706
Published on সেপ্টেম্বর 26, 2015শনিবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সদরদফতরে আয়োজিত বর্ণাঢ্য নৈশভোজ অনুষ্ঠানে আইটিইউ মহাসচিব হুলিন ঝাও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন।
আইটিইউ জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এসডিজি) অর্জনের জন্য আইসিটি ব্যবহার জোরদারে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, জাতিসংঘের সাবেক ও বর্তমান নেতা, জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী নির্বাহীদের সম্মানিত করেছে।
পুরস্কার গ্রহন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি তখন এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি প্রদানের জন্য আইটিইউকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি এই পুরস্কার লাভ করায় অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছেন।
বাংলাদেশের তরুণদের জন্য এই পুরস্কার উৎসর্গ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার প্রত্যেক নাগরিকের কাছে আইসিটি সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে যাতে কেউ পিছনে পড়ে না থাকে। তিনি একটি জ্ঞানভিত্তিক টেকসই ভবিষ্যত গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকল বাধা দূর করার জন্য পরস্পরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
আইটিইউ তাদের ১৫০তম বার্ষিকী এবং ২০১৫ সাল পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডা অনুমোদন সংক্রান্ত জাতিসংঘ সম্মেলন উপলক্ষে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে আইসিটি’র সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য বেশ কিছু রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানকে আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার প্রদান করেছে।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের সিনিয়র কর্মকর্তা, রাষ্ট্রপ্রধান ও তাঁদের স্বামী/স্ত্রী, জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধিগণ, টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত ব্রডব্যান্ড কমিশনের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাগুলোর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও জনহিতৈষীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৯তম অধিবেশনের সভাপতি স্যাম কুতেসা, ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা, গ্লোবাল সাসটেইন্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও শেরী ইয়ান, নিউ ইয়র্ক একাডেমী অব সায়েন্সেস এর সভাপতি ও গ্লোবাল স্টেম এলায়েন্স এর চেয়ারম্যান এলিস রুবিনস্টেইন এবং চায়না স্টেম এডুকেশন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ড. রুইয়াং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।