717
Published on নভেম্বর 23, 2015প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রী সভার নিয়মিত সাপ্তাহিক এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে অনুমোদিত অপর দু’টি আইন হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক তহবিল আইন-২০১৫ এবং বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ আইন-২০১৫। এছাড়া বৈঠকে ডাব্লিউটি ও'র মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে জাতীয় স্টান্ডার্ড ( পণ্য ও সেবা) পলিসির অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মাদ শফিউল আলম বলেন, প্রস্তাবিত জীব বৈচিত্র্য আইনে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। জাতিসংঘের জীব বৈচিত্র্য সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে এ আইন প্রণয়নের প্রয়োজন ছিল।
তিনি বলেন, সংবিধানের ১৮(এ) ধারা মোতাবেক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের এবং বাংলাদেশও এক্ষেত্রে দায়বদ্ধ। এ আইনের বাস্তবায়ন তদারকির জন্য জাতীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠিত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, এ আইন লঙ্ঘনে ৫ বছর কারাদন্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করলে এ আইন দেশের জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।
সচিব বলেন, মন্ত্রীসভা বিএস টি আই এবং বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পদক্ষেপ কার্যকর করতে জাতীয় গুণগত মান (পণ্য ও সেবা)-২০১৫ পলিসির অনুমোদন দিয়েছে।
তিনি জানান, এতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডাব্লিউ টি ও ) গাইড লাইন অনুসরণে রপ্তানীজাত পণ্য ও সেবার মান সংরক্ষণের বিস্তারিত নির্দেশনা রয়েছে। এর আওতায় সেবা খাত, হিসাব রক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ পেশাজীবী গ্রুপ থেকে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে এ্যাক্রেডিটেশন প্রসেসের মাধ্যমে যেতে হবে।
তিনি বলেন, বৈঠকে এ খসড়া নীতিতে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এবং বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে, এমন ডিজিটাল ও অন্যান্য পণ্যের গুণগত মানের প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণের অনুমোদনও দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রীসভা বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্টের স্থায়ী রূপায়নে এ সম্পর্কিত আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। দেশে ও বিদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা বা উচ্চ শিক্ষায় নিয়োজিতদের ২০১০ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ দেয়া হচ্ছে। এ প্রকল্পটির মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হবে বিধায়এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং এ ট্রাস্টকে স্থায়ীকরণের বিধান রয়েছে এ খসড়া প্রস্তাবে।
বৈঠকে নীতিগতভাবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক তহবিল আইন-২০১৫’র অনুমোদন দেয়া হয়।
এ খসড়া আইন সম্পর্কে মোহাম্মাদ শফিউল আলম বলেন, ১৯৭৬ সালে সামরিক শাসনামলে অধ্যাদেশ হিসেবে জারীকৃত এ আইনটি বিদ্যমান রয়েছে। সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনানুযায় এটি বাংলাভাষায় রূপান্তরের লক্ষ্যে পেশ করা হয়েছে।
মন্ত্রীবর্গ ও মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।