671
Published on সেপ্টেম্বর 29, 2015প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দফতরে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর সোমবার অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় শান্তিরক্ষা কৌশলপত্র প্রণয়ন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, সেনা ও পুলিশ সদস্য পাঠিয়ে শীর্ষ অবদানকারী দেশ হিসেবে শান্তি মিশনে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যেতে প্রস্তুত।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে কো-চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কাজে বাংলাদেশের অঙ্গীকার দৃঢ় ও অবিচল। মালি, কঙ্গো এবং মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশ ব্লু হেলমেটের অধীনে সেনা মোতায়েন করেছে।
বিগত বছরের সম্মেলনে বাংলাদেশের দেয়া কিছু প্রতিশ্রুতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বিদ্যমান ও সম্ভাব্য ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ পদাতিক বাহিনী ব্যাটালিয়ন, পুলিশ ইউনিট, ইউটিলিটি হেলিকপ্টার, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যারিটাইম ইউনিট ও অন্যান্য সম্পদ সরবরাহ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নতুন প্রযুক্তি দিয়ে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকার করে। তিনি বলেন, এগুলো ব্যবহারে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা নীতি অনুসরণ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট পিস সাপোর্ট অপারেশন্স অ্যান্ড ট্রেনিং (বিআইপিএসওটি) প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বলেন, শান্তিরক্ষীদের বিশেষ করে নারী শান্তিরক্ষীদের প্রশিক্ষণের জন্য একটি উৎকর্ষের কেন্দ্র হিসেবে এই ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শান্তিরক্ষায় অবদানকারী অন্যান্য দেশের সেনা ও পুলিশকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বেসামরিক লোকদের রক্ষা করা এবং নারীদের ও মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি শান্তিরক্ষীদের দ্বারা যৌন হয়রানির ঘটনায় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিবের সুপারিশমালার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে সারাবিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য শান্তি রক্ষার কাজে নিয়োজিত সকল সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এবং ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, নেদারল্যান্ড, পাকিস্তান, রুয়ান্ডা ও উরুগুয়েসহ শান্তিরক্ষী প্রদানকারী ও গ্রহনকারী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।