330
Published on মার্চ 8, 2016বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রমিক অভিবাসন, বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং অন্যান খাতে সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সৌদি আরবের সঙ্গে বন্ধুত্বকে খুবই মূল্য দিয়ে থাকে। ভ্রাতৃপ্রতীম মুসলিম দেশ হিসেবে দু’দেশে রয়েছে দীর্ঘ ঐতিহাসিক সম্পর্ক। ব্যবসা-বাণিজ্য অনুসন্ধানে এ সম্পর্ক আরো এগিয়ে যাচ্ছে।
সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রমিকদের নিয়মিতকরণের জন্য সে দেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সৌদি আরবের বিনিয়োগ কামনা করেন।
কিছু লোক ধর্মের নামে ইসলামের প্রকৃত চেতনাকে কলংকিত করছে বলে শেখ হাসিনা এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী একমত প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ইসলাম হচ্ছে শান্তি ও সহিষ্ণুতার ধর্ম। তারা বলেন, চরমপন্থাকে দমন করতে হবে। অন্যথায় তা অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়বে এবং মুসলিম উম্মার ভাবমূর্তি ও স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ভালবাসা, শান্তি ও ক্ষমার শিক্ষা দেয়। কিন্তু চরমপন্থীরা ইসলামের মূল্যবোধকে অবজ্ঞা করছে। তারা এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন খাতকে যুক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
আদেল আল-জুবেইর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রগতির প্রশংসা করেন। পারস্পরিক স্বার্থে আগামীতে বিভিন্ন খাতে দু’দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সে দেশের আন্ডার সেক্রেটারি ড. খালিদ আল জানদান, ড. ইউসুফ আল সাদুন, মহাপরিচালক মোহাম্মদ আল কালাবি, পরিচালক ওসামা নাগলি, পরিচালক খালিদ আল কাঙ্গারি সৌদি এবং বাংলাদেশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ এইচএম আল মুতাইরি।
বাংলাদেশ পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।