375
Published on সেপ্টেম্বর 29, 2015নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুত্তে ৭০তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সোমবার এক বৈঠকে এ আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, দুই নেতার মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, পায়রা সমুদ্রবন্দরের জন্য খুবই উপযোগী এলাকা। সরকার যথাশিগগির সম্ভব এ বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করতে চায়।
শেখ হাসিনা বলেন, নেদারল্যান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে নদী খনন, ভূমি পুনরুদ্ধার এবং বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করতে পারে।
বৈঠকে নেদারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতায় প্রণয়নাধীন ব-দ্বীপ পরিকল্পনা (বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান ২১০০) তৈরির অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়।
শেখ হাসিনা মার্ক রুত্তেকে জানান যে, তিনি শিগগিরই নেদারল্যান্ড সফর করবেন।
নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আর্থ-সামাজিক খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক ও নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহাম্মদ বেলাল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
পরে শিনজো অ্যাবের সঙ্গে এক বৈঠকে শেখ হাসিনা জাপানের জন্য বরাদ্দকৃত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরো বেশি বিনিয়োগের জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার বাংলাদেশ সফরের পর দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় পর্যায়ে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত হয়েছে। এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনে বাংলাদেশ ও জাপান একত্রে কাজ করবে।
তারা জাপানের সহায়তায় বাংলাদেশে বড় বড় প্রকল্পের (মেগা প্রজেক্ট) বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।