673
Published on ফেব্রুয়ারি 17, 2016প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাতারে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। যে কারণে আমরা তাদের শ্রমশক্তির চাহিদা পূরণে সেখানে আরো জনশক্তি রপ্তানী করতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আজ সকালে তাঁর কার্যালয়ে কাতারের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আহমেদ বিন মোহাম্মদ আল দেহাইমির সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ আহবান জানান।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর আহবানের প্রেক্ষিতে কাতারের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ কাতারে জনশক্তি রপ্তানীর সুযোগ নিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমাদেরও প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন, শুধুমাত্র বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য নয়, আমাদের ভিশন-২০৩০ সফল করার জন্য জনশক্তি আমদানি করতে হবে।’
বিষয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সপরের কথা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো জোরদারকরণের নতুন ক্ষেত্র হিসেবে আগামী দু’বছরের মধ্যেই কক্সবাজারের মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে এলএনজি টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হলে বাংলাদেশ কাতার থেকে এলএনজি আমদানি করতে পারবে।’
বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর কাতার সফরের কথা স্মরণ করে দুইদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের এ ধরনের নিয়োমিত সফর আয়োজনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ইতোমধ্যেই কাতারের আমিরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে এখন বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
আলোচনার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ এবং কাতারের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন।
দেশের ৯০ শতাংশ জনগণ মুসলিম এবং বাংলাদেশ সবসময়ই মুসলিম দেশগুলোর সাথে বিশেষ করে কাতারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই সম্পর্কের ভীতকে আরো শক্তিশালী করতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে কাতারের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে করে ২০২১ সালের অনেক আগেই এটি তাঁর কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ ও কাতারের বিদ্যমান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে কাতারের রাষ্ট্রদূত বলেন, তাঁর দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে এই সম্পর্কেকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান।
তিনি দুই দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে সম্পর্ককে আরো জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড.গওহর রিজভী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।