372
Published on ডিসেম্বর 13, 2015বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় লন্ডনে হাউজ অফ লর্ডসে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ বাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুর রহিমের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য ব্যারনেস ভ্যালেরি জর্জিনা হওয়ার্থ।
উদ্ভাবনী চেষ্টার মধ্য দিয়ে শিশু ও তরুণদের শিক্ষা ও জীবনমানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর সাতটি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেয় নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা সিওয়াইএফআই।
এবার ভারত ও ফিজিকে পেছনে ফেলে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ‘কান্ট্রি অ্যওয়ার্ড’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।
গতবছর এই ক্যাটগরিতে পুরস্কার পেয়েছিল সিঙ্গাপুরের আর্থিক শিক্ষা প্রকল্প। আর এবার বাংলাদেশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘স্কুল ব্যাংকিং’ উদ্যোগের জন্য।
স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঞ্চয় প্রবণতা বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে এই কার্যক্রম শুরুর নির্দেশনা দেয় দেশের ব্যাংকগুলোকে। এর আওতায় যে কোনো শিক্ষার্থী নিজের ছবি আর স্কুলের আইডি কার্ড দেখিয়ে মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে নিজের নামে একটি সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে পারে।
যে কোনো সময় যে কোনো অংকের টাকা এই অ্যাকাউন্টে সে জমা রাখতে পারে। এই অ্যাকাউন্ট চালাতে ব্যাংক কোনো খরচ নেয় না, বরং মুনাফা দেয়। এই হিসাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুল-কলেজের বেতন বা ফিও পরিশোধ করতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এই পুরস্কারকে দেখছেন বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাফল্যের ‘আরেকটি মাইলফলক’ হিসেবে।
তিনি বলেন, “স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরুর পর পাঁচ বছরে বাংলাদেশে প্রায় ৯ লাখ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন করছে শিশু-কিশোররা। আমানতের পরিমাণ ছাড়িয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। কেবল স্বচ্ছল পরিবারের শিশু-কিশোর নয়, অনাথ পথশিশুদের জন্যও সহজলভ্য ব্যাংকিং সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ।”
শিশুদের এই আমানত বিনিয়োগে এসে দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছে বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান।
“শিশুদের কেবল আত্মনির্ভর করা বা ব্যাংক ও আর্থিক সেবার সঙ্গে তাদের পরিচিত করানো নয়, স্কুল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।”
সারা দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রসারে ভূমিকার জন্য গতবছর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সংগঠন ‘এলায়েন্স ফর ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন’ (এএফআই) এর পুরস্কার পায় বাংলাদেশ ব্যাংক।