প্রকল্প ও উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে মন্ত্রী ও সচিবদের আরও আন্তরিক প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

405

Published on সেপ্টেম্বর 20, 2015
  • Details Image

‘আপনাদের বাজেটের বরাদ্দের কার্যকর ফলাফল দেখাতে হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আমরা যদি ব্যর্থ হই তাহলে আমাদের রাজনীতির কোন তাৎপর্য নেই, সে কারণে গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম দৃশ্যমান হতে হবে।

আজ প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে চলতি বছরের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদনা চুক্তি’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শপথ গ্রহণে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি মেয়াদে আমাদের হাতে মাত্র তিন বছর সময় আছে।

আমরা দেশকে এমন অবস্থানে নিয়ে যেত চাই যেখানে জনগণের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।

কার্যকর, দক্ষ ও গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থার অধীনে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে ৪৮টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবগণ বার্ষিক কর্মসম্পাদনা চুক্তিতে (এপিএ) স্বাক্ষর করেন।

জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সঙ্গে মন্ত্রীর অঙ্গীকারের দলিল হচ্ছে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদনা চুক্তি’ (এপিএ) এবং মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবগণ প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার এবং সর্বোপরি প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার উন্নয়ন নিশ্চিত করে গৃহীত উদ্যোগসমূহকে প্রক্রিয়া-ভিত্তিক থেকে ফলাফল ভিত্তিক করে তুলবেন।

সরকারের সকল ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে প্রণীত পরিকল্পনায় পরপর দ্বিতীয় বছর এ চুক্তি সম্পাদিত হয়।

বার্ষিক কৌশলগত লক্ষ্যসমূহ এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনা কর্মদক্ষতা মূল্যায়নের সূচক হচ্ছে বার্ষিক সম্পাদন চুক্তি। এটি মন্ত্রণালয়ের প্রকৃত কার্যক্রমের গুণগত ও মাত্রাগত মূল্যায়ন এবং কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতা নিরূপণে সহায়ক।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসেন ভূইয়া, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) নজরুল ইসলাম এপিএ’র সুবিধা ও অসুবিধার দিক তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়/বিভাগের সাফল্য এবং জাতীয় উন্নয়ন আন্তঃসম্পর্কযুক্ত অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে কোন মন্ত্রণালয় ব্যর্থ হলে সার্বিক জাতীয় উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ কারণে ফলাফলভিত্তিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি জরুরি।

‘অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সাফল্য সত্ত্বেও আমাদের আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই আমাদের রূপকল্প-২০২১ এবং ২০৪১ সালনাগাদ উন্নয়ন বাংলাদেশ নির্মাণের দিকে এগিয়ে যেতে হবে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের গতি জোরদার এবং আরো কঠিন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের গৃহীত নীতি অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হতো। কিন্তু দেশী-বিদেশী কুচক্রীদের ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের উন্নয়নের ধারা ব্যাহত হয়।

বিগত বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুসারে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মতৎপরতার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন যে, তারা এ বছরেও অনুরূপ দক্ষতার স্বাক্ষর রাখবেন।

তিনি বলেন, একটি স্বাধীন জাতি অন্যের কাছে ভিক্ষা সহায়তা ছাড়াই মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায়। বাস্তবমুখী ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কারণেই বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় সকল ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার কারণে বাংলাদেশ অমর্যাদাকর অবস্থানে ছিল। কিন্তু এখন খাদ্য উৎপাদন, দারিদ্র্য বিমোচন ও নারীর ক্ষমতায়নসহ অধিকাংশ উন্নয়ন সূচকে আমাদের সক্ষমতায় বাংলাদেশ সম্মানের আসনে আসীন হয়েছে।

তিনি বলেন, তাঁর সরকার মানুষের সেবা করতে চায়। কারণ তাদের সেবক তাদের প্রভু নয়।

চলতি অর্থবছরের প্রকল্পগুলোর দ্রুত ও যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এপিএ স্বাক্ষরের পর মন্ত্রীদের বসে থাকলে চলবে না। আপনাদের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে এখন কাজ শুরু করতে হবে।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত