381
Published on অক্টোবর 12, 2015প্রাথমিকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও উদ্ভাবনী লক্ষ্য নিয়ে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের জন্য চারটি বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই হয় গতকাল। সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের এ চুক্তি সই হয়।
চুক্তির আওতায় নির্ধারিত সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিনামূল্যে ১১ কোটি ২০ লাখ পাঠ্যপুস্তক বিতরণ; প্রাথমিক শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলনের লক্ষ্যে ১৪ হাজার ৬৮৪টি মাল্টিমিডিয়াসহ ল্যাপটপ সরবরাহ; ৭৮ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান ও ৩২ লাখ শিক্ষার্থীকে স্কুল ফিডিংয়ের আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। চুক্তির আওতায়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণের জন্য ছয় হাজার শ্রেণিকক্ষ ও ছয় হাজার নলকূপ স্থাপন এবং নয় হাজার ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করবে।
চুক্তির আওতায় মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৬৪টি জেলার ৬৪টি উপজেলায় ১৫-৪৫ বছর বয়সী ১১ লাখ ৫২ হাজার নিরক্ষর নারী-পুরুষকে মৌলিক সাক্ষরতা, জীবন দক্ষতা ও জীবিকায়ন দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
এছাড়া বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিট বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অবসরগ্রহণকারী/মৃত তিন হাজার শিক্ষককে কল্যাণ ট্রাস্টের ফান্ড থেকে এককালীন আর্থিক সুবিধা প্রদান করবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মেছবাহ উল আলম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষে মহাপরিচালক মো. আলমগীর, উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক রুহুল আমীন সরকার, নেপ’র ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক শাহ আলম ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিট’র মহাপরিচালক মো. আব্দুল হালিম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।