347
Published on নভেম্বর 3, 2015মঙ্গলবার সকাল ৭টায় রাজধানীর ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে এবং বনানীর কবরস্থানে জাতীয় তিন নেতার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অপর নেতা এএইচএম কামারুজ্জামানের কবর রাজশাহীতে এবং সেখানেও দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ চারনেতাকে ১৯৭৫ সালের এ দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সদ্য স্বাধীন দেশকে নেতৃত্বশূন্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র তাদের হত্যা করে।
জাতীয় এ চারনেতা হলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধকালের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্র, বেসামরিক সরবরাহ, ত্রাণ, পুনর্বাসন ও কৃষিমন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামান।
সকাল ৭টা ১ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শেখ হাসিনা এসময় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দলীয় প্রধান হিসাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
এ সময়ে ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর পুত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র ও দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও এ সময়ে কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রেলমন্ত্রী মুবিজুল হক, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে ৭ টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদ ও জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। বনানী কবরস্থানে পবিত্র ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় চারনেতার মধ্যে এ এইচ এম কামারুজ্জানকে রাজশাহীর কাদিরগঞ্জে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সেখানেও অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়।
এছাড়াও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, যুবলীগ উত্তর ও দক্ষিণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, ছাত্রলীগ উত্তর ও দক্ষিণ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ,বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, বাস্তুহারা লীগ, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ, বিভিন্ন দল ও সংগঠন জাতীয় তিন নেতাসহ ১৫ আগষ্টের নিহত শহীদদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।