আঞ্চলিক ট্রানজিট যানবাহন চলাচলের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।