299
Published on নভেম্বর 26, 2015পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের নীতি নির্ধারণে বৃহস্পতিবার দলের কার্যনির্বাহী সংসদ ও পার্লামেন্টারি বোর্ডের যৌথ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
গণভবনে সভার শুরুতে শেখ হাসিনা বলেন, “তারা (বিএনপি) নির্বাচনে অংশ নিলে দেখা যাবে- কতটুকু ভালো করবে। অংশ না নিলে তো নিজেদের দলের ক্ষতি করবে।”
আইন সংশোধনের পর এবারই প্রথম দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় এই ভোটের তফসিল ঘোষণার পর দল ও জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তবে দশম সংসদ নির্বাচনের পর ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশনের ভোটে অংশ নিয়ে মাঝপথে সরে দাঁড়ানো বিএনপি এবার এই নির্বাচনে আসবে কি না সে বিষয়ে এখনও কোনো ঘোষণা আসেনি।
দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলে গণতন্ত্র আরও বিকশিত হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “আমি চাই, যতগুলো রাজনৈতিক দল আছে- এটা তাদের সুযোগ। নিজ নিজ প্রতীকে অংশ নিলে দল গঠনের সুযোগ পাবে।”
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিলেও বিএনপির জাতীয় নির্বাচন বর্জনকে দলটির ‘দ্বৈতনীতি’ আখ্যা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “দেখা যাক এই নির্বাচনে অংশ নেয় কি না?”
পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “কিভাবে প্রার্থী যাচাই-বাছাই করা হবে, তার ফর্মুলা বের করতে হবে।
“কী প্রক্রিয়ায় মনোনয়ন দেব- সেজন্য নীতিমালা করতে হবে।”
তিনি বলেন, “প্রার্থী হলে জনগণের কাছে যেতে হবে। ভোটারদের স্বার্থ না দেখলে, পরবর্তীতে ভোটাররাও তার স্বার্থ দেখবে না।”
বক্তব্যে বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির দেশের প্রতি কোনো দরদ নেই।
“স্বাধীন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিয়ে চলবে, সেটা তারা (বিএনপি) চায়নি। দেশকে ভিক্ষুক করে রাখা, হেয় করার জন্যই তারা কাজ করেছে।”
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলা ভাইয়ের উত্থান, ২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া দেশকে জঙ্গিদের অভয়ারণ্য বানিয়েছিল।”
২০০৪ সালে চট্টগ্রামে দশ ট্রাক অস্ত্র আটক হয়, যা ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য পাচার করা হচ্ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
এ প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশকে অস্ত্র চোরাকারবারীদের পথ বানিয়েছিল।”
বিএনপির সময়ে দেশের কাঙিক্ষত উন্নয়ন হয়নি মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা করি। ওরা করে না। কারণ, ওরা বিদেশে অর্থ পাচার করে। নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করে।”
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধে গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপে দগ্ধ হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, “এর চেয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কী হতে পারে!”
রাজনৈতিক তৎপরতার নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ব্ক্তব্য রাখেন।