393
Published on সেপ্টেম্বর 26, 2015এখানে জাতিসংঘ সদর দফতরে আয়োজিত দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ক একটি উচ্চপর্যায়ের গোলটেবিল আলোচনায় তিনি বলেন, দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা স্থায়ীভাবে শান্তি ও নিরাপত্তা জোরদার করতে পারে। বিস্ফোরন্মুখ বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও সহিংস সন্ত্রাসবাদ দক্ষিণে টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিরাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, নতুন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এসডিজি) বিশেষ করে দক্ষিণের দেশগুলোর সঙ্গে প্রাসঙ্গিক। উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হওয়া সত্ত্বেও, বিশ্বের দক্ষিণের দেশগুলো এখনও বৈষম্য, নিরক্ষরতা এবং অনুন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন। এতে বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, নেপাল, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা সহ ১৮টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ যোগ দেন এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের দক্ষিণাংশের দেশগুলোর আকার, শক্তি ও উন্নয়নের পর্যায় ভিন্ন হলেও তাদের একটি অভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। এই বিষয়টি মনে রেখে বাংলাদেশ চলতি বছরের শুরুতে ঢাকায় দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেছিল। এতে দক্ষিণ-দক্ষিণ উদ্যোগে অর্থায়ন এবং দক্ষিণের মধ্যে প্রযুক্তি স্থানান্তরের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আন্তঃসীমান্ত ভৌত যোগাযোগ জোরদার এবং নতুন ধরনের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকা- জোরদার করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, এ লক্ষ্যে ব্রিকস ব্যাংক এবং এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক সুরক্ষা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই মৎস্য উৎপাদন এবং আইসিটি সুবিধা সম্প্রসারণে বাংলাদেশ একটি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে এসব অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে প্রস্তুত।