1231
Published on অক্টোবর 27, 2015জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডাব্লিউটিও) সফররত মহাসচিব তালেব রিফাই মঙ্গলবার বিকেলে এখানে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর হাতে এই চিঠি হস্তান্তর করেন।
ইউএনডাব্লিউটিও এবং বিশ্ব ভ্রমন ও পর্যটন পরিষদ (ডাব্লিউটিটিসি) প্রদত্ত এই চিঠিতে আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি এবং এই খাতকে জাতীয় নীতিতে উচ্চতর অগ্রাধিকার প্রদানের লক্ষ্যে সারা বিশ্বের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, তারা দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় পর্যটনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যটনের একটি অংশ হিসেবে উল্লেখ করে ইউএনডাব্লিউটিও মহাসচিব বলেন, পর্যটন মানব জাতির জন্য কল্যাণকর এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করে। এটি একটি শ্রমঘন শিল্প।
এ প্রসঙ্গে তালেব রিফাই আরো বলেন, আধা দশকের বেশি সময় ধরে সারা ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও, পর্যটন এ অঞ্চলে অর্থনীতিকে টেকসই রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
পর্যটন শিল্পের বিকাশে তাঁর সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার দেশে পর্যটনের উন্নয়নে আরো কাজ করবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি মানব সম্পদ উন্নয়ন, সমুদ্র সৈকত ব্যবস্থাপনা এবং পর্যটন বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যাপারে ইউএনডাব্লিউটিও থেকে সহায়তা কামনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার পর্যটন শিল্পের বিকাশে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুলছে। এছাড়া, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রতি তিন বছরে বিনোদন ছুটি চালু করার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই ব্যবস্থা দেশে অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি করছে।
ইউএনডাব্লিউটিও সফররত মহাসচিবের এ সাক্ষাতকালে এখানে বৌদ্ধ কৃষ্টি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদানকারী আফগান তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আবদুল বারী জাহানী, ভুটানের অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী লোইয়নপো নোরবু ওয়াংচুক, কম্বোডিয়ার পর্যটন উপ-মন্ত্রী টপ সোপহিয়াক, মিয়ানমারের হোটেল ও পর্যটন বিষয়ক উপ-মন্ত্রী টিন শোয়ে, ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব বিনোদ জুৎশি উপস্থিত ছিলেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনডাব্লিউটিও মহাসচিব আজ থেকে ঢাকায় শুরু ‘দক্ষিণ এশিয়ায় বৌদ্ধদের কেন্দ্রভূমিতে টেকসই ও বিশেষ বৌদ্ধ ঐতিহ্য ও তীর্থস্থানগুলোর উন্নয়ন’ শীর্ষক দু’দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার এখানে পৌঁছেছেন।
বাংলাদেশে বৌদ্ধ পর্যটন বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি বাস্তবায়নমুখী রোডম্যাপ প্রণয়নের জন্য ১৩টি বৌদ্ধ জনসংখ্যা বহুল দেশ এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে।